দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময়ে বসতে চলছেন প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক বিফ্রিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান। এতে প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে দাওয়াত দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বিজ্ঞাপন
শফিকুল আলম বলেন, আগামী শনিবার থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে। এতে ৬ সংস্কার কমিশনের কাজের অগ্রগতির ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোকে অবগত করা হবে। তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া হবে। এছাড়া বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অবগত করা হবে।
গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচনব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, সংবিধান ও দুর্নীতি দমন বিষয়ে সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন গঠনের কথা জানান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আবদুল মূয়ীদ চৌধুরী। আর সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে প্রথমে বিশিষ্ট আইনজীবী শাহদীন মালিকের নাম ঘোষণা করা হলেও পরে তা পরিবর্তন করে অধ্যাপক আলী রীয়াজকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
চারদিকে ঢাক ঢোল, কাঁসর, সানাই, নানা বাঁশি, করতাল ও খঞ্জরির আওয়াজে প্রকম্পিত এলাকা। কারো হাতে ঢোল বাঁশি সহ নানান ধরনের বাদ্যযন্ত্র। বাজারের রাস্তায় বাজনা বাজিয়ে নেচে-গেয়ে পূজারীদের মন আকৃষ্ট করছে ঢাকিরা। এমন দৃশ্য কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলায় পৌর এলাকায় প্রেসক্লাব সংলগ্ন পুরাতন বাজারে। প্রতিবছর পূজা শুরুর আগের দুদিন এই হাট বসে। মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এই হাট চলবে বুধবার পর্যন্ত।
যুগ যুগ ধরে অম্লান হয়ে আছে এই ঢাকের হাটের ঐতিহ্য। দূরদূরান্ত থেকে পূজারীরা এই হাটে আসেন পছন্দের বাদক দলটি বাছাই করে নিয়ে যেতে। তাদের আকৃষ্ট করতে নানান রকম ছন্দে ঢাক ঢোল, বাঁশি বাজিয়ে তাদের মুনশিয়ানা দেখায়। বাজনা পছন্দ হলেই শুরু হয় বায়না করার আলাপ আলোচনা। কোন দলের কত মূল্য হবে, তা নির্ধারিত হয় উপস্থিত পরীক্ষার মাধ্যমে। বাজনার তালে নাচ আর নানা অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে পূজারিদের নজর কাড়ারও চেষ্টা করেন ঢাকিরা। বাজনার শব্দে মুখর হয়ে ওঠে চারপাশ। যাদের সঙ্গে দরদাম মিলছে, তাদের অনুসরণ করে পিছু নেন ঢাকিরা।
এই হাটে ঢাক ঢোল বিক্রি হয়না। পূজায় চুক্তিবদ্ধ হয়ে দলটি পূজারীর বাড়িতে যায়। কেউ আগে থেকেই চুক্তিবদ্ধ থাকলে তার হাটে আসার প্রয়োজন হয়না। মুঠোফোনে কথা বলে চলে যায় গন্তব্যে। একসময় শত শত বাদক দল আসলেও এখন ৬০-৮০টি দল আসে। প্রতি দলে ১৫-২০ জন বাদক থাকে। বর্তমানে এর সংখ্যা কমে আসার মূল কারণ প্রযুক্তির ব্যবহার। হাটে আসা ছাড়াই চুক্তি হয়ে চলে যান।
কটিয়াদীর এই ঢাকের হাটের ইতিহাস ৪০০ বছরের বেশি সময়ের পুরোনো। এ কারণে হাটটি জেলার সব ধর্মের মানুষের কাছে ইতিহাস-ঐতিহ্যের অংশ হয়ে আছে। হাট বসে দুর্গাপূজা ঘিরে। পঞ্চমী ও ষষ্ঠী হাটবার। এবারও একই নিয়ম মেনে পুরানবাজারে বসেছে ঢাকের হাট।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাজারের রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে বাজনা বাজাচ্ছেন তারা। কেউ রিকশা থেকে দলবল নিয়ে সবেমাত্র নামছেন৷ কেউ আগের রাতেই এসেছেন। কেউ চুক্তি হয়ে যাওয়াতে চলে যাচ্ছেন। অনেক দল বায়না না হওয়া পর্যন্ত হাটে অবস্থান করবেন। এইবার হাটে দুই শতাধিক ঢাকি এসেছে বলে আয়োজকরা জানান। স্থানীয় সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক পূজারিরা এসেছেন পছন্দের বাদক দলটি নিতে। ৩০-৪০ হাজার এবং সর্বোচ্চ ১ লক্ষ টাকায় চুক্তি হয়ে অনেক দল চলে গেছে।
ঢাকার দোহার নবাবগঞ্জ থেকে আগত বরুণ দাস বলেন, আমার দলে ছয় সদস্যের ঢাকি। একাধিক দলে বিভক্ত হয়ে একসাথে আমরা চল্লিশ জন আসছি ৷ বায়না হলে বিভিন্ন পূজা মন্ডবে চলে যাবো।
নরসিংদীর বেলাবো থেকে আসা নিতাম বলেন, এইবার স্থানীয়ভাবে চুক্তি হয়নি, তাই কটিয়াদীর ঢাকের হাটে আসলাম। পাঁচ সদস্যের দল আমাদের, ত্রিশ হাজার চাচ্ছি। বিশ হাজার বায়না বলা হচ্ছে। আরেকটু দেখে চুক্তিবদ্ধ হয়ে যাবো।
কটিয়াদী উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব প্রভাষক ধ্রুব রঞ্জন দাস বলেন, এই ঢাকের হাট আমাদের ঐতিহ্য। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ঢাকিদের দেখাশোনা ও তদারকি করছি। হাটে অস্থায়ী মনিটরিং কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে সার্বিক নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। এলাকাবাসী সবাই সহযোগিতা করছে।
জনশ্রুতি আছে, ষোড়শ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে স্থানীয় সামন্ত রাজা নবরঙ্গ রায় তার রাজপ্রাসাদে দুর্গাপূজার আয়োজন করতেন। কটিয়াদীর চারিপাড়া গ্রামে ছিল রাজার প্রাসাদ। একবার রাজা নবরঙ্গ রায় সেরা ঢাকিদের সন্ধান করতে ঢাকার বিক্রমপুর পরগনার (বর্তমানে মুন্সিগঞ্জ) বিভিন্ন স্থানে আমন্ত্রণ জানিয়ে বার্তা পাঠান। সে সময় নৌপথে অসংখ্য ঢাকি দল পুরোনো ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে যাত্রাঘাটে সমবেত হন। রাজা নিজে দাঁড়িয়ে একে একে বাজনা শুনে সেরা দলটি বেছে নেন এবং পুরস্কৃত করেন। সেই থেকেই যাত্রাঘাটে ঢাকের হাটের প্রচলন শুরু। পরবর্তী সময়ে হাট স্থানান্তরিত হয় পুরানবাজারে। এখনো হাট বসে সেখানে।
কটিয়াদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঢাকিদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ কাজ করছে। শান্তিপূর্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশে হাট চলছে।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ছুটি একদিন বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন শেষে এই কথা জানিয়েছেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন, অনেকদিন ধরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দাবি ছিল দুর্গাপূজার ছুটি বাড়ানোর জন্য। তারা ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত আনন্দ উদযাপন করেন। এবার দুর্গাপূজার দশমীর আগে শুক্র-শনিবার পড়েছে। তাই আমরা চিন্তা করেছি এবার একদিন ছুটি বাড়িয়ে দেব। যাতে তারা একটা বড় সময় পান পূজা উদযাপনের জন্য।
এছাড়া, বৃহস্পতিবার ছুটি ঘোষণা করে আজকের মধ্যে একটি প্রজ্ঞাপন হয়ত জারি হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বৈষম্যবিরাধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রথম নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাইদকে ‘সন্ত্রাসী’ বলা সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম উর্মিকে স্থায়ী ভাবে বহিস্কার দাবিতে লালমনিরহাটে ছাত্র সমাজের মানববন্ধন।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকালে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সচেতন ছাত্র সমাজের ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তরা জানান, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম উর্মি প্রধান উপদেষ্টা ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট করেছেন। সেখানে এ আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রথম নিহত রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্বাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাইদকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে ফেসবুক পোস্ট করেন। এতে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় তাকে লালমনিরহাট থেকে ওএসডি করে বদলি করেছে মাত্র। পরবর্তিতে তাকে সাময়িক ভাবে বরখাস্থ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়।
বদলি বা সাময়িক বরখাস্থ কোন শাস্তি নয়। বিগত সরকারের দোষর তাপসী তাবাসসুম উর্মিকে চুড়ান্ত ভাবে চাকুরী থেকে বরখাস্থ করে তাকে গ্রেফতারের দাবি জানান বক্তারা।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, জেলা আইনজীবী কাউন্সিলের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট ফিরোজ হায়দার লাভলু, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লালমনিরহাট জেলা সমন্বয়ক ওসমান গনি, পলাশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউল ইসলাম ফাতেমি পাভেল, সাপটিবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম, ব্যবসায়ী নিয়াজ আহমেদ রেজা, অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শামসুল আলম খান বুলেট।
অবৈধ ও দুর্ঘটনাপ্রবণ সিএনজি (গ্যাস) পাচার রোধ করে ২৪ ঘণ্টা নিরবিচ্ছিন্নভাবে সিএনজি (গ্যাস) সরবরাহের দাবি জানিয়েছে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক সমিতি।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার পেট্রোবাংলার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে এই দাবি জানানো হয়। বাঁচাও রাইড পরিষেবা ঐক্য পরিষদ এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলা সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিক এক্য পরিষদ ব্যানারে বিক্ষোভ কর্মসূচিটি অনুষ্ঠিত হয়।
আন্দোলনকারীরা বলেন, আমাদের দিনে দুইবার সিএনজি স্টেশন থেকে গ্যাস আনতে হয়। প্রতিবার গ্যাস আনতে গিয়ে তিন ঘণ্টা, তিন ঘণ্টা মোট ৬ ঘণ্টা লাইনে পরে থাকতে হয়। তারপরেও অনেক সময় আমরা গ্যাস পাইনা। পেলেও গ্যাসের চাপ থাকেনা অর্ধেক গ্যাসও নিতে পারি না আমরা।
তারা বলেন, আমরা যদি দিনের ৬ ঘণ্টা গ্যসের জন্য লাইনেই দাড়িয়ে থাকি। তাহলে ভাড়া খাটবো কখন আর টাকা রোজগার করবো কিভাবে? এভাবে আমরা কিভাবে পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকবো? একটা সিএনজি রাস্তায় নামাতে আমাদের ৩০ লাখ টাকা খরচ হয়। অথচ একটা প্রাইভেট ১২/১৪ লাখ টাকা হলেই পাওয়া যায়।
তারা বলেন, আমরা যদি ধরি ঘণ্টায় ৩০০ টাকা আমাদের ইনকাম হয়। তাহলে দিনে ৬ ঘণ্টা গ্যাসের জন্য সময় দিয়ে আমাদের প্রত্যেকের কমপক্ষে ১৮শ' টাকা ক্ষতি হয়। এই টাকা হলে আমাদের প্রত্যেকটা পরিবার ভালোভাবে চলতে পারে। তাই আমাদের দাবি একটাই অবৈধ ও দুর্ঘটনাপ্রবণ সিএনজি (গ্যাস) পাচার রোধ করে সঠিক পরিমাপে ২৪ ঘণ্টা সিএনজি ফিলিং স্টেশন খোলা রেখে নিরবিচ্ছিন্নভাবে সিএনজি (গ্যাস) সরবরাহ করতে হবে।
এদিকে পেট্রোবাংলার চায়ারম্যান বরাবর পেশ করা লিখিত স্মারকলিপিতে তারা জানান, গত দুই যুগ ধরে পরিবহন খাতে উল্লেখযোগ্য যানবাহনে দেশের তুলনামূলক সাশ্রয়ী জ্বালানী হিসেবে সিএনজি (গ্যাস) এর ব্যবহার ব্যাপকভাবে জ্বালানী খাতের চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু, এটা খুবই দুঃখজনক যে, গত ছয় মাসের বেশি সময় ধরে এই সিএনজি প্রাপ্তিতে সৃষ্টি হয়েছে চরম ভোগান্তি। এতে একদিকে যেমন প্রতিটি বাহনকে এক কিংবা দু'বারের স্থলে প্রতিদিন ২ অথবা ৩ বার সিএনজি রিফিল করার জন্য যেতে হচ্ছে ফিলিং স্টেশনে অন্যদিকে প্রতিবারে দুই থেকে তিন ঘণ্টা সময় ব্যয় করে যে পরিমাণ গ্যাস পাচ্ছে তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। এমনকি দীর্ঘ সময় লাইনে দাড়িয়ে অপেক্ষা করে গ্যাস নিতে গিয়ে উল্টো উক্ত যানবাহনে পূর্বের রিজার্ভকৃত গ্যাসের একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ গ্যাস শুধুমাত্র সিস্টেমগত ত্রুটির কারণে অযথা অপচয় হচ্ছে।
অনতিবিলম্বে দুর্ঘটনা প্রবণ অবৈধ পন্থায় সিএনজি পাচার বন্ধ করলে এবং ২৪ ঘণ্টা সিএনজি স্টেশন খোলা রেখে নিরবিচ্ছিন্নভাবে অনুমোদিত যানবাহন গুলোতে এই জ্বালানি সরবরাহ করলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান হবে। আমরা আশা করি বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং একই সাথে সংশ্লিষ্ট দপ্তর কর্তৃক শ্রমিক ও জনদুর্ভোগ সম্বলিত এই সমস্যা সমাধানে আন্তরিক ভূমিকা পালন করবেন।