মানুষকে চরিত্রবান হওয়ার কথা বললেন হজের খতিব
আরাফার ময়দান সংলগ্ন মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা দেওয়া শেষ করেছেন মসজিদে নববির সিনিয়র ইমাম ও খতিব মদিনা কোর্টেল বিচারপতি শায়খ ড. হুসাইন আশ শায়খ।
স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ১৮ মিনিটে তিনি খুতবা দেওয়া শুরু করেন। ৩১ মিনিটব্যাপী খুতবা শেষ হয় ১২টা ৪৯ মিনিটে।
খুতবা সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও বিশ্বের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন সরাসরি সম্প্রচার করে।
মসজিদে নামিরায় উপস্থিত থেকে খতিবের খুতবা শুনেন সৌদি আরবের গ্রান্ড মুফতি, মক্কার গভর্নর, রাজপরিবারের সদস্য এবং বিভিন্ন দেশে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা।
খুতবায় তিনি আল্লাহর ইবাদতের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ পালন ও সৎকাজের আদেশের বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি নবী-রাসূলদের জীবনের উদাহরণ টেনে বলেন, কোনো অবস্থাতেই অন্যায়ের কাছে মাথানত করা যাবে না। আল্লাহর একত্ববাদের বিষয়টি মানতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
খতিব সাহেব জ্ঞানার্জানের প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, জ্ঞান মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে যায়। জ্ঞান সুসংবাদ বহন করে। মানুষকে আল্লাহতায়ালা তার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। এটা বুঝতে হলে- জ্ঞানার্জন করতে হবে।
তিনি নামাজ কায়েমের কথা বলেন। এ সময় তিনি জাকাত পরিপূর্ণভাবে আদায়ের জন্যও তাগাদা দেন। এসব ইবাদত মানুষকে আল্লাহর প্রিয়পাত্রে পরিণত করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রমজান মাসে রোজা রাখা ও হজ পালন অনেক ফজিলতপূর্ণ আমল।
খতিব ড. হুসাইন আশ শায়খ হজের গুরুত্ব ও ফজিলত নিয়ে কোরআন-হাদিসের বহু উদ্ধৃতি পাঠ করেন।
খুতবায় তিনি মানুষের চরিত্র গঠনের প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থার বিষয়গুলো সন্নিবেশ করার কথা বলেন। তিনি বলেন, নবী করিম (সা.) ছিলেন উত্তম চরিত্রের অধিকারী। আমরা তার উম্মত। কিন্তু চরিত্রের দিক থেকে আমাদের অবস্থান অনেক অনেক নিচে। এটা লজ্জার। চরিত্র সবকিছুর মূল উল্লেখ করে তিনি বলেন, চরিত্রের সাথে অনেক কিছু জড়িত। ওয়াদা রক্ষা, মিথ্যা পরিহার, বয়োজ্যেষ্ঠদের সঙ্গে শ্রদ্ধাপূর্ণ ব্যবহার, ছোটদের স্নেহ, বাবা-মার প্রতি দায়িত্বপালন ও স্ত্রীর অধিকারের মতো বিষয়গুলো চরিত্রবানরাই পালন করেন।