‘শস্যের আহ্বানে বিজয়ের উল্লাস’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাজধানীর ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবরে শুরু হতে যাচ্ছে তিন দিনব্যাপী নবান্ন উৎসব-১৪২৬। বিজয় দিবসের আনন্দ ও নবান্ন উৎসবকে এক সুতোয় গাঁথতে সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন শোবিজ এন্টারটেইনমেন্ট এ উৎসবের আয়োজন করতে যাচ্ছে।
নবান্ন উৎসবকে আকর্ষণীয় করতে এবং দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য থাকছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নবান্নের নাচ, গান, পুতুল নাচ, নাগরদোলা, পুথি পাঠ, বায়োস্কোপসহ প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। উৎসবের সাংস্কৃতিক পর্বে গান পরিবেশন করবেন ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, জানে আলম, শফী মন্ডল, কিরন চন্দ্র রায়, চন্দনা মজুমদার ফকির শাহাবউদ্দিন, চিশতী বাউল, সকুরমার বাউল, টুনটুন বাউল, পাগলা বাবলু, সমীরণ বাউল, আবু বকর ছিদ্দীক, বিউটি, লায়লা বাউল, মৌসুমী ইকবাল, শফিউল আলম রাজার দল (ভাওয়াইয়া), বাউল কাশেম, উসমান উদাস, দেলোয়ার বয়াতি, ইউসুফ বয়াতি, সুমী শবতম, শাহনাজ বাবু, মহসিন, লালন পাঠশালা, আবৃতি চর্চা কেন্দ্র, স্বরশ্রুতি, সত্যসেন শিল্প গোষ্ঠী, ধ্রুব শিশু কিশোর সংগঠন, বাফা, খেলাঘর শিশু শিল্পীরা, শিল্পবৃত্ত, নৃত্যলোক ও নটরাজ প্রমুখ।
আর এসব আয়োজন উপভোগের পাশাপাশি মুখের স্বাদ বাড়াতে রয়েছে দেশের ঐহিহ্যবাহী সব রকমারি পিঠা পুলির প্রদর্শনী। নবান্ন উৎসবে লামিয়া বি-বাড়িয়া পিঠাঘর, নেত্রকোনা পিঠাঘর, নোয়াখালী পিঠাঘর, শরীয়তপুর পিঠাঘর, মানিকগঞ্জ পিঠাঘর, গোপালগঞ্জ পিঠাঘর, মনিচুরি পিঠাঘর, গ্রাম বাংলা পিঠাঘর, পিঠা
পুলি, বিক্রমপুরের পিঠা পুলি, ময়মনসিংহ পিঠা পল্লীসহ প্রায় ৩২টি স্টলে দেশের বিভিন্ন এলাকার পিঠাপুলি প্রদর্শন ও বিক্রি করা হবে।
এছাড়া নবান্ন উৎসবে পিঠা শিল্পীদের কাজে উৎকর্ষ আনয়ন ও উৎসাহর জন্য পুরস্কার ও সম্মাননা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
আয়োজক সংগঠন শোবিজ এন্টারটেইনমেন্টের নির্বাহী পরিচালক মেহেদী হাসান বলেন, ‘গ্রাম বাংলার নবান্ন উৎসবে শহরের মানুষকে যুক্ত করতে আমাদের এই ক্ষুদ্র উদ্যোগ।’
এসব স্টল থেকে খেজুরের গুড়ে ভেজানো চিতই, ফুল পিঠা, দুধ চিতই, ভাপা পিঠা, ডিম চিতই, মুখ পাকন, পাটি সাপ্টা, সুচি পিঠা, রস মাধুরী পিঠা, ইলিশ পুলি, মালাই পুলি, খেজুরের পিঠা, মাল পোয়া পিঠা, সেমাই পিঠা, জামাই আদর পিঠা, পাকান পিঠাসহ বিভিন্ন নাম ও স্বাদের প্রায় ১৬০ থেকে ২০০ রকমের পিঠা পাওয়া যাবে। সবার জন্য এ উৎসব উন্মুক্ত থাকবে।