আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি লাভে করণীয়

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি লাভে করণীয়, ছবি: সংগৃহীত

আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি লাভে করণীয়, ছবি: সংগৃহীত

আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন প্রত্যেক মুমিন-মুসলমানের লক্ষ্য। তাইতো তারা সব সময় আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকেন। তার দেখানে পথে চলেন। দুনিয়ার সব কাজে, প্রতি মুহূর্তে আল্লাহকে স্মরণ করেন।

আল্লাহতায়ালা যেহেতু মানুষের সব বিষয়ে অবগত তাই, প্রকৃত মুমিনের অন্যায়-অপরাধে জড়ানোর কোনো সুযোগ থাকে না।

বিজ্ঞাপন

এ প্রসঙ্গে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তুমি এমনভাবে ইবাদত কর যে, আল্লাহতায়ালা তোমাকে দেখছন, আর তুমি যদি আল্লাহকে না দেখ, আল্লাহতায়ালা অবশ্যই তোমাকে দেখছেন।’

সুতরাং মানুষের উচিত এই হাদিসের শিক্ষা গ্রহণ করার মাধ্যমে পাপমুক্ত জীবন-যাপন করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা।

বিজ্ঞাপন

ইসলামি স্কলাররা বলেছেন, ইবাদত-বন্দেগির ক্ষেত্রে বান্দার মনের অবস্থা এমন হওয়া জরুরি যে, বান্দার প্রতিটি কাজ আল্লাহ দেখছেন। তখন আর বান্দা দ্বারা অন্যায়-অত্যাচার ও পাপাচারসহ কোনো অন্যায় কাজ হবে না।

গভীর রাতে একনিষ্ঠ মনে জীবনের ঘটে যাওয়া সব অন্যায় ও গোনাহের কথা স্মরণ করে আল্লাহর কাছে রোনাজারি করে ক্ষমা প্রার্থনা করা। সিই সঙ্গে নিম্নের বিষয়গুলো খেয়াল রাখা। যে বিষয়গুলোর কারণে আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন সহজ হয়ে যায়।

এক. ইসলামের প্রথম শিক্ষা এবং আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি ও জান্নাত লাভের প্রথম শর্ত হলো- ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ বলে ঈমান আনা এবং এর দাবির ওপর অবিচল থাকা।

দুই. অত্যাবশ্যক পরিমাণ ধর্মীয় বিধি-বিধান শিখে নেওয়া এবং সেগুলোর ওপর আমল করা।

তিন. ফরজ ইবাদতসমূহ আদায় করা এবং মানুষের অধিকারগুলো পরিপূর্ণভাবে আদায় করা।

চার. আদব-কায়দয় ও স্বভাব-চরিত্রে ভালো থাকা।

পাঁচ. কখনও গোনাহ হয়ে গেলে তওবা করা এবং কোনো ব্যক্তির সঙ্গে বাড়াবাড়ি হয়ে গেলে বদলা দিয়ে কিংবা মাফ চেয়ে মিটমাট করে নেওয়া।

ছয়. দুনিয়ার সবকিছু থেকে আল্লাহ ও তার রাসূলকে অধিক ভালোবাসা।

সাত. দ্বীনের দাওয়াত, খেদমত ও দ্বীন প্রতিষ্ঠার মেহনতের সঙ্গে যুক্ত থাকা।

আট. সমস্ত গোনাহ বিশেষত চুরি, ঘুষ, মিথ্যা, ব্যভিচার, অবৈধ ব্যবসা-বাণিজ্য, হিংসা-পরশ্রীকাতরতা ইত্যাদি কবিরা গোনাহসমূহ থেকে বেঁচে থাকা।

নয়. তাহাজ্জুদ পড়ার চেষ্টা করা এবং প্রতিদিন কিছু পরিমাণ জিকির ও কোরআন তেলাওয়াতের অভ্যাস গড়ে তোলা। এ ছাড়া কালিমায়ে তামজিদ, তাসবিহে ফাতেমি, দরুদ শরিফ ইত্যাদি পাঠ করা। এর বেশি জিকির করতে চাইলে কোনো যোগ্য ব্যক্তির পরামর্শ নেওয়া।

দশ. আলেম-উলামা, পীর-মাশায়েখ তথা ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের প্রতি মনে গভীর শ্রদ্ধা পোষণ করা। তাদেরকে ভালোবাসা এবং তাদের সান্নিধ্য গ্রহণ করা। মূলত যারা আল্লাহর নেক বান্দাদের সান্নিধ্য পায়, ধীরে ধীরে তাদের মাঝে দ্বীনের সব আমল এসে যায়।