যখন যা বলা সুন্নত
হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে কাজ যেভাবে করেছেন এবং উম্মতকে করার আদেশ দিয়েছেন তাকেই ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় সুন্নত বলা হয়।
চলতে-ফিরতে আমরা অনেক কিছু বলি, ভালো-মন্দ অনেক কিছুই উচ্চারিত হয় মুখ থেকে। অথচ স্থান-কাল বুঝে মাত্র কয়েকটি শব্দ একটু মনোযোগ দিয়ে নিয়ত ঠিক রেখে বললে কথা বলাও হবে সেই সঙ্গে অর্জিত হবে সওয়াব। পালন হবে সুন্নতও। নিচে এমনই কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা করা হলো-
১. ভালো কিছু খাওয়া বা পান করার সময়, কোনো কিছু লেখা বা পড়ার সময় অর্থাৎ যেকোনো ভালো কাজ শুরু করার সময় ‘বিসমিল্লাহ’ বলে শুরু করা সুন্নত।
২. ভালো কিছু খাওয়া বা পান করা শেষে, কোনো সুসংবাদ পেলে, কেউ ‘কেমন আছো’ জিজ্ঞেস করলে- তার জবাবে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা সুন্নত।
৩. কারো হাঁচি আসলে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা সুন্নত।
৪. কোনো হাঁচিদাতাকে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলতে শুনলে, তার জবাবে ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বলা সুন্নত।
৫. আল্লাহতায়ালার শ্রেষ্ঠত্ব, মহত্ত্ব বা বড়ত্বের কোনো নিদর্শন দেখলে কিংবা শুনলে ‘আল্লাহু আকবার’ বলা সুন্নত।
৬. স্বাভাবিকের মধ্যে কোনো ব্যতিক্রম দেখলে কিংবা আশ্চর্য ধরনের কোনো কথা শুনলে তথা কুদরতি কিছু দেখলে বা শুনলে ‘সুবহানাল্লাহ’ বলা সুন্নত।
৭. ভালো বা সুন্দর কোনো কিছু দেখলে ‘মাশাআল্লাহ’ বলা সুন্নত।
৮. ভবিষ্যতে কোনো কিছু করার ইচ্ছা পোষণ করলে ‘ইনশাআল্লাহ’ বলা সুন্নত।
৯. কোনো খারাপ কথা শুনলে বা দেখলে ‘নাউযুবিল্লাহ’ বলা সুন্নত।
১০. কোনো বিপদের কথা শুনলে কিংবা কোনো খারাপ, অশুভ বা ক্ষয়-ক্ষতির সংবাদ শুনলে, কোনো কিছু হারিয়ে গেলে, কোনো কিছু চুরি হয়ে গেলে, কোনো দুঃখ-কষ্ট পেলে ‘ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ বা সংক্ষেপে ‘ইন্নালিল্লাহ’ বলা সুন্নত।
১১. কথা প্রসঙ্গে কোনো গুনাহের কথা বলে ফেললে, সঙ্গে সঙ্গে- ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ বলা সুন্নত।
১২. ওপরে উঠার সময় ‘আল্লাহু আকবার’ বলা এবং নিচে নামার সময় ‘সুবহানাল্লাহ’ বলা সুন্নত।
১৩. নিশ্চিতভাবে না জেনে কোনো বিষয়ে কিছু বললে, কথা শেষে ‘ওয়াল্লাহু আলাম’ (এটা আল্লাহতায়ালাই ভালো জানেন) বলা সুন্নত।
১৪. কেউ কিছু দিলে কিংবা কারো মাধ্যমে কোনো কাজ হলে বা কেউ কোনো উপকার করলে তার বদলে ‘জাযাকাল্লাহু খায়রান’ বা ‘জাযাকাল্লাহ’ বলা সুন্নত।
১৫. কোনো বিজয় লাভ করলে কিংবা বিজয় লাভের আশায় শ্লোগান দিলে ‘আল্লাহু আকবার’ বলা সুন্নত।