বন্যা দুর্গত প্রত্যেক ঘরে ত্রাণ পৌঁছানো হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, বন্যা দুর্গত প্রত্যেক মানুষের বাড়িতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রানসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে। বন্যার সময় যেমন খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হবে, তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ঘর নির্মাণে সহযোগিতা করা হবে।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) দুপুরে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চরাঞ্চল বাঁচামারা, শিবালয় উপজেলার অন্বয়পুর এবং হরিরামপুর উপজেলার বাহাদুরপুরে বন্যাকবলিতদের ত্রাণ প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের দেশ নদীমাতৃক দেশ, ভাঙন ও বন্যা স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে সরকার বন্যা ও ভাঙন মোকাবিলায় স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। চাঁদপুর থেকে পদ্মা ও যমুনা নদীতে ড্রেজিং করা হবে। ড্রেজিংয়ের মাটি নদীর পাড়ে ফেলে বাঁধ নির্মাণ করা হবে। এতে নদীর গভীরতা বৃদ্ধি পাবে এবং ভাঙন রোধ হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতি হয় কৃষিতে। বন্যা পরবর্তী কৃষি পুনর্বাসনের জন্য কৃষকদের বিনামূল্যে সার ও বীজ প্রদান করা হবে। এজন্য ১২০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আশা করা যায়, কৃষি পুনর্বাসনে কোনো সমস্যা হবে না।
বিএনপি নেতাদের বন্যা নিয়ে কোনো মাথাব্যথ্যা নেই মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, বিএনপি নেতা রিজভী শুধু দলীয় কার্যালয়ে বসে প্রেসরিলিজ দেন আর সাংবাদিকরা তা মিডিয়াতে তুলে ধরেন। এছাড়া বিএনপি নেতাদের কোনো কাজ নেই।
তিনি বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে ছিল। ওই সময় উত্তরাঞ্চলে মঙ্গা ও বন্যা হলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দুর্গতদের ত্রাণ দেন। কিন্তু গত ১১ বছরে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী দুর্গতদের পাশে দাঁড়ায়নি।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিষয়ক উপ-কমিটির পক্ষ থেকে মানিকগঞ্জের এই তিন উপজেলায় নদীভাঙন ও বন্যাকবলিত তিন হাজার পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাল, ডাল, তেল, চিড়া, আলু ও লবণ দেওয়া হয়।
ত্রাণ বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য মির্জা আজম, আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল, স্থানীয় সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন, শিবালয় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউর রহমান জানু, দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম রাজা, হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান।