সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ব্যাপারে যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তা দেশের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ডিআরইউতে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, কী অবস্থা করেছে বাংলাদেশের? আমাদের একটা প্রতিষ্ঠান র্যাবকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এটা কিন্তু দেশের জন্য অত্যন্ত লজ্জার। আমার প্রায় ৭৪ বছর বয়স আমি কোনদিন শুনিনি পাকিস্তান আমলেও যে আমাদের কোনও প্রতিষ্ঠানের ওপরে এ ধরনের একটা কলঙ্কজনক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা দেশের জন্য লজ্জার। আজকে দুর্ভাগ্য আওয়ামী লীগ এই অবস্থার সৃষ্টি করেছে। যে প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে আমাদের গর্ব করা উচিৎ তারা আজ সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দুঃখ হয় আমাদের সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধানের যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। তিনি আর সেখানে ঢুকতে পারবেন না। অর্থাৎ আমরা এমন একটা বর্বর জাতিতে পরিণত হয়েছি, আমরা এমন একটা অসভ্য জাতিতে পরিণত হয়েছি, এমন একটা অগণতান্ত্রিক দেশে পরিণত হয়েছি যে এখন আমাদের রাষ্ট্রের যারা উপরের দিকে আছে যাদের ওপর রাষ্ট্র নির্ভর করে তাদেরকে আজকে বিভিন্ন রাষ্ট্রগুলো গ্রহণ করতে পারছে না। দুঃখ হয় এমন একটা বর্বর দেশে আমরা পরিণত হয়েছি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ক্ষমতা ধরে রাখতে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে, তার ফল মার্কিন নিষেধাজ্ঞা। দেশকে এমন অবস্থায় নিয়ে গেছে যে সাবেক প্রতিমন্ত্রীকেও বিভিন্ন দেশ প্রবেশে বাধা দিচ্ছে।
ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এখন আর কোনও রাজনৈতিক দল নয়। দানবে পরিণত হয়েছে। দেশ চালায় আমলারা। সত্যিকার অর্থেই আওয়ামী লীগ কিন্তু আর দেশ চালায় না। দেশ চালায় এখানে আমলা, তারা গণতন্ত্রের বাহিরে গিয়ে তারা আজকে দেশ পরিচালনা করছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ এখন গাড়িতে পরিণত হয়েছে। চায়ের দোকানে আওয়ামী লীগ-বিএনপি চেনার উপায়। যে উচ্চস্বরে অশ্লীল কথা বলে সেই আওয়ামী লীগ।
জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা মো. মোশারফ হোসেন, টিএস আইউব, মেহেদি হাসান পলাশ, কাদের সিদ্দিকী, ইশতিয়াক আহমেদ নাসির প্রমুখ বক্তৃতা করেন।