সংবাদ প্রকাশের পর রবিউল পেল হুইল চেয়ার

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

রবিউলকে হুইল চেয়ার দেয়ার পর সংবাদকর্মীরা / ছবিঃ বার্তা২৪

রবিউলকে হুইল চেয়ার দেয়ার পর সংবাদকর্মীরা / ছবিঃ বার্তা২৪

মাল্টিমিডিয়া নিউজ পোর্টাল বার্তা২৪.কমে সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিবন্ধী শিশু রবিউল আউয়াল হুইল চেয়ার পেয়েছে।

রোববার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে রবিউলের বাড়িতে গিয়ে হুইল চেয়ারটি তুলে দেন স্থানীয় সংবাদকর্মীরা।

বিজ্ঞাপন

গত ২৭ নভেম্বর ‘গামলায় বসে দশ বছর পার’-শিরোনামে সংবাদটি রবিউলের ছবিসহ বার্তা২৪.কমে প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর একাধিক ব্যক্তি রবিউলের হুইল চেয়ারের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। পরে ব্যক্তিগতভাবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শুভানুধ্যায়ী এ চেয়ারটি ক্রয় করে দেন।

হুইল চেয়ারটি রবিউলের মা-বাবার কাছে হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য যুগল কৃষ্ণ হালদার, সাংবাদিক খালেকুজ্জামান শামীম, মনিরুজ্জামান বাবলু, এসএম মিরাজ মুন্সী, গাজী মো. নাছির উদ্দিন, মুনছুর আহমেদ বিপ্লব, সাইফুল ইসলাম সিফাত, মো. শাহজাহান, মো. মজিবুর রহমান, শিক্ষক কামরুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/02/1543742952445.gif

গামলায় বসে প্রতিবন্ধি রবিউল আউয়াল দশ বছর পার করেছে। জন্মগতভাবে সে শারীরিক প্রতিবন্ধী। রবিউল হাঁটতে পারে না। ঠিকমতো কথাও বলতে পারে না। সারাক্ষণ গামলায় বসিয়ে রাখতে হয়। নয়তো কিছুক্ষণ কোলে নিতে হয়।

রবিউল আউয়াল চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ ইয়াকুব আলী সর্দার বাড়ির বাসিন্দা। তার বাবা খোরশেদ আলম দিনমজুর। মা মমতাজ বেগম। শারমিন নামের রবিউলের তিন বছরের এক বোন আছে। অস্ত্রপাচারের (সিজার) মাধ্যমে এই দুই সন্তানের জন্ম হয়।

গর্ভধারিণী মা মমতাজ বেগম বলেন, ‘রবিউল দিন দিন বড় হচ্ছে। এখন আর বেশিক্ষণ কোলে নিয়ে রাখতে পারি না। তাই দুইটি বল (গামলা) বদল করে তাকে রাখতাম। অর্থের অভাবে একটি হুইল চেয়ার কিনতে পারি নাই। আপনাদের মাধ্যমে হুইল চেয়ারটি পেয়ে ভালো লাগছে।

উল্লেখ্য, একই বাড়ির বৃদ্ধা আমেরী বেগমকে (৫৫) গত সপ্তাহে সমাজের দুই জন শুভ্যানুধ্যায়ীর অর্থায়নে একটি হুইল চেয়ার দেয়া হয়েছে। এসময় রবিউল আওয়ালের উপস্থিতি সবার নজরে আসে। রবিউল আউয়াল কে হুইল চেয়ার দেয়ায় আমেরী বেগম নিজেও খুশি হয়েছেন বলে নিজের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।