মন ভালো হবে মুহূর্তেই!
অফিসে কাজের ব্যস্ততার মাঝে হুট করেই ক্লান্তিভাব দেখা দিলে, মনোযোগ ধরে রাখা বেশ কঠিন হয়ে ওঠে।
অথবা একেবারেই অকারণে মন খারাপ হওয়া, বিরক্তিবোধ কাজ করার সমস্যাটি অস্বাভাবিক কিছু নয়।
এছাড়া প্রতিদিনের জীবনের নানান চড়াই-উতরাই তো থাকেই। সবকিছুর সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়, মন-মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। এমনটা হলে কীভাবে মন-মেজাজ ঠিক করবেন? এখানে খুবই সাধারণ কিছু কাজের কথা জানানো হলো। ছোট্ট, অল্প সময়ের কাজের মাধ্যমে খুব সহজেই মন ভালো হয়ে উঠবে আপনার।
তালিকা তৈরি করুন
নোটবুক ও কলম নিয়ে বসে পড়ুন। যে সিনেমাগুলো দেখার ইচ্ছা আছে, তার নামগুলো এক এক করে লিখে ফেলুন। গুগল করে কয়েকটি সিনেমা সম্পর্কে জানুন। অনেকদিন ধরে সুশি খেতে ইচ্ছা করছে? ঢাকা শহরের কোথায় সুশি রেস্টুরেন্ট আছে সেটার একটি তালিকা তৈরি করুন। কোন গ্যাজেট কেনার জন্য কত টাকা প্রয়োজন সেটা হিসাব করুন। পুরো একটি তালিকা শেষে দেখুন, মন ভালো হয়ে গেছে।
ছন্দময় গান শুনুন
ধীরতালের গান নয়, বিটযুক্ত ছন্দময় গান শুনুন। গানের তালের সঙ্গে মানসিক চাপ ও অস্থিরতা কমে যায় অনেকখানি। মন খারাপভাব কেটে যায় কিছুক্ষণের মাঝেই। যখনই নিজেকে ‘ডাউন’ মনে হবে ‘আপলিফটিং’ ঘরানার গান শোনা শুরু করুন।
ক্লিক ক্লিক!
কিছুই ভালো লাগছে না? মোবাইল ফোনটি তুলে নিন। নিজের আশেপাশের কোন কিছুর ছবি তুলুন। সেটা হতে পারে টেবিলে থাকা সাধারণ বইপত্র, জানালা গলে ঘরে আসা রোদের আলো, অফিস ডেস্কের স্টিকি নোটস। গুছিয়ে কিংবা এলোমেলো কিছু ছবি তুলে সেগুলো পছন্দমতো এডিট করুন। মনের মেঘ কাটতে সময় লাগবে না।
কফি পান করুন
কফিতে থাকা ক্যাফেইন শুধু শারীরিক এনার্জি বাড়াতেই নয়, মানসিক এনার্জি বৃদ্ধিতে ও রিচার্জড করতেও কাজ করে। গরম কফি মোহনীয় সুবাস অক্সিটোসিন নিঃসরণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় ও ভালো বোধ হয়।
পিপারমিন্ট এর সুঘ্রাণ নিন
অবাক হবার মতো বিষয় হলেও গবেষণা জানাচ্ছে পিপারমিন্টের মিষ্টি ও আরামদায়ক সুঘ্রাণ রক্তচাপকে কমায় এবং স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের নিঃসরণের মাত্রা হ্রাস করে। ভিন্ন আরেকটি গবেষণার ফল সুপারিশ করে, পিপারমিন্টের সুঘ্রাণ গ্রহণে শরীরচর্চা করার মতো শক্তি বৃদ্ধি পায়।
মজার ভিডিও দেখুন
সবার হাতে হাতেই মোবাইল ও ইন্টারনেট। তার মানে ইউটিউবও সহজলভ্য। মন খারাপ লাগলে কিংবা ‘কিচ্ছু ভালো লাগে না’ অনুভূতি কাজ করলে ইউটিউব ‘ফানি ভিডিও’ সার্চ করে কয়েকটি ভিডিও দেখে ফেলুন। পনের মিনিটেই দেখবেন মুখে হাসি চলে এসেছে আপনার।
সাহায্য করুন
সামর্থ্য ও সুযোগ বুঝে সাহায্য প্রার্থীদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। টাকার অংকটা এখানে বড় নয়, কাউকে সাহায্য করতে চাওয়ার ইচ্ছাটাই মুখ্য। অর্থদান ছাড়াও অন্য যেকোন কাজের মাধ্যমেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া যায়। খুব সামান্য এই কাজে যে মানসিক প্রশান্তি ও ভালো লাগা কাজ করে, সেটা অতুলনীয়।
আরও পড়ুন: জীবন হোক আনন্দ ও হাসিতে ভরপুর
আরও পড়ুন: লেবু রাখুন বিছানার পাশে!