প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ আতঙ্কে লকডাউন চলাকালে সেনা ও পুলিশ সদস্যদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে খুলনায় ১০ টাকা দরের চাল কিনতে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের লাইন ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে। চালের ট্রাক ঘিরে উপচেপড়া ভিড় কর্মহীন নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের। উপচেপড়া ভিড়ে কেউই মানছেন না সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি।
বৃহস্পতিবার (০৯ এপ্রিল) দুপুরে প্রখর রোদে দাঁড়িয়ে থেকে খুলনার নিউমার্কেটসহ কয়েকটি এলাকায় এমন ভিড় করে চাল কিনতে দেখা যায়। জনসমাগম নিষিদ্ধ ও লোক জড়ো হলে করোনার ঝুঁকি আছে জানা সত্ত্বেও কেউ নিয়ম মানেনি।
দেখা যায়, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ কার্যক্রম চলার কথা থাকলেও লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলো সেটি মানছেন না। গা ঘেঁষে ঘেঁষে দাঁড়িয়ে ১০ টাকা দরে চাল নিচ্ছেন অসহায় মানুষগুলো। একাধিকবার নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখার কথা প্রশাসন থেকে মাইকে বলা হলেও কেউ তা মানছেন না। কে আগে চাউল নেবে সেটি তাদের মূল লক্ষ্য ছিল।
জানা যায়, করোনার ভয় উপেক্ষা করে খুলনা নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের ১০টি পয়েন্টে এবং ৯ উপজেলায় গত রোববার, মঙ্গলবার ও বৃহষ্পতিবার সকাল ১০টা-বিকেল ৩টা পর্যন্ত এমনি ভিড় করে দশ টাকা কেজি দরে চাল কিনছে সবাই। নগরীতে প্রতিদিন ২০ মে. টন চাল বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহে একবার ৫ কেজি চাল কিনতে পারেন একজন ক্রেতা। চাল কেনার সময় ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হচ্ছে।
ওএমএস ডিলার পলাশ ইসলাম বলেন, আমরা দূরত্ব বজায় রেখেই কাজ করার চেষ্টা করছি। তবে অধিকাংশই নিয়ম মানছেন না। সকাল ১০টা থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মধ্য ও নিম্নবিত্ত পরিবারকে আমরা এ চাল বিতরণ করবো। সপ্তাহে তিনদিন এ এলাকায় চাল বিতরণ করা হবে।