কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কক্সবাজারের টেকনাফে পশুর হাটে বিক্রির জন্য মেসি ও বস নামে দুটি গরুকে প্রস্তুত করা হয়েছে।
মেসির দৈর্ঘ্য ৮ ফুট, উচ্চতা ৫ ফুট। সাদা ও কালো রঙের এই গরুটির ওজন ১৪ মণ।
আর বসের ওজন ১২ মণ। দেখতে লাল রঙের। তবে লেজের মাথা ও পেছনের দুই পা সামান্য সাদা রঙের।
ইতোমধ্যে সাধারণ মানুষের নজর কেড়েছে মেসি ও বস। অনেকের ধারণা- টেকনাফের খামারিদের মধ্যে মেসি ও বস সবচেয়ে বড় সাইজের গরু।
টেকনাফ পৌরসভার খায়ুকখালী পাড়ার মো. আহমেদের খামারে এই মেসি ও বসের দেখা মিলে। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মেসি ও বসকে বিক্রির উদ্দেশে প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া একটি মহিষসহ আরও দুটি মাঝারি সাইজের গরু বিক্রি করবেন খামারি মো. আহমেদ।
খামারি মো. আহমেদ জানান, গত ৮ বছর ধরে গরুর খামার রয়েছে তার। গত দুই বছর আগে ২ লাখ টাকা দামে মেসিকে ক্রয় করেন। মেসি খুব শান্ত স্বভাবের। আর একই সময় বসকে দেড় লাখ টাকা দিয়ে ক্রয় করেন। এরপর থেকে মেসি ও বসকে দেশীয় খাবার খাইয়ে মোটাতাজা করেন তিনি।
তিনি আরও জানান, প্রতিদিন দুই বেলায় ১০ কেজি খাবার খায় মেসি ও বস। এর মধ্যে গমের ভূষি, ধানের কুঁড়া, ভুট্টা, শুকনো খড় ও কাঁচা ঘাস রয়েছে। মঝে মধ্যে ভাতও খাওয়ানো হয়। মেসি ও বসের প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার টাকার খাবার লাগে। ইতোমধ্যে এক ব্যবসায়ী মেসিকে ৫ লাখ এবং বসকে ৪ লাখ টাকা দাম বলেছেন। তবে গরু দুটি ১২ লাখ টাকা দামে বিক্রি করবেন খামারি মো. আহমেদ।
এদিকে মেসি ও বসকে এক নজর দেখতে মো. আহমেদের বাড়িতে প্রতিদিনই ভিড় করছে অসংখ্য লোকজন।
টেকনাফ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, টেকনাফ উপজেলায় দেড় শতাধিক খামারি রয়েছে। তবে এর মধ্যে বড় খামারির সংখ্যা ৬৭ জন। এসব খামারে সাড়ে ৮ হাজার গরু, মহিষ ও ছাগল মজুদ রয়েছে। যা আগামীতে কোরবানির হাটে তোলা হবে। এছাড়া এই উপজেলায় সাড়ে ৬ হাজার কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে। তবে রোহিঙ্গাদের হিসাব ধরা হলে ১ হাজার কোরবানির পশুর সংকট থাকবে।
টেকনাফ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. মো. শওকত আলী জানান, চাহিদা অনুযায়ী টেকনাফে কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের হিসাব ধরলে ১ হাজারের মতো পশুর সংকট থাকবে। এছাড়া করোনার কারণে অনেক মানুষের আয় বন্ধ হয়ে গেছে। তাই এবারে খামারিরা গরু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছে।