ফরিদপুরে ব্রিজের রেলিং ভেঙে খাদে বাস, নিহত ৮
ফরিদপুর সদর উপজেলায় ব্রিজের রেলিং ভেঙে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে আট যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে।
শনিবার (২৪ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ধুলদী রেলগেট এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। তবে তাৎক্ষণিক হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক এবিএম মমতাজ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, হতাহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এফএম নাছিম জানান, ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জের পাটকাটিগামী যাত্রীবাসী বাসটি ঘটনাস্থলে এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্রিজের রেলিংয়ে ধাক্কা খায়। এসময় বাসটি নদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ছয় যাত্রী মারা যান, আহত হন কমপক্ষে ২০ জন। তাদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে আরও দুই জনের মৃত্যু হয়।
এদিকে দুর্ঘটনার খরব পেয়ে ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ও হাইওয়ে থানা পুলিশ, কোতয়ালী থানা পুলিশসহ স্থানীয় এলাকাবাসী উদ্ধার কাজে অংশ নেয়।
এদিকে, ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী উপ-পরিচালক শওকত আলী জোদ্দার জানান, আহতদের ফরিদপুর মেডিকেলে নেওয়া হলে সেখানে আরও দুই ব্যক্তি নিহত হন।
ফরিদপুর অঞ্চলের হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, কমফোর্ট পরিবহনের বাসটির দ্রুত গতি থাকায় ব্রিজে ওঠার পর একটি মোটরসাইকেলকে সাইড দেওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে, এ সময় ব্রিজের রেলিংয়ে ধাক্কা লেগে নিচে পড়ে যায। এই হতাহতোর ঘটনা ঘটে।
বিকেল সাড়ে পাচঁটা পর্যন্ত শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহত দুজনের নাম-পরিচয় জানা গেছে। তাদের মধ্যে হাবিবুর রহমান ও ফারুক হোসেনের বাড়ি গোপালগঞ্জে। দুর্ঘটনার পর পরই স্থানীয় প্রশাসনের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে উদ্ধার তৎপরতা পর্যবেক্ষণ করেন।
আহতদের দ্রুত সবোর্চ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে ফরিদপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন হাসপাতাল কতৃপক্ষকে নিদের্শ দিয়েছেন। তিনি জানান, আহত রোগীদের রক্তের প্রয়োজন হলে ছাত্রলীগের কর্মীদের রাখা হয়েছে, এছাড়াও মেডিকেল কলেজের মেডিসিন ক্লাব ও সন্ধ্যানি ডোনার ক্লাবের কর্মীদের রাখা হয়েছে।
দুর্ঘটনার বিষয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, ‘আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা স্থানীয় প্রশাসন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বহন করবে। তাদের সবোর্চ্চ চিকিৎসাব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’