বিলুপ্তির পথে যাত্রাপালা
গ্রামগঞ্জের বিভিন্ন হাট বাজারে, মাঠে, পাড়ায় কিংবা মহল্লাসহ বিভিন্ন এলাকায় এক সময় জমে উঠতো যাত্রাপালা। জোসনা রাতে সামাজিক এ যাত্রাপালা দেখতে ছোট বড় সব বয়সীরা দলবেঁধে ছুটে যেতো। কিন্তু কালের বিবর্তনে প্রায় বিলুপ্তির পথে বাংলার সংস্কৃতির অন্যতম নিদর্শন এই যাত্রাপালা।
সত্তর দশকে বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম ছিলো এই যাত্রাপালা। আর যাত্রাপালার কাহিনী আর গল্পগুলো বেশির ভাগই সমাজে ঘটে যাওয়া সত্য ঘটনা নিয়ে তৈরি করা হতো। এ সংস্কৃতি মানব সমাজ ও রাষ্ট্রের সামাজিক অবক্ষয় দূর করতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু কালের বিবর্তনে আধুনিকতার ছোঁয়ায় সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অন্যতম নিদর্শন এই যাত্রাপালা আজ বিলুপ্ত প্রায়।
একদিকে যেমন হারিয়ে যেতে বসেছে যাত্রাপালা অন্যদিকে যাত্রাপালার শিল্পীরা হয়ে পড়েছেন বেকার। ফলে জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে যাত্রাপালার অভিনয় জগত থেকে সরে যাচ্ছেন তারা।
এদিকে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) গভীর রাতে পঞ্চগড়ের আমলারহাট এলাকায় হঠাৎ চোখে পড়ে যাত্রাপালা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে যাত্রাপালাটির আয়োজন করা হয়।
এসময় কথা হয় একসময়ের মঞ্চ কাঁপানো যাত্রাপালা নায়ক ও পঞ্চগড় দিশারী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি রফিকুল ইসলামের সাথে। তিনি জানান, প্রায় হারিয়ে গেছে যাত্রাপালা। একসময় গ্রামগঞ্জে জমে উঠতো যাত্রাপালা এবং দূর দূর থেকে মানুষ দলবেঁধে সেখানে ছুটে যেতো। বিদেশী সংস্কৃতির কারণে আজ দেশীয় সংস্কৃতি হারিয়ে যাচ্ছে।
এবিষয়ে পঞ্চগড় বিদ্রোহী শিশু-কিশোর থিয়েটারের সভাপতি ও কলামিস্ট রহিম আব্দুর রহিম বার্তাটোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, 'যাত্রাপালায় একসময় নিজেও অভিনয় করেছি। কিন্তু দিন দিন এই ঐতিহ্যটি হারিয়ে যাচ্ছে। হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি উদ্ধার করা খুবই জরুরী।'