ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ায় ৪ শিক্ষার্থীর সাজা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, টাঙ্গাইল, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার অভিযোগে ৪ শিক্ষার্থীর বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে।

শনিবার (১২ জানুয়ারি) বিকেল ৫টায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দুই শিক্ষার্থীকে এক বছরের কারাদণ্ড এবং বাকি দুই শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করা হয়। টাঙ্গাইলের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল করিম এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর ও ৩০ নভেম্বর মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার (১২ জানুয়ারি) ওই পরীক্ষার সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় সাতজনকে সন্দেহজনক হিসেবে আটক করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের তদন্তে পরবর্তীতে সন্দেহজনক সাতশিক্ষার্থীর মধ্যে চারজনের বিরুদ্ধে জালিয়াতি প্রমাণিত হওয়ায় অভিযুক্ত ওই শিক্ষার্থীদের শাস্তি দেওয়া হয়।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুই শিক্ষার্থী হলেন- ‘এ’ ইউনিটের ১ম স্থান অর্জনকারী বগুড়া সদর উপজেলার শেখের কোলার নরুইল উত্তরপাড়া গ্রামের মো. জাহেদুর রহমানের ছেলে মো. শাহরিয়ার পারভেজ এবং ‘সি’ ইউনিটে দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী বগুড়ার কলোনী এলাকার একেএম বদিউজ্জামানের ছেলে রিয়াসত আজিম শাদাব।

এছাড়া ছবি, স্বাক্ষর ও পরীক্ষায় বাংলা-ইংরেজিতে লেখা বাক্যে হাতের লেখা মিল না থাকায় ভর্তি বাতিল হওয়া দুই শিক্ষার্থী হলেন- ‘এ’ ইউনিটে ৬ষ্ঠ স্থান অর্জনকারী গাজীপুর রাজেন্দ্রপুর আরপি গেইটের গাজী মোহাম্মদ আলীর ছেলে গাজী মোহাম্মদ বনী ইয়ামিন শাওন এবং ‘বি’ ইউনিটে ১৪১ তম স্থান অর্জনকারী টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার দিঘুলিয়া কালিপুর গ্রামের নিলমনি কর্মকারের ছেলে জয় কর্মকার।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রক্সি পরীক্ষার জালিয়াতিতে জড়িত সন্দেহে প্রথমে সাতজন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন পরিচালিত তদন্তে আটককৃত ওই শিক্ষার্থীদের মধ্যে চারজনের জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ায় দুইজনকে এক বছর এবং দুইজনের পরীক্ষার বাতিল করা হয়েছে।

   

শিক্ষাছুটির শর্ত বাতিল চায় চবি শিক্ষক সমিতি



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শিক্ষাছুটির শর্ত বাতিল চায় চবি শিক্ষক সমিতি

শিক্ষাছুটির শর্ত বাতিল চায় চবি শিক্ষক সমিতি

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদেশে গবেষণা বা পিএইচডি করার জন্য শিক্ষকদের ২০% শিক্ষাছুটির শর্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়(চবি) শিক্ষক সমিতি।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত দুইটি দাবি সম্বলিত একটি চিঠি পাঠিয়েছে।

উপাচার্য বরাবর পাঠানো চিঠিতে অস্থায়ী শিক্ষকদের স্থায়ীকরণ ও শিক্ষকদের পদোন্নতির ব্যাপারেও দাবি করা হয়। এক্সট্রা অর্ডিনারি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এসব সমস্যা সমাধানের জোর দাবিও জানায় সংগঠনটি।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়- দীর্ঘদিন যাবৎ সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত না হওয়ার কারণে অনেক শিক্ষকের পদোন্নতি আটকে আছে। এমনকি কিছু সংখ্যক শিক্ষকের স্থায়ী নিয়োগও আটকে আছে। এসব শিক্ষকের স্থায়ী নিয়োগ জুনের পরে হলে তাদেরকে সর্বজনীন পেনশন স্কিম (প্রত্যয় স্কিম) এ অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাবনা রয়েছে।

এমতাবস্থায়, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে একটি এক্সট্রা অর্ডিনারি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এসব সমস্যা সমাধানের জোর দাবি জানাচ্ছি।

শিক্ষকদের শিক্ষা ছুটির বিষয়ে ২০% বাধ্যবাধকতা থাকার কারণে অনেক শিক্ষক শিক্ষা ছুটিতে যাওয়ার ব্যাপারে অনিশ্চয়তা দেখা দিচ্ছে। অথচ অনেক শিক্ষক নিজ উদ্যোগে বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপের মাধ্যমে ভর্তি নিশ্চিত করেছেন এবং তাদের অনেকের এমএস/পিএইচডি প্রোগ্রাম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য যে, এই বাধ্যবাধকতা থাকা অবস্থায়ও এমন কোনো রেকর্ড নেই যে, ইতোমধ্যে কোনো শিক্ষককে শিক্ষা ছুটি প্রদান করা হয়নি।

এমতাবস্থায়, ২০% বাধ্যবাধকতার বিধান রহিত করার দাবি জানাচ্ছি। এটি রহিত না করা পর্যন্ত শিক্ষা ছুটির আবেদনকরী শিক্ষকদের শিক্ষা ছুটি মঞ্জুর করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: মাহবুবুর রহমান এ ব্যাপারে বার্তা২৪.কমকে জানান, দীর্ঘদিন সিন্ডিকেট সভা না হওয়ায় কিছু শিক্ষকের স্থায়িত্ব ও পদোন্নতি আটকে আছে, এগুলো যাতে ৩০ জুনের মধ্যেই সমাধান হয় এ ব্যাপারে আমরা উপাচার্য মহোদয়কে জানিয়েছি।

এছাড়াও ২০% শিক্ষাছুটি যাতে করে বাতিল করা হয়। কারণ একজন শিক্ষকের বাইরের দেশে যাওয়ার ব্যাপারটা এই কোটার উপর সীমাবদ্ধ নয়, এখানে অনেক পরিশ্রম ও ফান্ডের ব্যাপার আছে। ইতঃপূর্বেও অন্যান্য উপাচার্যগণ ২০% এর ওপরে শিক্ষা ছুটি দিয়েছেন। আমাদের দাবি যাতে করে ২০% শিক্ষা ছুটির শর্তটি রহিত করা হয়।

;

যবিপ্রবি ছাত্রলীগ সভাপতিসহ ১৩ কর্মীকে আজীবন বহিষ্কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চাকরি প্রার্থীদের অপহরণ এবং একজন আবাসিক শিক্ষার্থীকে রাতভর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) বিভিন্ন বিভাগের ১৩ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানাসহ চারজনকে এর আগেও বহিষ্কার করা হয়েছিল। আজীবন বহিষ্কৃত ১৩ জনের বিরুদ্ধেই দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেলে যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের ১০০তম (বিশেষ) সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

রিজেন্ট বোর্ডের সভায় ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর লিফট অপারেটরের চাকরি প্রার্থীদের অপহরণের ঘটনা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এবং তাদের বিষয়ে ইতোমধ্যে জারিকৃত বিধি-নিষেধ লঙ্ঘন করায় যবিপ্রবি’র ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. বেলাল হোসেন, ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী জি এম রাইসুল হক রানা, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান (পিইএসএস) বিভাগের শিক্ষার্থী নৃপেন্দ্র নাথ রায়, মুশফিকুর রহমান, ফাহিম ফয়সাল লাবিব ও মো. আবু বক্কারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যবিপ্রবির রুলস অব ডিসিপ্লিন ফর স্টুডেন্টস অনুযায়ী, আজীবন বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে ফাহিম ফয়সাল লাবিবের বর্তমানে ছাত্রত্ব নেই।

এছাড়া চলতি বছরের ৪ জুন দিনগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের ৩০৬ নম্বর কক্ষে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শাহরিন রহমানকে রাতভর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় যবিপ্রবির শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের সোহেল রানা, রেদওয়ান আহমেদ জিসান, মো. বিপুল সেখ, ইছাদ হোসেন, মো. আশিকুজ্জামান (লিমন) ও মো. আমিনুল ইসলাম; ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মো. বেলাল হোসেন ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের মো. রায়হান রহমান রাব্বীকে যবিপ্রবির রুলস অব ডিসিপ্লিন ফর স্টুডেন্টস অনুযায়ী আজীবন বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

তবে সোহেল রানা, ইছাদ হোসেন এবং আশিকুজ্জামান (লিমন) ও ফাহিম ফয়সাল লাবিবের বর্তমানে ছাত্রত্ব নেই।

উল্লিখিতদের মধ্যে যাদের ছাত্রত্ব নেই, তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ও আবাসিক হলে প্রবেশে বিধি-নিষেধ আরোপের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।

যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

;

কুবি প্রশাসনকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) অফিসার্স এসোসিয়েশন দাবি আদায়ে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) অফিসার্স এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক মো. ছাদেক হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর দেওয়া এক চিঠি থেকে বিষয়টি জানা যায়।

চিঠিতে উল্লেখিত দাবিগুলো হলো- অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জাকির হোসেনের ওএসডি নিঃশর্তভাবে প্রত্যাহারকরণ, সহকারী রেজিস্ট্রার/সমমান পদের কর্মকর্তাদের গ্রেড ৭ম থেকে ৬ষ্ঠ গ্রেডের স্কেলে উন্নীতকরণ, ডেপুটি রেজিস্ট্রার/সমমান পদের কর্মকর্তাগণ ১ম শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে সর্বমোট ১২ (বারো) বছর পূর্ণ হলে সরকারি গেজেট মোতাবেক গ্রেড ৫ম থেকে ৪র্থ গ্রেডের স্কেলে উন্নীতকরণ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে যোগদানকৃত ১২ জন কর্মকর্তাকে যোগদানের তারিখ থেকে সেকশন অফিসার পদে পদায়নের ব্যবস্থাকরণ, অভ্যন্তরীণ প্রার্থীদেরকে শূন্য পদে স্থায়ীকরণের ব্যবস্থাকরণ, আপগ্রেডেশন নীতিমালা সংশোধন কমিটি পুনঃগঠন ও তা দ্রুততার সাথে বাস্তবায়নকরণ, ডিউ ডেইট থেকে কর্মকর্তাদের আপগ্রেডেশন কার্যকর করার ব্যবস্থা গ্রহণ, অর্গানোগ্রাম সংশোধনে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশবিশেষ দ্রুততার সাথে কার্যকর করণের ব্যবস্থা গ্রহণ, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় বিভাগে (একাডেমিক ভবন) কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরীক্ষা পারিতোষিক প্রদান করা।

এ দাবিগুলো আগামী সাত দিনের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সময় বেধে দিয়েছে অফিসার্স এসোসিয়েশন।

এ ব্যাপারে অফিসার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ছাদেক হোসেন মজুমদার বলেন, 'আমাদের দাবিগুলা সাত কর্মদিবসের মধ্যে মেনে নিতে হবে। যদি না মানা হয় তাহলে আমরা ৭ কর্মদিবসের পর কঠোর কর্মসূচি পালন করবো।'

;

যবিপ্রবির ৯ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রিজেন্ট বোর্ডের সভা

রিজেন্ট বোর্ডের সভা

  • Font increase
  • Font Decrease

চাকরি প্রার্থীদের অপহরণ এবং একজন আবাসিক শিক্ষার্থীকে রাতভর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) বিভিন্ন বিভাগের ৯ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।আজীবন বহিষ্কৃত ৯ জন এবং বর্তমানে ছাত্রত্ব না থাকায় আরও চার জনসহ মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধেই দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেলে যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের ১০০তম (বিশেষ) সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। রিজেন্ট বোর্ডের সদস্যদের অনেকে ভার্চুয়ালি এবং সশরীরে সভায় অংশ নেন।

তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনের পর তা নিয়মানুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসিপ্লিনারি কমিটিতে উপস্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে ডিসিপ্লিনারি কমিটির সুপারিশ রিজেন্ট বোর্ডের সভায় উপস্থাপন করার পর তা ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভার শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক ঘটনাসমূহের বিষয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বক্তব্য দেন। বক্তব্যে তিনি ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর লিফট অপারেটর নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের সময় উদ্ভূত ঘটনাসমূহ রিজেন্ট বোর্ডের সদস্যদের অবহিত করেন এবং গত ৪ জুন যবিপ্রবি শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান (পিইএসএস) বিভাগের শিক্ষার্থী শাহরিন রহমানকে রাতভর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ঘটনা অবহিত করেন।

রিজেন্ট বোর্ডের সভায়, ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর লিফট অপারেটরে চাকরি প্রার্থীদের অপহরণের ঘটনায় সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এবং তাদের বিষয়ে ইতোমধ্যে জারিকৃত বিধি-নিষেধ লঙ্ঘন করায় যবিপ্রবির ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. বেলাল হোসেন, ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী জি এম রাইসুল হক রানা, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান (পিইএসএস) বিভাগের শিক্ষার্থী নৃপেন্দ্র নাথ রায়, মুশফিকুর রহমান, ফাহিম ফয়সাল লাবিব ও মো. আবু বক্কারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যবিপ্রবির রুলস অব ডিসিপ্লিন ফর স্টুডেন্টস অনুযায়ী আজীবন বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে ফাহিম ফয়সাল লাবিবের বর্তমানে ছাত্রত্ব নেই। উল্লিখিতদের মধ্যে যাদের ছাত্রত্ব নেই তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একইসাথে তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ও আবাসিক হলে প্রবেশে বিধি-নিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

রিজেন্ট বোর্ডের সভায়, গত ৪ জুন দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের ৩০৬ নম্বর কক্ষে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শাহরিন রহমানকে রাতভর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় যবিপ্রবির শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের সোহেল রানা, রেদওয়ান আহমেদ জিসান, মো. বিপুল সেখ, ইছাদ হোসেন, মো. আশিকুজ্জামান (লিমন) ও মো. আমিনুল ইসলাম; ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মো. বেলাল হোসেন ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের মো. রায়হান রহমান রাব্বীকে যবিপ্রবির রুলস অব ডিসিপ্লিন ফর স্টুডেন্টস অনুযায়ী আজীবন বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে সোহেল রানা, ইছাদ হোসেন এবং আশিকুজ্জামানের (লিমন) বর্তমানে ছাত্রত্ব নেই। উল্লিখিতদের মধ্যে যাদের ছাত্রত্ব নেই তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একইসাথে তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ও আবাসিক হলে প্রবেশে বিধি-নিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

যবিপ্রবির উপাচার্য ও রিজেন্ট বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) খালেদা আক্তার, যুগ্ম সচিব ড. মোর্শেদা আক্তার, যশোরের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কাওছার উদ্দিন আহম্মদ, আইসিসিডিআর’বি-এর বায়োসেফটি অ্যান্ড বিএসএল-৩ ল্যাবরেটরির প্রধান ড. আসাদুলগনি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. কৌশিক সাহা, ইউজিসি অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এম. এ. রশীদ, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মর্জিনা আক্তার, যবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (এআইএস) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মেহেদী হাসান, রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. নাসের শাহিরয়ার জাহেদী এমপি, সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবু বক্কর সিদ্দিকী, যশোর সরকারি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম আহসান হাবীব, রিজেন্ট বোর্ডের সচিব ও রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব প্রমুখ।

;