করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কুমিল্লার নাঙ্গলকোটো আলো ছড়াচ্ছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সংশপ্তক’। স্বেচ্ছাসেবী এ সংগঠনটি দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত নাঙ্গলকোট উপজেলার শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত।
করোনা মহামারিতে মানুষকে সহযোগিতা ও সচেতনতার লক্ষে এই স্বেচ্ছাসেবী টিমটি গঠন করেছেন শিক্ষার্থীরা। স্বেচ্ছাসেবী এই সংগঠন টিমের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলাম। উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে জন্য রয়েছে ১৭ জন টিম প্রধান। তারা সকলেই দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবী এই সংগঠনটির সদস্য সংখ্যা বর্তমানে ২৬৬ জন। এর মধ্যে কোভিড-১৯ এর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৫ জন চিকিৎসকও কাজ করছেন। আছেন আরো ৭ জন চিকিৎসকসহ ৪১ জন মেডিকেল শিক্ষার্থী।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সংশপ্তক’র সমন্বয়ক জহিরুল ইসলাম জানান, আমাদের এই সংগঠনের সকলের বাড়ি নাঙ্গলকোট উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। আমরা সকলেই শিক্ষার্থী। আমরা চাই আমাদের উপজেলাকে আলোকিত করতে। আমাদের মানুষগুলোকে করোনার মতো প্রাণঘাতী ভাইরাস থেকে সচেতন করতে। তাই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।
জহিরুল ইসলাম জানান, করোনা প্রতিরোধে নাঙ্গলকোটের প্রতিটি ইউনিয়নে আমাদের একটি মেডিকেল টিম এবং একটি স্বেচ্ছাসেবক টিম নিঃস্বার্থভাবে কাজ করছে। উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার জন্য মোট ১৭টি টিম কাজ করবে।
তিনি আরো জানান, গত কয়েকদিন ধরে আমরা নাঙ্গলকোট উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় একযোগে নানা কার্যক্রম চালাচ্ছি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাক্স বিতরণ, সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে লিফলেট দেওয়া, গ্রামে গ্রামে মাইকিং করা ও বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের খোঁজখবর নেওয়া। আমরা তাদেরকে করোনা সংক্রমণ এড়াতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে উৎসাহিত করছি। নাঙ্গলকোট উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের বাজারে ও গ্রামে গ্রামে আমাদের টিমের সদস্যরা জীবাণুনাশক স্প্রে করছেন।
জহিরুল ইসলাম আরো জানান, ইতোমধ্যেই তালিকাভুক্ত ২৬৬ জন সদস্যের বাইরে আরো অনেকেই আমাদের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছা প্রকাশ করছেন। আমাদের এই কার্যক্রম সব সময় অব্যাবহ রাখতে চেষ্টা করবো। পাশাপাশি আমরা এই টিমের মাধ্যমে মানুষের থেকে সহযোগিতা ও অনুদান সংগ্রহ করে নাঙ্গলকোট উপজেলার দিনমজুর, খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে খাবার (চাল, ডাল ইত্যাদি) বিতরণ করবো। এজন্য সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।