রাজধানীর শ্যামবাজার ফরাসগঞ্জে বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবির ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও কোস্ট গার্ডের ডুবুরিরা মরদেহ তুলতে হিমশিম খাচ্ছেন। কিছুক্ষণ পর পর মিলছে মরদেহ। স্বজনদের আহাজারিতে শোকে স্তব্ধ সদরঘাট।
প্রায় ৪ ঘণ্টা পানিতে ডুবে থাকায় মরদেহ কিছুটা বিকৃত হয়ে গেছে। শনাক্ত করতেও বেগ পেতে হচ্ছে। উদ্ধার করা মরদেহ সাদা প্যাকেটে মুড়িয়ে একটি নৌকার উপরে রাখা হচ্ছে। এমন ৩১টি সাদা প্যাকেট নৌকাটি ভর্তি হয়ে গেছে। পাশেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন স্বজনরা। করছেন আহাজারি।
অনেক স্বজন এখনও পর্যন্ত জানে না মরদেহ উদ্ধার হয়েছে কিনা। ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে অনেক আগে। দাঁড়িয়ে বসে শুয়ে আহাজারি করছেন তারা। স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে সদরঘাট।
কোস্ট গার্ড সদর দফতরের মিডিয়া উইং এর কর্মকর্তা লেঃ কমান্ডার হায়াৎ ইবনে সিদ্দিক বার্তা২৪.কমকে জানান, এখন পর্যন্ত ৩১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২৯ জুন) সকাল নয়টার দিকে ময়ুর-২ নামের একটি লঞ্চের ধাক্কায় কমপক্ষে ৫০ জন যাত্রী নিয়ে মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়। কেরানীগঞ্জের একটি ডকইয়ার্ড থেকে মেরামত শেষে ময়ূর-২ নদীতে নামানোর সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
তবে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি থেকে কয়েকজন যাত্রী সাঁতরে পাড়ে উঠলেও অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি, শিশুসহ ৩১ জনের মরদেহ উদ্ধার