উপকূলে আঘাত হানতে গিয়ে টানা চার ঘণ্টার বেশি সময় তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় আম্পান। এই তাণ্ডব বেশি চলেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার গতিতে ঝড় বয়ে গেছে সেখানে। এতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে পশ্চিমবঙ্গ।
অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের তাণ্ডব শেষে সুন্দরবন দিয়ে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করে ঘূর্ণিঝড় আম্পান। এ সময় সাতক্ষীরা, খুলনা ও বরগুনার নিম্নাঞ্চল জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়। ঘণ্টায় ১৫১ কিলোমিটার বেগে সাতক্ষীরা অতিক্রম করে আম্পান। এরপর ১৬৭ কিলোমিটারে আঘাত হানে যশোরে। এখানেও তাণ্ডব চালিয়ে এখন অতিক্রম করতে যাচ্ছে রাজশাহী। কিছুটা দুর্বল হয়ে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে উপকূলের স্থলভাগের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আম্পান।
বৃহস্পতিবার (২১ মে) ভোর ৫ টায় আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের গতি কিছুটা কমেছে। ধীরে ধীরে দুর্বল হতে শুরু করেছে। তবে এই ঘূর্ণিঝড় নিম্নচাপে পরিণত হতে আরও সময় লাগবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ও আমাবস্যার কারণে উপকূলে স্বাভাবিক জোয়ার থেকে ৮-১০ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হয়েছে। এতে অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তবে ভাটা পড়ায় পানি কমতে শুরু করেছে। ‘
এ আবহাওয়াবিদ বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চলে দমকা হাওয়াসহ থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। সকাল থেকে ধীরে ধীরে এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করবে।’
এদিকে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, ভোলা, বরগুনা ও যশোরে নয় জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এছাড়া ব্যাপক কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালা ভেঙে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আবহাওয়া অফিসের বিশেষ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে দেওয়া ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এখনো বহাল রয়েছে।