‘মতিউর রহমানের গ্রেফতারি পরোয়ানা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ নয়’

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-21 16:20:19

প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের গ্রেফতারি পরোয়ানা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ নয় বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) তথ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফর শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মোহাম্মদপুর রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর এর বিরুদ্ধে দেশের ৪৭জন বিশিষ্টজনের বিবৃতি বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেখুন আমাদের দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। বাংলাদেশের ৪৭ জন বিশিষ্টজন যে বিবৃতি দিয়েছে এটা বড় কোনো বিষয় নয়। বাংলাদেশের এই ৪৭ জন ছাড়াও আরও হাজার হাজার বিশিষ্টজন রয়েছে। তারা তাদের বিবৃতি দিতেই পারে। তবে কোনো অবহেলাজনিত মৃত্যু হওয়ার পর সেটা যদি লুকানোর অপচেষ্টা করা হয় বা একই সঙ্গে পোস্টমর্টেম ছাড়া তা যদি দাফন করা হয়, এগুলোতো নিশ্চয়ই অপরাধ।’

আরও পড়ুন: প্রথম আলোর কাছে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে নোটিশ

তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমত অবহেলাজনিত মৃত্যু সেটি ইনভেস্টিগেশন পর্যায়ে আছে। এরপর সেটিকে লুকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের আয়োজক যারা ছিল, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। অভিযোগ সত্য মিথ্যা সেটি ভিন্ন বিষয়, তবে তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আছে আর যারা দায়ী তাদের যাতে সঠিক বিচার হয় সেজন্য আমি আশা করি এই ৪৭ জন বিশিষ্টজন আরেকটি বিবৃতি দেবেন।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আর এটির সঙ্গে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কোনো সম্পর্ক নেই। এটি একটি ফৌজদারি অপরাধ, তাই আদালত একটি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আদালত একটি স্বাধীন বিষয় তারা বিচারকার্য পরিচালনার জন্য এ ধরনের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। সেটি গণমাধ্যমে বলার জন্য তো এই মামলা হয়নি। আর অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করে বলতে চাই, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধের ব্যাপারে চেষ্টা করেছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিবৃতি সেটি কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। ফিলিস্তিনে যেখানে পাখি শিকারের মতো করে মানুষ হত্যা হয়, তখন তারা কোনো বিবৃতি দেয় না। ফলে তাদের বিবৃতি নিয়ে প্রশ্ন আছে।’

আরও পড়ুন: প্রথম আলোর সম্পাদকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

উল্লেখ্য, গত ১ নভেম্বর (শুক্রবার) ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত কিশোর আলোর বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে এসেছিল নাইমুল আবরার। সেখানে বিকেলে অনুষ্ঠান চলাকালে বিদুৎস্পৃষ্ট হয় সে। তাৎক্ষণিকভাবে ওই মাঠে স্থাপিত জরুরি মেডিকেল ক্যাম্পের দু’জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নাইমুলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। এরপর নাইমুলকে মহাখালীর বেসরকারি হাসপাতাল ইউনিভার্সেলে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন: কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
               নাইমুলের মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ

এ সম্পর্কিত আরও খবর