‘লোকসান হইলেও খাসি ফিরায়া নিয়া যামু না’
‘এহন পর্যন্ত তেমন বেচাকেনা নাই। কামার বেশি দামও কইতাছে না। তয় লোকসান হইলেও খাসি ফিরায়া নিয়া যামু না।‘ বলছিলেন রাজশাহী থেকে আগত খাসি বিক্রেতা রেজাউল করিম। রোববার (১৯ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর আফতাব নগর হাটে সকাল থেকে ক্রেতা সংখ্যা কম থাকলে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতা সংখ্যা বেড়ে যায়।
ক্রেতাদের মধ্যে যারা খাসি কিনতে আসছেন তারা ভালো দাম বলছেন না বলে জানালেন এই বিক্রেতা।
তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, "৭৩টি খাসি নিয়া আইছি। এহন পর্যন্ত আটটা খাসি বেচলাম। কোনডায়ই তেমন লাভ করতে পারি নায়। সবচাইতে বড় খাসিডার দাম চাইছি ২৮ হাজার টাকা। কিন্তু কেউ ২০ হাজার টাকাও দাম কয় না। তয় লোকসান অইলেই খাসি নিয়া ফিরা যামু না।
এই বিক্রেতার ঠিক সামনে বসা অপর এক বিক্রেতা মো: দুলাল রাজশাহী থেকে ৪৫টি খাসি নিয়ে এসেছেন। গতকাল থেকে রোববার বিকাল পর্যন্ত কোনো খাসি বিক্রি করতে পারেননি তিনি। বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, "এহন পর্যন্ত কোন খাসি বেচতে পারি নায়। কেউ ভালো দাম কয় না। আমার এইহানে ৩১ হাজার টাকার পর্যন্ত খাসি আছে। কিন্তু ২২ হাজার টাকার উপরে কেউ দাম কয় না। এই দামে বেচলে পুরা লসে পইরা যামু"।
রাজধানীর অস্থায়ী হাটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, সব হাটেই গরুর পাশাপাশি আলাদা জায়গায় ছাগল ও ভেড়া বিক্রি তোলা হয়েছে। যাদের বাজেট কম তারা কোরবানির জন্য ছাগল কিনছেন। আবার অনেকে গরুর পাশাপাশি কোরবানির জন্য ছাগলও কিনছেন। তাই কোরবানির ঈদে গরু-মহিষের সঙ্গে ছাগলেরও বেশ চাহিদা রয়েছে। তবে বিক্রেতাদের দাবি ক্রেতারা তেমন দাম বলছেন না।
আফতাবনগর হাটে খাসি কিনতে আসা হাসান আহমেদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, হাট ঘুরে খাসির দাম যা দেখলাম, তাতে বিক্রেতারা বেশিই দাম চাইছেন। খাসির দামই যদি ৩৫ হাজার টাকা চায় তাহলে তো গরু কেনাই ভালো।