ক্রেতা শূন্য গরুর হাট, বিক্রেতারা হতাশ

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ | 2023-09-01 08:54:28

কোরবানি ঈদের আর মাত্র ৯ দিন বাকি। প্রতিবছর এসময় হাটে ক্রেতাদের সমাগম ঘটে তবে এবার চিত্র পুরোপুরি ভিন্ন। ঈদকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে চাঁপাইনবাবগঞ্জের হাটগুলোতে গরু বেচাকেনা শুরু হলেও করোনার কারণে স্থানীয় ও বাইরে থেকে ব্যাপারীরা না আসায় গরু বিক্রি নিয়ে হতাশায় বিক্রেতারা। এছাড়া হাটগুলোতে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি। স্বাস্থ্যবিভাগ বলছে, হাটগুলোতে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে না পারলে করোনা সংক্রমণ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছোট-বড় মিলিয়ে ২২-২৩টি গরুর হাট রয়েছে। এ হাটগুলোতে কোরবানির ঈদের সময় এক মাস আগে থেকেই গরু বেচাকেনা শুরু হয়। কিন্তু এবার করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করায় হাটগুলোতে বেচাবিক্রি তেমন নেই। গত বছর এসময় গরুর হাট জমে উঠলেও এবার তার চিত্র উল্টো। স্থানীয় ক্রেতা বা বাইরের ব্যাপারী হাটে না আসায় গরু বিক্রি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বিক্রেতারা। একদিকে দাম কম অন্যদিকে গরু বিক্রি করতে না পারাই হতাশ হাটে গরু নিয়ে আসা বিক্রেতারা।

এদিকে গরুর হাটগুলোতে অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতাদের মুখে মাস্ক নেই। শরীরের সাথে শরীর ঠেকিয়ে হাটের মধ্যে চলাচল করছেন। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়তে পারে বলে সচেতন মহল মনে করছেন।

কয়েকজন গরু বিক্রেতা জানান, করোনার কারণে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গরুর চাহিদা না থাকায় গরু কিনতে আসেনি এবার ব্যাপারীরা। এছাড়া, স্থানীয় পর্যায়ে ক্রেতা তেমন নেই।

মনাকষা ও তর্ত্তিপুর হাট ইজারাদার মো. মোজাম্মেল হোসেন ও মো. ডালিম হোসেন জানান, ঈদ ঘনিয়ে আসলেও এখনো পশুর হাট জমে উঠেনি। তাই বেশি টাকায় হাট নিয়ে এখন টাকা উঠবে কিনা জানি না। এ অবস্থা চলতে থাকলে লোকসান ছাড়া অন্য কিছু ভাবা যাচ্ছে না।

সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী জানান, কোরবানির পশুর হাটগুলোতে জনসচেনতা সৃষ্টি করতে না পারলে জেলায় করোনার সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করছেন।

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তা কৃষিবিদ ডা. মো.মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ বছর জেলায় ৯১ হাজার ৪১৭টি কোরবানির পশুর চাহিদার বিপরীতে ৯৮ হাজার ৭৬৯টি পশু প্রস্তুত রয়েছে। করোনার কারণে ক্রেতারা হাটে যেতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তবে কিছু অনলাইনে গরু বিক্রি হচ্ছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর