দেশে নির্বাচন ব্যবস্থা বলে কিছু নেই: ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রংপুর
রংপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

রংপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে নির্বাচন ব্যবস্থা বলে কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, 'দেশে নির্বাচন ব্যবস্থা নেই। তারপরও আমরা রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে অংশ নিতে চাই।’

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রংপুর মহানগর বিএনপির সদ্য প্রয়াত সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর হোসেনের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রয়াত মোজাফফর হোসেনের পরিবারকে সমবেদনা জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর


মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‌রংপুর-৩ আসনে উপ-নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের বিষয়ে ৭ সেপ্টেম্বর পার্লামেন্টারি বোর্ডে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখনো প্রার্থী মনোনয়ন নিয়েও কিছু ভাবা হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রয়াত মোজাফফর হোসেন গণতন্ত্রকামী মানুষ। তিনি গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করেছেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মোজাফফর হোসেন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই সংগ্রামে ছিলেন। আমরা তার বিদেহি আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। তার অভাব দেশ ও দলের জন্য অপূরণীয়।’

প্রয়াত মোজাফফর হোসেনের কবর জিয়ারত করেন মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা

 

পরে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে মিস্ত্রিপাড়া করবস্থানে গিয়ে প্রয়াত মোজাফফর হোসেনের কবর জিয়ারত করেন।

   

দেশে সবচেয়ে বেশি শিশু শ্রমিক চট্টগ্রামে

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’



রেদ্ওয়ান আহমদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
দেশে সবচেয়ে বেশি শিশু শ্রমিক চট্টগ্রামে

দেশে সবচেয়ে বেশি শিশু শ্রমিক চট্টগ্রামে

  • Font increase
  • Font Decrease

 

শাহজাহান মিয়ার বাড়ি ভোলায়। পেটের দায়ে এসেছেন চট্টগ্রামের কর্ণফুলী তীরে। যখন যা পান তাই করে খেয়ে বাঁচা শারীরিকভাবে অসুস্থ শাহজাহানের ছোট মেয়ের নাম মোর্শেদা। বাবার সাথে সে জীবন সংগ্রামে যুক্ত হয়েছে আরও আগেই! বিভিন্ন আড়তে পঁচে পোকায় ধরা পেয়াজ কম দামে কিনে এনে রোদে শুকানোর সময় চাক্তাই খালের পাড়ে দেখা মিলেছে এই বাবা-মেয়ের।

কথা হয় বাবা শাহজাহান মিয়ার সাথে। ১১ বছরের এতো অল্প বয়সের মেয়েকে পড়ালেখায় না পাঠিয়ে নিজের সাথে রেখে কাজ করানোর বিষয়ে শাহজাহান মিয়াকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ’আমাগোতো সংসার চলা লাগবো। সংসার না চললে মাইয়ারে পড়ালেখা করামু কী দিয়া। টেকা পয়সার লাগি মাইয়ারে পড়ালেখা করাইতে পারি না। মাইয়া ফাইভ পর্যন্ত পড়ছে।’

অপু, আরাফাত ও আজগর তিন বন্ধু। তাদের বয়স যথাক্রমে ১২, ১১ ও ১২ বছর। তাদের বাড়ি ফেনীর সোনাগাজিতে। রহমতগঞ্জ বাই লেইনের একটি ‘প্রিন্টিং এন্ড ফয়েল পেপার কাটিং হাউস’— এ কর্মরত অবস্থায় দেখা মিলে এই তিন বন্ধুর সঙ্গে।

এতো অল্প বয়সে তিন বন্ধুর এই শ্রমজীবনের গল্প জানতে চাইলে তারা বিনিময় করে এক করুণ অভিজ্ঞতা। তাদের তিনজনেরই গল্প এক। তারা জানায়, তাদের বাবা-মায়েরাই তদেরকে এই পেশায় পাঠিয়েছে আয়-রোজগারের জন্য। তবে, তিনজনের বেতন মিলিয়েও অযুতের ঘর ছুঁতে পারেনি।

উপরোক্ত গল্প দু’টিতে যে শিশুদের চিত্রায়ণ করা হয়েছে, আমাদের দেশে বর্তমানে সেসব শ্রমজীবী শিশুর সংখ্যা প্রায় ১৭ লাখ ৭৬ হাজার ৯৭ জনে। যা বাংলাদেশের মোট শ্রমের ২৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এরমধ্যে চট্টগ্রামে নিয়োজিত রয়েছে ৬ লাখ ৪০ হাজার শিশু। যা বাংলাদেশের মোট শিশুশ্রমের ৩৬ শতাংশ।

সরকারি তথ্য মতে, দেশের ১৭ লাখ ৭৬ হাজার শিশু শ্রমিকের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে সর্বাধিক সংখ্যা রয়েছে। ৩ লাখ ৪০ হাজার শিশুশ্রমিক নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ঢাকা বিভাগে। গত কয়েক বছর ধরে চট্টগ্রামে শিশুশ্রমের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৩ সালে চট্টগ্রামে মোট শিশুশ্রম ছিলো ৪ দশমিক ৩ শতাংশ। এবছর সেটা বেড়ে হয়েছে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ।

চট্টগ্রামের শিশুরা গৃহস্থালীর কাজসহ ডাম্পিং স্টেশন, ড্রাই ফিশ সেক্টর, মেটাল ফ্যাক্টরি, অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ, পরিবহন এবং জাহাজ ভাঙার কাজে জড়িত। যার কারণে তাদের জীবনের ঝুঁকিও ব্যাপক।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) চট্টগ্রামের অলাভজনক সংস্থা (এনজিও) ’মমতা’র সহকারী পরিচালক (শিশু সুরক্ষা প্রকল্প) মুজতাহিদা কাউসার বার্তা২৪.কমকে এসব তথ্য প্রদান করেন।

তবে, চট্টগ্রামে শিশুশ্রমের শীর্ষে রয়েছে এলুমিনিয়াম খাত। এরপর যথাক্রমে গণপরিবহন, হোটেল, পোশাক শিল্প, নির্মাণ, স্বাস্থ্য ও বিউটি পার্লার খাত রয়েছে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্ট্যাডিজের (বিলস) সহায়তায় ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষকের পরিচালনা করা জরিপে এসব তথ্য উঠে আসে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুারোর তথ্যমতে (বিবিএস), বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ৪৩টি সেক্টরকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন সামাজিক ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো থেকে জানা যায়, এ ঝুঁকিপূর্ণ পেশাগুলোতেই সবচেয়ে বেশি মিশু কাজ করে থাকে।

মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন (বিএইচআরএফ) এর মহাসচিব জিয়া হাবীব আহসান বলেন, ‘রাষ্ট্রের বিভিন্ন আইনে শিশুর বিভিন্ন সংজ্ঞা দেওয়া হলেও অধিকাংশ আইনে একজনকে ১৮ বছর পর্যন্ত শিশু বলা হয়। ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু শ্রম আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কোন কোন ক্ষেত্রে শিশুদের নির্দিষ্ট বয়স ও শর্ত অনুসারে শ্রমের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে, দুঃখের বিষয় হলো পাশের দেশ ভারতেও শিশু সুরক্ষা আইন আছে। কিন্তু বাংলাদেশে নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটা নির্দিষ্ট শিশুদের কাজের অনুমতি থাকলেও এর কিছু শর্ত আছে। যেমন- দৈনিক ৪-৫ ঘন্টার বেশি কাজ করানো যাবে না। ভারী কাজ করানো যাবে না। কেমিক্যাল, ব্যাটারি, ওয়ার্কশপ, ওয়্যারিং, ইলেক্ট্রিক্যাল, পরিবহন, ডাম্পিং ইত্যাদি ভারী কাজ করানো যাবে না। ফুলটাইম কাজ করানো যাবে না। তাদের ফিটনেস পরীক্ষা করে তাদের নিয়োগ দিতে হবে ইত্যাদি। তবে, হতাশার কথা হলো- শিশুর মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা রাষ্ট্র দায়িত্ব হলেও রাষ্ট্র তা পালন করছে না।’

শিশুরা কেনো শিশুশ্রমে জড়াচ্ছে? এর পেছনে কী কারণ রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে চট্টগ্রামের অলাভজনক সংস্থা (এনজিও) ’মমতা’র প্রধান নির্বাহী রফিক আহামদ বলেন, ’চট্টগ্রামে শিশু শ্রম বাড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে দারিদ্র। তাছাড়া, চট্টগ্রাম বানিজ্যিক রাজধানী হওয়ার কারণে অনেকেই ছোটবেলা থেকেই কাজের সাথে জড়িয়ে যান। আবার শিশুদের পারিশ্রমিক কম দেওয়া যায় বলে অনেক প্রতিষ্টান মালিক শিশুদের নিয়ে এসে কাজে লাগিয়ে দেয়। এছাড়াও আরও বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। তবে, সবচেয়ে বড় কারণ হলো দারিদ্র। রাষ্ট্র সবার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারলে এই শিশু শ্রম কমবে বলে আশাবাদী।’

ইলমা (এনসিওর লিগ্যাল সাপোর্ট থ্রো লোকাল মুভমেন্ট এন্ড একশান) এর প্রধান নির্বাহী জেসমিন সুলতানা পারু বলেন, ’আমাদের জনসংখ্যা যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এটাও শিশু শ্রম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। তাছাড়া অনেক পরিবার ছেলেমেয়েদের টাকার জন্য কাজে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু শিশু শ্রম তো শুধু শিশু শ্রম না। এই শিশু শ্রম করতে গিয়ে যে শিশুরা কীরকম শারীরিক ও মানসিক হেনস্তার শিকার হয় তা কল্পনারও বাহিরে। তাছাড়া, সরকার বলছে, একটা শিশুও পিছনে পড়ে থাকবে না। একটা শিশুও রাস্তায় থাকবে না। কিন্তু বললে কী হবে, সেরকম তো কোন উদ্যোগ নেই। শিশু কই আছে, মরে গেছে না বেঁচে আছে, সে খবর কেউ রাখে না। কিন্তু সরকারি ও বেসরকারিভাবে জোরালো উদ্যোগ গ্রহণ করলে, পদক্ষেপ নিলে শিশু শ্রম একদিন কমে আসবে বলে আমি মনে করি।’

;

ট্রেনের সাইরেন বাজতেই প্ল্যাটফর্মে ছুটে যান কুলিরা

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ট্রেনের সাইরেন বাজতেই প্ল্যাটফর্মে ছুটে যান কুলিরা

ট্রেনের সাইরেন বাজতেই প্ল্যাটফর্মে ছুটে যান কুলিরা

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী রেল স্টেশন। যেখানে নিত্যদিনের জীবনের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে অনেকের জন্য। এখানে গোলাম মোস্তফা, আফজাল, শরীফ, কামালসহ আরো প্রায় ৪০ জন কুলি প্রতিদিনের বিভিন্ন ট্রেনের সাথে ছুটে চলেন। তাদের কাজ যাত্রীদের ভারী লাগেজ বহন করা। ট্রেনের সাইরেন বাজতেই তারা প্ল্যাটফর্মে দৌড় দেন, এক নিঃশ্বাসে।

তাদের প্রতিযোগিতা শুরু হয় কে কার আগে ট্রেনের বগিতে উঠতে পারে। কে আগে নিজের টলিতে মালামাল উঠাতে পারে। ট্রেনের সামনে গিয়ে তারা দাঁড়িয়ে থাকে এবং যাত্রীদের মালামাল বহনের জন্য অনুরোধ করতে থাকে। যুগের পর যুগ, মাসের পর মাস ধরে এভাবেই চলে আসছে তাদের জীবন।

শুধু রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে নয়; প্রায় সারাদেশেই মাঝারি থেকে বড় রেল স্টেশনগুলোতে এই চিত্র দেখা যায়।

প্রতিদিনের এই ছুটে চলা শুধু তাদের পেশাগত জীবনেরই অংশ নয়, বরং এটা তাদের পরিবারের জীবনযাত্রার এক অপরিহার্য উপাদান।


শ্রমিকরা বলছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সাথে তাদের আয় রোজগার না বাড়ায় বেশ কষ্টেই দিন যাচ্ছে তার। আয় রোজগার হয় দিনে তিন থেকে চারশো টাকা। কিন্তু; খরচ হয়ে যায় ৫০০ টাকা ৬০০ টাকা। এতে নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। তবে হালাল পথে রোজগার করতে পেরে স্বল্প আয়েও খুশি তারা।

গোলাম মোস্তফা, যিনি গত ৪৫ বছর ধরে এই পেশায় জড়িত, তিনি বলেন, আমাদের প্রতিদিনের এই দৌড় আসলে আমাদের পরিবারের জন্য রুটি-রুজির লড়াই। এক একটা ট্রেন যেন আমাদের আশার প্রতীক।

এই কুলিরা যে শুধু লাগেজ বহন করেন তা নয়, তারা মূলত যাত্রীদের একটি বিশ্বাসযোগ্য সহায়তা প্রদান করে থাকেন। রাজশাহী স্টেশনের এই কর্মীদের কাজের পরিসর বিস্তৃত হয়ে আছে ট্রেনের আগমন থেকে বিদায় পর্যন্ত। আফজাল নামের আরেক শ্রমিক (কুলি) বলেন, প্রত্যেক যাত্রীর সাথে আমাদের একটি সম্পর্ক গড়ে উঠে, যা কিছু ক্ষেত্রে সময়ের সাথে সাথে আরও দৃঢ় হয়।

আরেক শ্রমিক কামাল বলেন,  এই পেশায় ঝুঁকির অংশও কম নয়; আমরা প্রতিদিন ভারী লাগেজ বহন করি, যা আমাদের শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর চাপ ফেলে। কিন্তু পরিবারের জন্য এই পরিশ্রম আমাদের জন্য অপরিহার্য।

রাজশাহী রেল স্টেশনের প্রতিদিনের এই দৃশ্য শুধু একটি প্ল্যাটফর্মের চিত্র নয়, এটি বাংলাদেশের অনেক রেল স্টেশনের একটি পরিচিত দৃশ্য, যেখানে গোলাম মোস্তফার মতো কুলিরা প্রতিদিন নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে যাত্রীদের সেবা করে যান।

রাজশাহী রেল স্টেশনের এই নিয়মিত দৃশ্যগুলি বাংলাদেশের অন্যান্য রেল স্টেশনের মতোই, যেখানে কুলিরা প্রতিদিন তাদের পরিবারের জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন। তাদের জীবন ও পেশাগত দায়িত্ব এক উপহাসমূলক চ্যালেঞ্জের মতো, যা তাদের কেবল আর্থিক নিরাপত্তার জন্য নয়, বরং একটি সমাজের অংশ হিসেবে তাদের অবদানের জন্য প্রয়োজন।

;

বাংলাদেশ-সৌদির যৌথ উদ্যোগে ইউরিয়া সার কারখানার সম্ভাব্যতা সমীক্ষা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সৌদি আরবের সহকারী জ্বালানি মন্ত্রী (ইঞ্জি.) মোহাম্মদ আল ইব্রাহিমের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। পরে বাংলাদেশ-সৌদির যৌথ উদ্যোগে ইউরিয়া সার কারখানার সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানানো হয়।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে সৌদি আরবের সহকারী জ্বালানি মন্ত্রীর অফিস কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়৷ এসময় তারা দুই দেশের মধ্যকার অংশীদারিত্বের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

সৌদি সহকারী মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে ইউরিয়া সার কারখানার সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তারা এখন কারিগরি বিষয় নিয়ে কাজ করছে এবং বাংলাদেশের কারিগরি দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

বৈঠকে সৌদি সহকারী জ্বালানি মন্ত্রী বাংলাদেশকে তাদের জ্বালানি সহযোগিতার আগ্রহের কথা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিলম্বিত অর্থপ্রদান পদ্ধতিতে অপরিশোধিত তেল কেনার যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তা সৌদি সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে। বৈঠকে তারা জেভি ডিএপি (JV DAP) সার প্ল্যান্ট নিয়েও আলোচনা করেছেন।

একই দিনে সালমান এফ রহমান সৌদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের চিফ অব স্টাফ এবং বোর্ড অব ডিরেক্টর্সের সেক্রেটারি জেনারেল সাদ আল কোরডের সাথেও বৈঠক করেন।

এসময় পিআইএফ মহাসচিব বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। মহাসচিব পতেঙ্গা বন্দরে সৌদি কোম্পানি রেড সি গেটওয়ে টার্মিনালের (আরএসজিটি) বিনিয়োগে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

এছাড়াও তারা বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী ৮০টি সৌদি কোম্পানির তালিকা শেয়ার করেন এবং পিআইএফ তাদের কোম্পানির মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নমূলক যাত্রায় যোগ দেবে বলে আগ্রহ প্রকাশ করে।

সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বিশেষ সভায় যোগদান শেষে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এসব দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন।

;

উপজেলা নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চলছে: রেলমন্ত্রী পুত্র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
আশিক মাহমুদ মিতুল

আশিক মাহমুদ মিতুল

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও রেলমন্ত্রীপুত্র আশিক মাহমুদ মিতুল বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য একটি গোষ্ঠী অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

বুধবার (১ মে) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আশিক মাহমুদ মিতুল এসব কথা বলেন।

গত ২৮ এপ্রিল পাংশা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ফরিদ হাসান ওদুদ নির্বাচনের আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ এনে রেলমন্ত্রীপুত্র আশিক মাহমুদ মিতুলের বিরুদ্ধে রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৯ এপ্রিল (সোমবার) বিকেলে রিটার্নিং অফিসার মো. অলিউল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে রেলমন্ত্রীপুত্রকে সতর্কবার্তা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আশিক মাহমুদ মিতুল বলেন, জেলা নির্বাচন কমিশন থেকে একটি সতর্কতামূলক চিঠি পেয়েছি। আসলে আমার বক্তব্যের খন্ডিত অংশ নিয়ে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে ইসিতে অভিযোগ করা হয়েছে। মূলত একটি গোষ্ঠী নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়োর মোটরসাইকেল প্রতীকের পক্ষে আমি জেলা আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছি। পাংশা জজ হাইস্কুল মাঠে প্রায় ১৫ হাজার নেতাকর্মীদের সামনে আমি প্রকাশ্যে বক্তব্য দিয়েছি।

তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপনকারী মো. ফরিদ হাসান ওদুদ মন্ডল বিগত সময়ে পাংশা উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। ইতোপূর্বে অনিয়ম-দুনীতি ও স্বজনপ্রীতি করে বহিষ্কার হয়েছিলেন। বিগত দিনে ওদুদ মন্ডল যে অনিয়ম-দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি করেছেন সেটা আমি তুলে ধরেছি। মন্ডল পরিবারের অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে আমি সেসব বিষয় তুলে ধরে বক্তব্য দিয়েছি।

ইসির সকর্তবার্তা প্রসঙ্গে ফরিদ হাসান ওদুদ বলেন, রেলমন্ত্রীপুত্র মিতুল হাকিম বড় মাপের নেতা। তার বক্তব্যের পর মাঠে আমার নেতাকর্মী নামছে না। তাই আমি নির্বাচন কমিশনে একটি অভিযোগ দিয়েছি। নির্বাচন কমিশন তাকে সতর্কবার্তা দিয়েছেন।

;