চাঁদপুরে তিন উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতায় হাজীগঞ্জ, শাহরাস্তি ও কচুয়া উপজেলা। এই তিন উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় এসেছে বলে নিশ্চিত করেন সংশ্লিষ্ট বিভাগ। গত সেপ্টেম্বর মাসেই শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ সম্পন্ন হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার মো. কেফায়েত উল্যাহ।

সরকারের এমন অভাবণীয় সাফল্যের বিষয়ে কথা হয় জেনারেল ম্যানেজার মোঃ কেফায়েত উল্যাহ’র সাথে। তিনি বার্তা২৪.কমকে জানান, ‘বর্তমান সরকারের অন্যতম সফলতা হিসেবে ২০০৮ সালে মাত্র ২৯ভাগ বিদ্যুতায়ন ছিল। সেখান থেকে ৭১ ভাগ বেড়ে বর্তমানে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে। যেখানে ২০০৮ সালে বিদ্যুতের চাহিদা ছিলো মাত্র ৩৫ মেগাওয়াট, সেখানে বর্তমানে ৫০ মেগাওয়াট বেড়ে ৮৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদা তৈরি হয়েছে এই তিন উপজেলায়। স্বাধীনতা উত্তর ২০০৮ সাল পর্যন্ত ৯০ হাজার ৩০৫টি মিটার সংযোগের পর বর্তমানে ২ লক্ষ ৭৮ হাজার ৭০৭টি মিটার সংযোগ বিদ্যমান হয়। গত দশ বছরে নতুন মিটার সংযোগ হয়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৪০২টি।

বিজ্ঞাপন

জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমানে হাজীগঞ্জ উপজেলায় ১ লাখ ৬ হাজার  ৪২৯টি, শাহরাস্তিতে ৬৯ হাজার ৯৮৩টি ও কচুয়ায় ১ লাখ ২ হাজার ৪৪০টি মিটার সংযোগ রয়েছে।

চাঁদপুর পল্লী বিদ্যু সমিতি-১ এই তিন উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের তথ্য সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের নিকট প্রেরণ করে। সে তথ্য মোতাবেক চাঁদপুর জেলা প্রশাসক স্বাক্ষরিত একটি পরিপত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। যেকোন মুর্হূতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিন উপজেলার শতভাগ বিদ্যুতায়ন ঘোষণা  করবেন বলে জানান দায়িত্বশীল এই কর্মকর্তা।

বিজ্ঞাপন

তিনি গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘এখন থেকে হাজীগঞ্জ, শাহরাস্তি ও কচুয়া উপজেলার প্রতিটি গ্রামে নতুন কোন ঘর, শিল্প ও বাণিজ্যিক এলাকা এবং ভবন নির্মাণ হলে কোন দালাল ছাড়াই নির্বিঘ্নে সংযোগ পাওয়া যাবে।’

শতভাগ বিদ্যুতায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি বর্তমান সরকারের একটি সফলতা। সরকারের আন্তরিক সহযোগিতায় আমরা মানুষের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছাতে পেরেছি।’

এই শতভাগ বিদ্যুতায়নে যিনি বেশি শ্রম ও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন, তিনি হলেন চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সহকারি জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) মো. জহুরুল ইসলাম। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমরা মানুষের কাছে গিয়েছি। মানুষ আমাদেরকে আন্তরিক হয়ে সহযোগিতা করেছেন। তবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে আবেদন হওয়ায় দ্রুত কাজ করতে পেরেছি।’