নিরাপদ সড়কের প্রত্যাশায় যা বলছেন তারা



মাহবুবুর রহমান সজীব

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে দুই বাসের প্রতিযোগিতায় দুই শিক্ষার্থী মৃত্যুর প্রতিবাদে ৯ দফা দাবিতে সারাদেশে চলছে ছাত্র আন্দোলন। আন্দোলনের চতুর্থ দিনেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রাস্তায় নেমে এসেছেন বিভিন্ন মাধ্যমের শিল্পীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও কথা বলছেন অনেকেই।


আইয়ুব বাচ্চু, কুমার বিশ্বজিৎ এবং মেহরিন মাহমুদ; এই তিন তারকা সংগীতশিল্পীও সচেতন এই বিষয়ে।


নিরাপদ সড়কের প্রত্যাশায় পরিবহন সেক্টরের সামগ্রিক অবস্থা এবং চলমান ছাত্র আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে বার্তা২৪-কে নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা জানিয়েছেন তারা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/03/1533309769514.jpg


আইয়ুব বাচ্চু


আমি নিজেও তো মাঝেমধ্যে রাস্তায় থাকি, এরকমও বলতে শুনছি বাসওয়ালাকে, হেল্পারকে যে ‘বায়ে প্লাস্টিক’। আমার ছোট্ট গাড়িটিও কিন্তু নিজের কষ্টে কেনা গাড়ি। এখন যদি আমি প্লাস্টিক হয়ে যাই তাদের কাছে, এটা চিন্তার ব্যাপার। আমরা কি প্লাস্টিক নাকি? মানুষ না?

এই দুঃসাহসিকতা এই উদ্ধতা বাড়তে বাড়তে এমন এক পর্যায়ে চলে গেছে, মানুষের গায়ে এখন গাড়ি তুলে দেওয়াও কোনো ব্যাপার না। যেহেতু ওদের কোনো শাস্তির বিধান নেই। আমার বিশ্বাস, এখন নিশ্চয়ই উপরের থেকে সুন্দর একটা নিয়ম করা হবে, একটা সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এবং নিশ্চয়ই এগুলো কমে আসবে।

 

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/03/1533309065346.jpg


কুমার বিশ্বজিৎ


দায়িত্ববান লোকজন যদি তাদের দায়িত্ব পালন না করে, সেই খেসারত যদি পুরো দেশবাসি এবং সরকারকে দিতে হয়; এটা তো খুবই দুঃখজনক। লাইসেন্সবিহীন গাড়ি, নাবালক চালক, লাইসেন্সবিহীন চালক, ফিটনেসবিহীন গাড়ি; রোডের মধ্যে দৃশ্যমান, এটা তো নতুন কিছু না! একটা বাসের কোনো রং নাই, হেডলাইট নাই; এটা তো হতে পারে না! এটা কেন হবে? এই আন্দোলনটা তো অসম্ভব যৌক্তিক একটা আন্দোলন। আন্দোলনেও যাবে কেন? এটা তো মৌলিক চাহিদা সবার! একজন নাগরিক হিসেবে আমি সুস্থভাবে চলাফেরা করবো, জীবন যাপন করবো, আমার ভবিষ্যত প্রজন্ম নিরাপদে চলবে; সেটার জন্য আমাকে তো কারো কাছে চিৎকার করার দরকার নাই! নৌপরিবহনমন্ত্রী, ওনার তো উচিৎ ছিলো এ্যটলিস্ট প্রত্যেকটা মা-বাবার কাছে ক্ষমা চাওয়া। উনি যেভাবে তাচ্ছিল্যভাবে নিজেকে শো করেছে, এদেশের একজন মন্ত্রী হিসেবে এটা খুবই দুঃখজনক এবং এজন্য সরকারকে লজ্জায় পড়তে হয়েছে।

 

 

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/03/1533309169574.jpg


মেহরিন মাহমুদ


যখনই আমি ঢাকার রাস্তায় নামি, তখন পাশ দিয়ে ভাঙা ভাঙা বাসগুলো যেভাবে যায়; আমার মনে হয় যে ওনারা নরমাল না, নরমাল হলে এভাবে কেউ গাড়ি চালাতে পারে না। আমাদের হাইওয়েগুলোর দুইপাশের চিত্র এতো মনোমুগ্ধকর, অথচ চলতে ভয় লাগে শুধু এই কমিউনিটিটার জন্য। এবং আমার ধারণা যে এনারা সাধারণ মানুষ নন। এনারা কোনো না কোনো ভাবে প্রভাবিত। কোনো একটা নেগেটিভ ইনফ্লুয়েন্সে এনারা চলেন, এটা এক। দুই হলো, আমি শুনেছি যে যতো তাড়াতাড়ি যাত্রী পার করতে পারেন, ততো ওনাদের লাভ। এই ব্যাপারটাও হয়তো ওনাদের মাথায় কাজ করে। কিন্তু ওনারা ভুলে যান যে, ওনাদেরই ভাই হয়তো ওনার গাড়ির সামনে পড়তে পারে; এমনকী নিজের সন্তানও। এটা আমার প্রতিদিনকার একটা বিস্ময় যে, এরা কারা!

আমি চাই যে- ভাল বাস আসুক, পরিচ্ছন্ন বাস আসুক, লক্ষী বাস আসুক, লক্ষী চালক আসুক। যেহেতু আমরাও সবদিক দিয়েই উচ্চমার্গের দিকে এগুচ্ছি, বাসের চেহারা এবং বাসের কর্মকর্তাবৃন্দ-চালকবৃন্দের মধ্যেও পরিবর্তন আসুক। ওনাদের শুভাশিষ আমাদের ভীষণ প্রয়োজন। আমরা কড়জারে ওনাদের কাছে বলছি- আপনারা আমাদের ভাইটি ছিলেন, ভাইটি থাকুন এবং ভাইটি আবারও হয়ে যান যদি কোনো কারণে পথভ্রষ্ট হয়ে থাকেন। কারণ যেভাবে ওনারা গাড়ি চালান, আমাদের মনে হয় না ওনারা আমাদের ভাইটি আছেন।

ওনাদের সামনে একটা ছোট্ট গাড়ি পড়লে, ছোট্ট একটা সিএনজি পড়লে, ছোট্ট একটা মানুষও পড়লে সেটাকে ভ্রুক্ষেপ করেননা। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশেপাশে থাকি। ওইখানে পর্যন্ত ওনাদের যে বেপরোয়া গতি, এটা আমাদের দেশের চারিত্রিক বৈশিষ্ট না। ওনাদেরকে আমার ভীষণরকমভাবে আবেদন, ওনারা যেন দেশের মহানুভবতা মেন্টেন করে চলেন। এই যে এত কিছু ঘটছে, ওনাদের কোনো বিকার হচ্ছে না। তার মানে ওনারা ভ্রষ্ট। মাইন্ড ইজ নট ওয়ার্কিং ইন দ্য প্রপার ডিরেকশন, মাইন্ড ইজ নট প্রপার্লি ওয়াকিং। একটা সাধারণ মানুষের মাইন্ড ওনাদের না।

আরও পড়ুনঃ

আন্দোলন নিয়ে যা বলছেন তারা

শুটিং বন্ধ রেখে তারাও আন্দোলনে

ফুলেশ্বরী নাম তার

   

সিনেমা মুক্তির দিনই জেনডায়ার বিয়ের গুঞ্জন



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সিনেমা প্রকাশের দিনই জেনডায়ার বিয়ের গুঞ্জন

সিনেমা প্রকাশের দিনই জেনডায়ার বিয়ের গুঞ্জন

  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তি পাচ্ছে জেনডায়ার বহুপ্রতিক্ষীত সিনেমা চ্যালেঞ্জার্স। এই সিনেমায় দক্ষ টেনিস খেলোয়াড়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জেনডায়া। বিশ্বব্যাপী জেনডায়া অভিনীত চ্যালেঞ্জার্স সিনেমা প্রকাশ পাচ্ছে ২৬ এপ্রিল। যদিও অস্ট্রেলিয়ার সিডনি এক মাস আগেই প্রকাশ করা হয়েছে। জেনডায়ার সাথে অভিনয় করেছেন জস ও'কনেল এবং মাইক ফেইস্ট৷ তবে একই দিনে টম হল্যান্ড ও জেনডায়ার বিয়ের গুঞ্জন আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে৷


গত বছর ১৫ সেপ্টেম্বর চ্যালেঞ্জার্স সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার ছিল৷ কিন্তু স্যাগ আফ্রার নির্দেশনায় অভিনেতা এবং লেখকদের ধর্মঘটের কারণে সিনেমা প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। তারিখ পেছাতে পেছাতে অবশেষে ২৬ এপ্রিল আনা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাই প্রকাশ করে হচ্ছে এই তারিখেই। তবে এইদিনেই গুঞ্জন এলো দীর্ঘদিনের প্রেমিক টম হল্যান্ডের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছেন এই তারকা।

ইন্টারনেটে হরহামেশাই একসাথে দেখা যায় টম-জেনডায়াকে। এছাড়া মার্ভেল সিনেমেটিভ ইউনিভার্সে পিটার পার্কারের প্রিয় বন্ধু নার্ড চরিত্রে অভিনয় করা জ্যাকবও তাদের খুব ভালো বন্ধু। ৩ জনকে শ্যুটিং এর বাইরেও দেখা যায় একত্রে সুন্দর সময় কাটাতে এবং মজা করতে।


২০১৬ সালে স্পাইডারম্যান ও হোমকামিং সিনেমায় একসাথে অভিনয় করেন দুই তারকা। এই সিনেমার সেটেই তাদের প্রথম দেখা হয়। সেখান থেকে ভালো লাগার শুরু হয় বলে ধারণা করা হয়। শ্যুটিং শুরু হওয়ার কিছুদিন পরই তাদের প্রেমের গুঞ্জন আসতে থাকে।

যদিও কোনো তারকাই এই নিয়ে কিছু বলেননি। সম্পর্কের কথা স্বীকারও করেন নি। অথবা এসব গুঞ্জন-এমন দাবিও কেউ কখনো তোলেননি৷ বরাবরই তাদের সম্পর্ক নিয়ে গোপনীয়তা বজায় রেখেছেন টম-জেনডায়া জুটি৷

সম্প্রতি তাদের ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে জানা যায়, সম্পর্ককে আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনায় আছেন তারা। খুব শিগগিরই নাকি তারা বিয়ে করার ঘোষণা দেবেন।


টম-জেনডায়া স্বীকার না করলেও তাদের প্রেমের সম্পর্ক থাকার সন্দেহ অনেক আগে থেকেই ছিল ভক্তদের মনে। ২০২১ সালে তাদের একত্রে দেখা যায়৷ সিনেমার শ্যুটিং এর বাইরেও টমের গাড়িতে দু'জন অভিনেতাকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় ক্যামেরাবন্দী করেন সাংবাদিকরা।

সেই থেকেই নেটিজেনদের সন্দেহ আরও জোরদার হয়। এমনিতেও এই জুটিকে বেশ পছন্দ করেন ভক্তরা। টম-জেনডায়াকে সেরা স্পাইডারম্যান ও এমজে জুটি হিসেবে বিবেচনাও করেন অনেকে। তাই পছন্দের এই যুগলের। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার গুঞ্জনে আপ্লুত হতে দেখা যায় অনেক ভক্তকে।

;

সাদি মহম্মদ স্মরণে বিশেষ আয়োজন



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চেয়েছিলেন সুরের মায়া ছড়িয়ে যাক সবার মনে। তাই শান্তিনিকেতন থেকে দীক্ষা নিয়ে এসে নিজ উদ্যোগে গড়ে তুললেন রবীন্দ্রসংগীতের প্রতিষ্ঠান ‘রবিরাগ’। আজীবন এই সংগীত আর প্রতিষ্ঠান নিয়েই ডুবে ছিলেন। যে জীবনের ইতি টেনেছেন গত ১৩ মার্চ, সন্ধ্যায়; নিজের ইচ্ছায়।

রবীন্দ্রসংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী সাদি মহম্মদের কথা বলা হচ্ছে। নন্দিত এই শিল্পীর চলে যাওয়ার প্রায় দেড় মাস হয়ে গেছে। তবু চলে গিয়েও তিনি মিশে আছেন সবার হৃদয়ে, বিশেষত ‘রবিরাগ’র প্রতিটি স্পন্দনে।

এই প্রতিষ্ঠান থেকেই এবার সাদি মহম্মদকে স্মরণের আয়োজন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বসছে বিশেষ আসরটি। যেখানে গানে, কথায় ও কবিতায় স্মরণ করা হবে শিল্পীকে।
‘রবিরাগ’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে আয়োজনটি। শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টায়। এতে দেশের রবীন্দ্রসংগীত ও সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত থাকবেন।

প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি ও রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী আমিনা আহমেদ বলেন, ‘সাদি মহম্মদ এ দেশের সংগীতপ্রেমী মানুষকে আবিষ্ট করে রেখেছেন তার মন্দ্রমধুর কণ্ঠের আকর্ষণে। শিক্ষক হিসেবে তার অমিত নিষ্ঠায় ও মানুষ হিসেবে তার নির্মল ব্যক্তিত্বের পরশে আসা প্রত্যেককে বেঁধে রেখেছেন তিনি অপার ভালোবাসায়। তার চলে যাওয়া আমাদের করেছে বেদনাবিধুর। সাদি মহম্মদ থাকবেন সকলের হৃদয়ে, মনে। শুভ্র সমুজ্জ্বল এ মানুষকে নিয়ে আমরা থাকবো গানে, কথায়, কবিতায়।

উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাইতে মারা যান সাদি মহম্মদের মা। জানা যায়, মাতৃশোকে কাতর ছিলেন শিল্পী। এছাড়া মহান একাত্তরে তার পরিবারের ওপর হানাদার বাহিনীর আক্রমণের ভয়াল স্মৃতির বোঝাও বয়ে বেড়িয়েছেন আজীবন। চাপা বুকের সেসব কষ্ট নিয়ে ১৩ মার্চ তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনিই ছিলেন ‘রবিরাগ’র পরিচালক।

;

এখন প্রাণভরে নিজেকে দেখি : পরীমণি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
এই ছবিটি পোস্ট করে পরী নিজের প্রতি নিজের মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন

এই ছবিটি পোস্ট করে পরী নিজের প্রতি নিজের মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন

  • Font increase
  • Font Decrease

আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি। ব্যক্তিজীবনের নানা ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারা বছরই থাকেন মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে। সম্প্রতি বছরখানেক আগে বোট ক্লাবে মদ খেয়ে মারামারিতে জড়ানোর কাণ্ডে আরও একবার সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন।

এছাড়াও সংসার, বিচ্ছেদ- বিতর্ক যেন পরীর সর্বক্ষণের সঙ্গী। তবুও পরীমণি থামেন না, ব্যক্তিজীবনে সিঙ্গেল মাদার হিসেবেই এগিয়ে চলেছেন একমাত্র ছেলে পূণ্যকে সঙ্গে নিয়ে।

পরীমণির জীবনে এখন তার সবচেয়ে বড় শক্তি ছেলে পূণ্য। তাকে নিয়েই সকল ব্যস্ততা, যত আয়োজন। তবুও নিজের প্রতিও অনেক ভালোবাসা রয়েছে নায়িকার। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তেমনটাই জানান দিয়েছেন তিনি।

বুধবার নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি ছবি প্রকাশ করেছেন এই নায়িকা। যেই ছবিতে পরীমণি জানিয়েছেন, নিজের প্রতি মুগ্ধতার কথা।

এই ছবিটি পোস্ট করে পরী লিখেছেন, ‘নিজেকে ভালোবাসার মতো প্রেম যে দ্বিতীয় টি আর নেই।’

অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা একটি ছবি প্রকাশ করে পরী লিখেছেন, এমন মুগ্ধ হয়ে এর আগে নিজেকে চেয়ে দেখিনি কখনো। এখন দেখি। প্রাণভরে নিজেকে দেখি। আর সাহস করে নিজেকে নিজের ভালোবাসার কথা জানান দেই। নিজেকে ভালোবাসার মতো প্রেম যে দ্বিতীয়টি আর নেই।

পরীমণির সেই ছবিতে মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন ভক্ত থেকে শুরু করে সহশিল্পীরাও। বিবাহবিচ্ছেদ, বোট ক্লাব কাণ্ড- নানা কারণে বিতর্ক থাকলেও পরীমণি ব্যস্ত থাকেন নিজেকে নিয়েই। নিজের প্রতিই মুগ্ধতা, ভালোবাসার শেষ নেই তার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ছবি প্রকাশ করেই যেন আরও একবার সেই বার্তাটিই পৌঁছে দিতে চাইলেন।

এই ছবিটি শেয়ার করে ক্যাপশনে পরী লিখেছেন, লিলি! আমার প্রিয় লিলি।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ‘ফেলু বক্সী’ নামের কলকাতার একটি ছবির ঘোষণা দিয়েছেন পরীমণি। যেটা নির্মাণ করছেন দেবরাজ সিনহা। ছবিতে তার সঙ্গে আছেন সোহম চক্রবর্তী ও মধুমিতা সরকারের মতো তারকা।

;

বানসালির ‘হীরামন্ডি'র প্রিমিয়ারে পুরো বলিউড, দেখুন ছবিতে



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘হীরামন্ডি'র প্রিমিয়ারে নির্মাতা বানসালির সঙ্গে পুরো স্টার কাস্ট

‘হীরামন্ডি'র প্রিমিয়ারে নির্মাতা বানসালির সঙ্গে পুরো স্টার কাস্ট

  • Font increase
  • Font Decrease

বলিউডের একাধিক জনপ্রিয় গণমাধ্যম বলছে, এ বছরের সবচেয়ে বড় প্রিমিয়ার শো হয়ে গেলো গতকাল! সঞ্জয় লীলা বানসালির বহুল প্রতীক্ষিত নেটফ্লিক্স ওয়েব সিরিজ ‘হীরামন্ডি : দ্য ডায়মন্ড বাজার’-এর প্রিমিয়ার শোতে যেন পুরো বলিউড এসে হাজির হন। এমনিতে সিরিজটিতেই রয়েছেন ১ ডজনের মতো জনপ্রিয় তারকা। তারকা তো ছিলেনই, তাদের উৎসাহ দিতে কিংবদন্তি রেখা থেকে সালমান খান, কে না হাজির ছিলেন।

আলিয়া ভাট এসেছিলেন মা এবং শাশুড়িকে সঙ্গে নিয়ে

বানসালির প্রিয় ‘গাঙ্গু’ আলিয়া ভাট এসেছিলেন মা অভিনেত্রী সোনি রাজদান এবং শাশুড়ি প্রখ্যাত অভিনেত্রী নিতু সিং কাপুরকে সঙ্গে নিয়ে।

ভিকি কৌশল, সোনি রাজদান, অনন্যা পাণ্ডে আার করণ জোহরের খুনসুটি

বানসালির ক্রিয়েটিভিটিকে মনে মনে হিংসা করা করণ জোহরও হাজির ছিলেন। শুধু কি তাই, এ প্রজন্মের জনপ্রিয় তারকা ভিকি কৌশল, আদিত্য রয় কাপুর, অনন্যা পাণ্ডে, রাশমিকা মান্দানা, ভূমি পেডনেকার, সুরজ পাঞ্চলি থেকে শুরু করে রনদ্বীপ হুদা- নানা প্রজন্মের তারকায় মুখরিত ছিল অঙ্গন।

আড্ডায় মেতে ওঠেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী রেখা ও হীরামন্ডি সিরিজের শিল্পী অদিতি রাও হায়দারি, সোনাক্ষী সিনহা ও মনিষা কৈরালা

সঞ্জয় লীলা বানসালির সিরিজ ‘হীরামন্ডি : দ্য ডায়মন্ড বাজার’ ঘিরে দর্শকের আগ্রহ ক্রমে বেড়েই চলেছে। বানসালি মানেই যেন এক জাদুকরি দুনিয়া। ‘হীরামন্ডি’ সিরিজের মাধ্যমে ছয় নায়িকাকে একসঙ্গে তিনি ওটিটির পর্দায় আনতে চলেছেন। সিরিজটির মাধ্যমে বানসালিও ওয়েব সিরিজের দুনিয়ায় পা রাখতে যাচ্ছেন।

বানসালি ও তার প্রিয় ‘গাঙ্গুবাঈ’ আলিয়া ভাট

নেটফ্লিক্স আয়োজিত ‘নেক্সট অন নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়া’ আসরে প্ল্যাটফর্মটির নতুন সিরিজ ও সিনেমার ঘোষণা দেওয়া হয়। সেখানেই ‘হীরামন্ডি’র নায়িকাদের চরিত্রের নাম ও তাঁদের লুক প্রকাশ্যে এসেছে। অনুষ্ঠানটিতে নায়িকারা বানসালিকে ঘিরে নিজেদের অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন।

হীরামন্ডির ছয় নায়িকা ও অভিনেতাদের সঙ্গে নির্মাতা বানসালি

হীরামন্ডির ছয় নায়িকা হলেন মনীষা কৈরালা, সোনাক্ষী সিনহা, অদিতি রাও হায়দারি, রিচা চাড্ডা, সানজিদা শেখ, শারমিন সেহগাল। এদিন এই ছয় নায়িকার লুক আর তাদের চরিত্রের নাম প্রকাশ করা হয়। এই সিরিজটির মাধ্যমে ২৫ বছর পর মনীষা আবার বানসালির সঙ্গে কাজ করলেন। আর অভিনেতা ফারদিন খানও দীর্ঘদিন পর কামব্যাক করছেন এই সিরিজের মাধ্যমে।

সুপারস্টার সালমানের সঙ্গে বানসালির অন্যরকম সম্পর্ক! মাঝে অভিমান জমলেও এখন তারা আবারও আগের মতো বন্ধু

১৯৯৬ সালে এই পরিচালকের ‘খামোশি : দ্য মিউজিক্যাল’ সিনেমায় সালমান খানের নায়িকা ছিলেন তিনি। বানসালির সঙ্গে আবার কাজ করতে পেরে উচ্ছ্বসিত এই নায়িকা। মনীষা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা সবাই নিজেদের সেরাটা দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। কারণ, আমরা এক মাস্টারের সঙ্গে কাজ করেছি। খামোশি ছবির ২৫ বছর পর এ সিরিজে কাজ করার চেয়ে আর ভালো কিছু হতে পারে না। আমি তাঁকে শিল্পী, ওস্তাদ আর একজন প্রতিভাবান নির্মাতা হিসেবে বিকশিত হতে দেখেছি। উনি ভারতের একজন গুণী চিত্রনির্মাতা। আমরা ভাগ্যবান যে ওনার সঙ্গে কাজ করতে পেরেছি।’

তরুণ প্রজন্মের আলোটিত অভিনেত্রী অনন্যা পাণ্ডে এসেছিলেন নীল সালোয়ার কামিজ পরে

সিরিজের আরেক নায়িকা রিচা চাড্ডা বলেছেন, ‘নায়িকাদের সুন্দর পোশাক অনেকেই পরাতে পারেন। কিন্তু বানসালি একমাত্র, যিনি অভিনেত্রীকে ৩০ কেজি ওজনের লেহেঙ্গা পরিয়ে তাঁর সৌন্দর্য বিকাশের পাশাপাশি সেরা অভিনয়টা বের করে আনতে পারেন। একজন অভিনয়শিল্পীর মধ্যে নিজেকে আরও উন্নত করার প্রবল খিদে থাকে। উনি সেই খিদেকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারেন। কিছুদিন আগেই রানি মুখার্জির (অভিনেত্রী) সঙ্গে দেখা হয়েছিল। উনি বলেছিলেন, সঞ্জয় লীলা বানসালির সঙ্গে কাজ না করা পর্যন্ত কেউ নিজের প্রতিভা উপলব্ধি করতে পারেন না।’ রিচা এর আগে বানসালির ‘রামলীলা’ ছবিতে অভিনয় করেছেন।

‘হীরামন্ড ‘র প্রিমিয়ারে আবেদনময় অভিনেতা আদিত্য রয় কাপুর

এ সিরিজের আরেক অভিনেত্রী অদিতি রাও হায়দারি বানসালির সঙ্গে আগে কাজ করেছেন। তাঁকে ‘পদ্মাবত’-এ দেখা গিয়েছিল। অদিতি এই অনুষ্ঠানে বানসালির প্রসঙ্গে বলেন, ‘বানসালির সঙ্গে কাজ করা স্বপ্নের মতো। এটা অনেক বড় আশীর্বাদ। যখন কোনো ছবির শুটিং করেছি, তখন বানসালির সঙ্গে কিছুটা সময় কাটাতে পেরেছি।

‘হীরামন্ড ‘র প্রিমিয়ারে জনপ্রিয় দুই অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানা ও ভূমি পেডনেকার

কিন্তু সিরিজটির শুটিংয়ের সময় আমরা ওনার সঙ্গে অনেক বেশি সময় কাটাতে পেরেছি। অনেকে তাঁর সৃষ্টির মধ্যে সৌন্দর্য, পোশাক, অলংকার এ সবকিছু দেখতে পান। কিন্তু তাঁর প্রতিটা সৃষ্টির মধ্যে আমি অফুরান অভিজ্ঞতা, আবেগ, আর আত্মাকে খুঁজে পাই। উনি ওনার সৃষ্টি করা চরিত্রের মধ্যে শ্বাস নেন, বেঁচে থাকেন। আর উনি আপনার সামনে যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন, তার মধ্যে থাকে ভালোবাসা। আমি এই অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য সত্যি কৃতজ্ঞ।’

‘হীরামন্ড ‘র প্রিমিয়ারে কমেডি কিং কাপিল শর্মা

আসছে ১ মে নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাবে ‘হীরামন্ডি : দ্য ডায়মন্ড বাজার’।

প্রিমিয়ার শোতে বানসালির সঙ্গে অতিথিরা
;