বর্তমানে সারা বিশ্বে যুদ্ধ, সংঘাত ও নির্যাতনের কারণে ৭ কোটিরও বেশি মানুষ শরণার্থী হয়ে আছে। এর মধ্যে আড়াই কোটি শরণার্থী রয়েছে, যারা আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করেছে এবং নিজ দেশে ফিরে যেতে অক্ষম।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) জাতিসংঘ রিফিউজি এজেন্সি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিশ্বব্যাপী শরণার্থী মোকাবিলার প্রক্রিয়াকে নতুন রূপ দিতে ১৬ থেকে ১৮ ডিসেম্বর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় তিন দিনের বৈশ্বিক সম্মেলন হচ্ছে।
এ সম্মেলনকে সামনে রেখে জাতিসংঘ রিফিউজি এজেন্সি বলছে, জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর ফোরামটি আয়োজন করেছে। সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে সহযোগী হিসেবে রয়েছে কোস্টারিকা, ইথিওপিয়া, জার্মানি, পাকিস্তান ও তুরস্ক।
এশিয়ায় ৪২ লাখ শরণার্থী, ২৭ লাখ অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু এবং ১২ লাখ রাষ্ট্রহীন মানুষ রয়েছে।
এদের মধ্যে আফগান শরণার্থী সবচেয়ে বেশি সময় ধরে বাস্তুচ্যুত হয়ে আছে। চার দশক ধরে ২৭ লাখ শরণার্থী পাকিস্তান ও ইরানে আশ্রয় নিয়েছে।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আজ রাষ্ট্রহীন। যাদের প্রায় ৭ লাখ ৪৫ হাজার ২০১৭ সালে নিজ দেশ থেকে বিতারিত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। সব মিলিয়ে কক্সবাজারে মোট রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা ৯ লাখেরও বেশি।
জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি বলেন, আমরা দাঁড়িয়ে আছি উদ্বাস্তু সমস্যার চূড়ান্তে থাকা একটি দশকে, যেখানে শরণার্থীদের সংখ্যা অনেক বেড়েছে।