বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষ হিসেবে খেতাব পাওয়া ব্রিটিশ নাগরিক জন আলফ্রেড টিনিসউড মারা গেছেন। ১১২ বছর বয়সী জন গত সোমবার (২৫ নভেম্বর) ইংল্যান্ডের সাউথপোর্টের একটি কেয়ার হোমে (সেবা কেন্দ্র) মারা যান। মৃত্যুর বিষয়টি তাঁর পরিবার নিশ্চিত করেছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবিসি জানায়, জনের আগে এই তকমা ছিলো ভেনেজুয়েলার নাগরিক হুয়ান ভিসেন্টে পেরেজ'র দখলে। তিনি ১১৪ বছর বয়সে মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পরই চলতি বছরের এপ্রিলে এই রেকর্ডের মালিক হন ব্রিটিশ নাগরিক জন। তিনি একজন লিভারপুল ফুটবল ভক্ত ছিলেন।
তাঁর পরিবার এক বিবৃতিতে জানায়, টিনিসউডের শেষ দিনটি ছিল সঙ্গীত এবং ভালোবাসায় ঘেরা। তাঁর অনেক সূক্ষ্ম গুণাবলী ছিল। তিনি ছিলেন একাধারে বুদ্ধিমান, বিচক্ষণ, সাহসী, যেকোনো সংকটে শান্ত, গণিতে মেধাবী ও একজন সদালাপী। এই গুণগুলো তাঁকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রয়্যাল আর্মি পেস কর্পসে চাকরিরত অবস্থায় সুবিধা দিয়েছিল। সেখানে তিনি হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষণ, আটকে পড়া সেনাদের শনাক্ত করা এবং খাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থা করার মতো কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
জন টিনিসউড ১৯১২ সালের ২৬ আগস্ট যুক্তরাজ্যের লিভারপুলে অ্যাডা এবং জন বার্নার্ড টিনিসউডের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। ওই বছরই আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিক জাহাজ ডুবেছিল। ২০২০ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির খেতাব পেয়েছিলেন।
তাঁর পরিবার বলছে, জন ব্লুন্ডেলস্যান্ডস ইউনাইটেড রিফর্ম চার্চের একজন অগ্রজ স্বেচ্ছাসেবক ছিলেন। সেখানে তিনি ধর্মোপদেশও দিয়েছিলেন।
মৃত্যুর আগে টিনিসউড বিবিসিকে বলেছিলেন, তিনি একজন যুবক হিসাবে বেশ সক্রিয় ছিলেন এবং অনেক হাঁটাচলা করেছিলেন। তবে এতো বছর বেঁচে থাকার আশীর্বাদ তিনি কিভাবে পেয়েছেন তা জানেন না।
প্রিয় লিভারপুল ফুটবল ক্লাবটি তাঁর জন্মের ২০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বেঁচে থাকা অবস্থায় তিনি ক্লাবটির ৬৬টি শীর্ষ ট্রফির মধ্যে মাত্র দুটি ট্রফি মিস করেছেন।১৯০১ ও ১৯০৬ ছাড়া ক্লাবটির জেতা সব কটি ট্রফির ম্যাচ উপভোগ করেছেন তিনি।
শতবর্ষ পূর্ণ হওয়ার আগ মুহূর্তে তিনি সাউথপোর্টের হলিস রেস্ট কেয়ার হোমে চলে গিয়েছিলেন। সেখানেই জীবনের বাকি সময়টা কাটান। ২০১২ সালে ১০০ বছরে পরিণত হওয়ার পর থেকে ব্রিটেনের প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ তাঁকে শুভেচ্ছা কার্ড পাঠাতেন। এরপর তিনি রাজা তৃতীয় চার্লস থেকে এ কার্ড পেতেন।
বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ ছিলেন জাপানের জিরোইমন কিমুরা। তিনি ১১৬ বছর ৫৪ দিন বেঁচে ছিলেন। ২০১৩ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক নারী ও মানুষ জাপানের ১১৬ বছর বয়সী তোমিকো ইতোকা।
বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় জার্মান গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি ‘অডি’ চীনে তাদের আইকনিক ‘চার রিং’ এর লোগো পরিবর্তন করেছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জার্মান গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি অডি চীনে তাদের আইকনিক লোগো পরিবর্তন করেছে।
সাংহাইতে নতুন গাড়ি প্রদর্শনীতে নতুন গাড়ি ই কনসেপ্ট ইলেক্ট্রিক স্পোর্টব্যাকে তাদের আইকনিক লোগো রাখেনি। গাড়িটির সামনে অংশে শুধু `AUDI' লিখা ছিল।
চীনে এই পরিবর্তন হলেও ইন্টারনেট দুনিয়ায় ব্যবহারকারীদের মধ্যে বেশ আলোচনা সৃষ্টি করেছে তাদের এই পদক্ষেপ।
ব্যবহারকারীদের মধ্যে একজন জানান, সবাই অডির লোগো জানে। নতুন এই পদক্ষেপ কোনোভাবেই ভালো নয়।
তবে, বিশ্বজুড়ে অল্প বয়স্ক গ্রাহকদের আকৃষ্ট করার জন্য চীনা অটোমেকার SAIC এর সঙ্গে একটি প্রকল্পের অংশ হিসেবে অডি এই লোগো পরিবর্তন করেছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, চায়না অ্যাসোসিয়েশন অফ অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্সের তথ্য অনুসারে, অডি ২০২৪ সালের প্রথম নয় মাসে চীনে ১৫হাজারেরও কম ইভি বিক্রি করেছে। অন্যদিকে, চাইনিজ প্রিমিয়াম ইভি ব্র্যান্ড Nio এবং Xpeng যথাক্রমে প্রায় ১০ গুণ ও ৭ গুণ বেশি বিক্রি করেছে।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড দিবস উপলক্ষে লন্ডনে এক চায়ের আড্ডায় সাক্ষাৎ করেছেন বিশ্বের সবয়েছে লম্বা ও সবচেয়ে খাটো দুই নারী।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭ফুট ৭ইঞ্চি উচ্চতার তুরস্কের রুমেইসা গেলগির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ২ফুট ৭ইঞ্চি উচ্চতার ভারতের জ্যোতি আমগ। এই দুইজনের উচ্চতার পার্থক্য ৫ ফুট।
তবে, জ্যোতি আমেগের সঙ্গে বেশ মিল আছে বলে জানিয়েছে রুমেইসা গেলগি। তারা দুজনেই নিজেদের যত্ন নেওয়া, গহনা, মেকআপ প্রভৃতি বিষয়ের প্রতি বেশ আগ্রহী।
উচ্চতাগত কারণে দুজনের মধ্যে চোখের যোগাযোগ করা যায় নি। যার ফলে একে অপরের মনেরভাব বুঝতে বেশ বেগ পোহাতে হয়েছে বলেও জানিয়েছেন রুমেইসা গেলগি।
অপরদিকে, এই সাক্ষাৎকে বেশ উপভোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন জ্যোতিক আমগ।
উল্লেখ্য, রুমেইসা গেলগি একজন ওয়েব ডিজাইনার। তার উচ্চতার জন্য তিনি একইসঙ্গে বিভিন্ন দিক থেকে রেকর্ড গড়েছেন। এখনও পর্যন্ত নারীদের মধ্যে সবচেয়ে লম্বা হাত, সবচেয়ে বড় কান, গড় উচ্চতা এসকল বিষয়ের রেকর্ডের অধিকারী এই তুর্কি নারী।
অপরদিকে, ভারতীয় বংশোদ্ভূত জ্যোতি আমগ একজন মিডিয়া অভিনেত্রী। অ্যাকনোড্রোপ্লাসিয়া নামক হাড়ের রোগের জন্য তার এই অবস্থা হয়েছে। ধারণা করা হয়েছে গর্ভে ভ্রূণ অবস্থায়ই এই সমস্যা হয়েছে।
তবে আকারে ছোট হওয়া সত্ত্বেও মিডিয়া জগতে তিনি বেশ পরিচিতি। মার্কিন টেলিভিশন সিরিজ ‘আমেরিকান হরর স্টোরি: ফ্রিক শো’ তে তিনি অভিনয় করেছেন।
উত্তর আমেরিকায় ম্যাকারনি পেঙ্গুইনের ৪০তম জন্মদিন উদযাপন করা হয়েছে। এটি উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে বেশি বয়সের পেঙ্গুইন।
বুধবার (২০ নভেম্বর) সিওয়ার্ল্ড সান দিয়াগো নামের এক ব্যক্তি এই আয়োজন করেছেন।
তিনি জানান, সাধারণ অবস্থায় এই ধরনের পেঙ্গুইন ১৫-২০ বছর বাঁচে। সেখানে এই পেঙ্গুইনটি ৪০ বছর অতিক্রম করেছে। এটি তার প্রত্যাশিত জীবনকাল ছাড়িয়ে গেছে।
তবে এই পেঙ্গুইনটি তার চোখের দৃষ্টিশক্তি কিছুটা হারিয়েছে বলেছে জানান তিনি। দৃষ্টিশক্তিজনিত সমস্যা থাকলেও শ্রবণশক্তিতে এখনও বেশ ভালো আছে। পরিচিত কণ্ঠস্বরকে সহজেই বুঝতে পারে পেঙ্গুইনটি।
পেঙ্গুইনটির দৈনন্দিন কাজ সম্পর্কে সান দিয়াগো জানান, পানির পাত্রে বুদবুদ সৃষ্টি করা, বিভিন্ন জিনিস দিয়ে খেলা করা। এছাড়া পেঙ্গুইনটির সঙ্গে কেউ কথা বললে তখন বেশ আনন্দিত হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
এছাড়া, পেঙ্গুইনটির মেজাজ খারাপ হলে তখন পেঙ্গুইনটির ঘুমানোর চেষ্টা করেন।