বরিশালে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে স্থানীয় দুই ফটোসাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে।
রোববার (২৯ মার্চ) দুপুরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির তিন সদস্যকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়৷ তারা হলেন, বন্দর থানার নায়েক মহসিন, কনেস্টেবল কাওসার ও জাহিদুল।
বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করে বন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদার জানান, বরিশালে করোনা সংক্রমণ সংক্রান্ত সরকারি প্রচারণার ছবি তুলতে যেয়ে স্থানীয় পত্রিকার দুই ফটো সাংবাদিক পেটানোর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ফাঁড়ির তিন সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। ওই তিন পুলিশ সদস্য বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ফাঁড়ির দায়িত্বে ছিল, ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর তাদেরকে ক্লোজড করে লাইনে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতুর ঢালে ইউএনও এর সামনেই স্থানীয় দুই ফটোসাংবাদিককে মারধর করে পুলিশ। মারধরের শিকার দুই সাংবাদিক হলেন— বরিশালের স্থানীয় আঞ্চলিক পত্রিকা দৈনিক দেশজনপদ পত্রিকার ফটোসাংবাদিক মো. সাফিন আহমেদ রাতুল ও দৈনিক দখিনের মুখ পত্রিকার ফটোসাংবাদিক মো. নাছির উদ্দিন।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক নাছির বার্তা২৪.কমকে বলেন, যাদের সঙ্গরোধে (হোম কোয়ারেন্টাইন) থাকার কথা ছিল তারা থাকছেন না এবং যারা অবাধে ঘোরাঘুরি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে শুনে আমরা ছবি তুলতে সেতুর ঢালে যাই। তখন সেখানে তাদের না পেয়ে মোটরসাইকেল রেখে একটু সামনে হেঁটে যাই। কিছুক্ষণ পর পেছন থেকে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের পোশাক পরিহিত আট থেকে নয় জন পুলিশ এসে কোনো কথা জিজ্ঞেস না করেই আমাদের বেধড়ক পেটানো শুরু করে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বহুবার সাংবাদিক পরিচয় দিলেও মারধর থেকে রেহাই পাইনি। তখন আমাদের গলায় প্রেসের কার্ড ও ক্যামেরা ঝোলানো ছিল এবং মুখে মাস্ক ও মাথায় হেলমেটও ছিল।’