ঢাবি’তে ‘৭ মার্চ ভবন’ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা, জাতীয়

তপন কান্তি রায়, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 11:45:32


  • # নিরাপত্তার স্বার্থে জিরো টলারেন্সে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন

  • # শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরাজ করছে আনন্দমুখর পরিবেশ 


আগামী ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল প্রাঙ্গণে নবনির্মিত ‘৭ মার্চ ভবন’ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মূলত ছাত্রীদের আবাসন সংকট নিরসন এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে স্মরণীয় করে রাখতে ওই ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রী আসার খবরে ক্যাম্পাসে আনন্দমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। রোকেয়া হলের ভেতরে বসানো হচ্ছে সিসিটিভি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও হল প্রশাসন নিরাপত্তার বিষয়ে কঠোর ভূমিকা পালন করছে।

ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ‘৭ মার্চ ভবন’ উদ্বোধন করতে হল প্রাঙ্গণে আসবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেজন্য আবাসিক শিক্ষকরা তাদের যেসব নির্দেশনা দিয়েছেন তা তারা মেনে চলছেন।

জানা গেছে, ‍ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নতুন ভবনের ফলক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর ভবন প্রাঙ্গণে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য এবং ৫তলা ভবনে নির্মিত ৭মার্চ জাদুঘর পরিদর্শন করবেন তিনি। সবশেষে নতুন ভবনের মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন। ওই আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এবং স্বাগত বক্তব্য রাখবেন রোকেয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক জিনাত হুদা।

প্রধানমন্ত্রীর আগমনের বিষয়ে অধ্যাপক জিনাত হুদা বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘ভবন উদ্বোধন করতে প্রধানমন্ত্রী আসবেন এটা জেনে ছাত্রীরা আনন্দিত। তারা অধীর আগ্রহে ওই দিনটির জন্য অপেক্ষা করছে। অনেক ছাত্রী প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পড়তে আসে, শহরে তারা নিরাপদ থাকার জায়গার পায় না। ছাত্রীদের এ সমস্যা সমাধানের জন্যই ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানী বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও সতর্ক অবস্থানে আছে। তার নিরাপত্তার বিষয়ে প্রশাসন জিরো টলারেন্স ভূমিকা পালন করবে।’

জানা গেছে, ২০১২ সালে ভবনটির ভিত্তি প্রস্তরও উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোকেয়া হল প্রাঙ্গণে নবনির্মিত অত্যাধুনিক এ ভবনটি একটি সম্মিলিত ভবন। এরমধ্যে ১১তলা ও ৫তলা বিশিষ্ট দুটি ভবন করা হয়েছে। ১১তলা ভবনে প্রায় এক হাজার ছাত্রীর আবাসন ব্যবস্থা আছে। আর ৫তলা ভবনে জাদুঘর, রিডিং রুম, অডিটোরিয়াম ও টেলিভিশন কক্ষ রাখা হয়েছে।

ভবন ঘুরে দেখা গেছে, কক্ষগুলো অন্য ছাত্রীহলের কক্ষের তুলনায় বেশ বড়। প্রতিটি কক্ষে চারজন ছাত্রীর জন্য পৃথক চারটি বিছানা আছে। কয়েকটি কক্ষে গ্যাস সংযোগসহ রান্নাঘর ও বড় আকারের বেসিন রাখা হয়েছে। আর গোসলের জায়গা ও বাথরুমে লাগানো হয়েছে দৃষ্টিনন্দন টাইলস। ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য এবং ৫তলা ভবনের দেয়ালে সাটানো আছে বঙ্গবন্ধুর সেই ডান হাতের তর্জনী আঙ্গুল তোলা ৭ মার্চের ভাষণের প্রতিচ্ছবি। একই প্রতিচ্ছবি আছে ১১তলা ভবনের ছাদেও। যা রাতে টিএসসি থেকেও দেখা যায়। এছাড়াও ভবনের সামনে সবুজ মাঠ আর সাথে লাগোয়া ফুলবেড শোভা পাচ্ছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর