উপবন এক্সপ্রেসের বগি লাইনচ্যুত হয়ে নিহত ৮, আহত শতাধিক
সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা উপবন এক্সপ্রেসের কয়েকটি বগি সেতু ভেঙে খালে পড়ে ও লাইনচ্যুত হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (২৩ জুন) দিবাগত রাত পৌনে বারোটার দিকে কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল স্টেশন থেকে ২০০ মিটার দূরে কালা মিয়া বাজার সংলগ্ন সেতু ভেঙে এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয়সূত্রে দুর্ঘটনায় মোট ছয়টি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তন্মধ্যে ৩টি বগি উল্টে নিচে পড়ে গেছে আর ৩টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।
রাত ২টা পর্যন্ত ৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। দুর্ঘটনায় দুই শতাধিক যাত্রী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। আহতদের উদ্ধার করে কুলাউড়া ও মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। এখনও বগিতে অনেক লোক আটকা আছে।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইয়ারদুস হাসান ও কুলাউড়া রেলওয়ে থানার (জিআরপি) ওসি আবদুল মালেক দুর্ঘটনার বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করেছেন।
এদিকে দুর্ঘটনার পর উদ্ধার করতে আসা এক শ্রেণির সুযোগ সন্ধানী লোক যাত্রীদের মালামাল চুরি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে মালামালসহ সন্দেহজনকভাবে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুলাউড়া থানার ওসি।
মৌলভীবাজার ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মজিবুর রহমান (রাত দেড়টায়) ট্রেন দুর্ঘটনার সর্বশেষ তথ্য জানিয়ে বার্তা২৪.কমকে বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪ জনের মরদেহ আমরা উদ্ধার করেছি। ১২ জন আহত হয়েছে।
লাইনচ্যুত বগির সংখ্যা সম্পর্কে তিনি বলেন, ৩-৪টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে বলে তথ্য পেয়েছি। কিন্তু অন্ধকার থাকায় সংখ্যাটি নিশ্চিত করে এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় আমাদের ৪টি ইউনিট কাজ করছে।
দুর্ঘটনার ফলে সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি সেতু ভেঙে পড়ায় সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ পাঁচ দিন ধরে প্রায় বন্ধ রয়েছে। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ট্রেনের ওপর নির্ভরশীল ঢাকাগামী যাত্রীরা। ফলে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী ছিলো ট্রেনটিতে। এরই মাঝে এই দুর্ঘটনা ঘটল।