সুপার সাইক্লোন আম্পানের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি
আশঙ্কার তুলনায় কম হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় শেখ হাসিনা সরকার আবারো দক্ষতার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। যার ফলে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি আশঙ্কার তুলনায় অনেক কম হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ মে) দুপুরে নিজের সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, সুপার সাইক্লোন আম্পানে আঘাতে বেশ কয়েকটি জেলায় ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক না হলেও একেবারে কমও হয়নি। সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, হাতিয়াসহ বেশকিছু এলাকায় জলোচ্ছ্বাসে বেড়িবাঁধ ভেঙে ফসলহানি, এমনকি কিছু কিছু জায়গায় প্রাণহানিও ঘটেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় শেখ হাসিনা সরকার আবারো দক্ষতার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। যার ফলে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি আশঙ্কার তুলনায় অনেক কম হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার দুর্যোগ পূর্ববর্তী, দুর্যোগকালীন এবং দুর্যোগ পরবর্তী পুনবার্সন প্রস্তুতি যথাযথভাবে সম্পন্ন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ঝড়ের আগে বিভিন্ন জেলায় প্রশাসন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং আওয়ামী লীগ কর্মীরা প্রায় ২৪ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে এসেছেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, দুর্যোগ পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় বেড়িবাঁধ মেরামতসহ সার্বিক পুনবার্সনে ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষ করোনার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতিও মোকাবিলা করছে। আমারা আজ দুটো চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করছি।
এই দুর্যোগকালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঘূর্ণিঝড় উপদ্রুত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, মানুষের দোয়া ও শেখ হাসিনা সরকারের পূর্ব প্রস্তুতি ঘূর্ণিঝড় থেকে অল্প ক্ষতির মধ্য দিয়ে উত্তরণ ঘটিয়েছে। পাশাপাশি সুন্দরবন সুরক্ষা প্রাচীর হিসেবে কাজ করেছে। দুর্যোগ পরবর্তী পুনবার্সন, পানিবন্দী মানুষের সুরক্ষা এবং ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ মেরামতে শেখ হাসিনার সরকার ও আওয়ামী লীগ আপনাদের পাশে রয়েছে। মনে রাখবেন আপনারা একা নন, শেখ হাসিনার মতো দরদি দক্ষ নেতৃত্ব আপনাদের সাথে সার্বক্ষণিকভাবে রয়েছেন।
করোনা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, কিছু দিন ধরে আমাদের অসাবধানতা অসচেতনতার জন্য করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বেড়েই চলছে। যারা সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছেন না, স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না, অহেতুক যেখানে সেখানে সমাগম করছেন তারা জেনে শুনেই সংক্রমণ ও মৃত্যুকে ডেকে আনছেন।