কে হচ্ছেন বিরোধী দলনেতা

  • সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কে হচ্ছেন বিরোধী দলনেতা, ছবি: সংগৃহীত

কে হচ্ছেন বিরোধী দলনেতা, ছবি: সংগৃহীত

ভোটের অভাবনীয় ফলাফলে পাল্টে গেছে সব সমীকরণ। এখন সর্বত্র আলোচনা চলছে কারা হচ্ছেন- প্রধান বিরোধী দল, আর কে হচ্ছেন প্রধান বিরোধী দলনেতা।

অনেকে টিপ্পনি কেঁটে পোস্ট দিয়েছেন। কেউ লিখেছেন, যেহেতু জাতীয় পার্টি মহাজোটের অংশ, তাই আসন কম পেলেও ৭ জন সংসদ সদস্য নিয়ে বিএনপি বিরোধীদলের আসনে বসবে।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির সিনিয়র পার্লামেন্টারিয়ান ও প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম এমপি বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমাদের নির্বাচনী ঐক্য হয়েছিলো। কিছু আসনে তারা আমাদের ভোট দিয়েছে, কিছু আসনে আমরা তাদের ভোট দিয়েছি। এখন কিন্তু আর সেই ঐক্য নাই।

তবে হ্যাঁ এখন আমরা আলোচনা করতে পারি, সরকারে অংশ নেবো, নাকি বিরোধী দলে থাকবো। আমরা যদি চাই দু’টি অপশনেই খোলা আছে। জাপার বিরোধী দলের আসনে বসার ক্ষেত্রে কোনো আইনি জটিলতাও নেই বলে মন্তব্য করেন ফখরুল ইমাম এমপি।

অন্যদিকে অ্যাড. সিরাজ উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, সংবিধানে বিরোধী দলের আসন সংখ্যার কোনো বিধিনিষেধ নেই। সরকার গঠনে অর্ধেকের বেশি আসন দরকার হয়। আর আসন সংখ্যার দিক থেকে সরকারি দলের পরেই যে দলের অবস্থান থাকবে তারাই বিরোধীদল হবে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে কে হচ্ছেন প্রধান বিরোধী দলনেতা। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নাকি সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বর্তমান বিরোধী দলনেতা রওশন এরশাদ। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পরে এ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিলো। এরশাদ প্রথমে স্ত্রী রওশনকে বিরোধী দলনেতা হওয়ার জন্য মত দেন। কিন্তু পরে আবার সেই সিদ্ধান্ত বদলে নিজেই বিরোধী দলনেতা হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।

কিন্তু ততদিনে রওশন এরশাদ বাগড়া দিয়ে বসেন। আবার জাতীয় পার্টির এমপিরা রওশনের পক্ষে একাট্টা থাকায় এরশাদের সেই আশা অপূর্ণ থেকে যায়। সেই সময়ে রওশনের পক্ষে একাট্টা থাকার অন্যতম কারণ ছিলো- ওই নির্বাচন এরশাদ বর্জন করতে চেয়েছিলেন, আর রওশনের নেতৃত্বে জাপার নেতারা নির্বাচনে অংশ নেয়। মাঝামাঝি সময়েও এসে একবার বিরোধী দলনেতার চেয়ারে বসতে চেয়েছিলেন এরশাদ। কিন্তু সফল হননি।

এ নিয়ে তখন এরশাদ-রওশন দ্বন্দ্ব প্রকাশ পেয়েছিলো। সংসদ চলাকালীন সময়ে এরশাদ বসতেন জাতীয় পার্টির সংসদীয় কার্যালয়ে, আর রওশন বসতেন বিরোধী দলনেতার কার্যালয়ে। এক তলা ওপর নিচে অবস্থান হলেও তাদের মধ্যে দেখা কথা বলা বন্ধ ছিলো। এবারের প্রেক্ষাপট অনেকটা ভিন্ন। এবার এরশাদ-রওশনের মধ্যে খুব একটা মতপার্থক্য নেই।

এ বিষয়ে ফখরুল ইমাম বলেন, আমার মনে হয় ম্যাডামই (রওশন এরশাদ) বিরোধী দলনেতা হবেন। যেহেতু স্যারের (এরশাদ) শরীরটা অনেক খারাপ। আপনারা দেখেছেন, তিনি নির্বাচনী ক্যাম্পেইনেও অংশ নিতে পারেননি।