জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৭ জানুয়ারি অংশ নিয়ে গণতন্ত্রকে বাঁচিয়েছি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মজিবুল হক চন্নু।
রোববার (১৮ জানুয়ারি) সকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সংরক্ষিত নারী আসনের জাতীয় পার্টি মনোনীত দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা শেষে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মজিবুল হক চুন্নু বলেন, বর্তমান জাতীয় সংসদের আইন অনুযায়ী ৫০ জন সংরক্ষিত নারী আসনের ভাগাভাগির মধ্যে জাতীয় পার্টি দুইটি আসন পায়। জাতীয় পার্টি পার্লামেন্টারি বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান মিসেস সালমা ইসলাম ও ঠাকুরগাঁও জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি মিসেস নুরুন নাহার। দুইজনই আমার দলের পরীক্ষিত নিবেদিত পুরোনো কর্মী। এবার দলের পক্ষ থেকে তারা সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আপনি যদি সংখ্যার দিকটা দেখেন গত পার্লামেন্ট অপজিশন অনেকেই ছিল। কিন্তু দিনের পর দিন সংসদ বর্জন করেছে। মাসের পর মাস বছরের পর বছর বর্জন করেছে। অপজিশন লিডার ৫ বছরে মাত্র ১০ দিন পার্লামেন্ট এসেছিলেন। তাই ওইরকম সংখ্যা দিয়ে লাভ কি। আমরা ১৩ জন যদি একটিভ থাকি তাহলে কম সংখ্যা দিয়েও জনগণের পক্ষে কথা বলা যায়। কম সংখ্যা দিয়েও পার্লামেন্টকে কাঁপানো যায়।
জাতীয় পার্টির এই নেতা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা তিনি যখন সংসদ নেতা ছিলেন তখন একজন সংসদ সদস্যই মরহুম বাবু সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত সংসদ কাঁপিয়েছিলেন। মনে হয় আমরা বর্তমানে পার্লামেন্ট যারা আছি ১১ জনের মধ্য ১ জন ছাড়া অন্যরা কয়েকবার সংসদ সদস্য ছিলেন। পার্লামেন্টে কথা বলার মত ক্যাপাসিটি আছে। এদেশের জনগণের কথা গত পার্লামেন্ট বলেছি এই পার্লামেন্ট নিশ্চয়ই বলব। এটা আমাদের ওপর জাতি ভরসা রাখতে পারেন।
৭ জানুয়ারি ভোটের পর গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা এগিয়ে না নিয়ে জাতীয় পার্টি ধারাবাহিকতা নষ্ট করেছে- আপনি যেটা বলেছেন এটা বিএনপির কথা। যারা নির্বাচনে আসেনি। কিন্তু আপনি কি মনে করে আমরা নির্বাচনে না আসলে যদি দেশে নির্বাচন না হতো তাহলে কি হতো। বিষয়টি একটু চিন্তা করলে উত্তর পেয়ে যেতেন। কারণ জাতীয় পার্টির ইতিহাস হলো নির্বাচন বর্জন নয়। আমি তো মনে করি আমরা দেশের মানুষের জন্য গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সঠিক কাজ করেছি।