আই বাই সিক্রেটস তাদের প্রথম এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার চালু করেছে হোলসেল ক্লাব যমুনা ফিউচার পার্কে।
এ সেন্টারটি এমন একটা জায়গা যেখানে যেকোনো বয়সের নারী একটি নারীবান্ধব পরিবেশে তাদের পছন্দের প্রোডাক্টের ট্রায়াল থেকে কেনাকাটা সবই করতে পারবেন।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার পুরোটাই থাকছে ফিমেইল স্টাফদের তত্ত্বাবধানে। তাই প্রাইভেসি বা প্রোডাক্ট সম্পর্কিত যেকোনো প্রশ্নে থাকছে না কোনো দ্বিধা! সব ধরনের ব্যান্ড এবং কাপ সাইজের এভেলেবিলিটি থাকায় প্রতিটা মেয়ে তার সাইজ অনুযায়ী পারফেক্ট প্রোডাক্ট সিলেক্ট করতে পারবে।
এছাড়াও যারা সাইজ নিয়ে কনফিউসড এবং প্রয়োজনের ধরন অনুযায়ী প্রোডাক্ট সিলেকশন করতে পারছে না তাদের জন্য আই বাই সিক্রেটসে আছে ফ্রি গাইড কনসালটেন্সি। তাদের এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারে এই ফ্রি সার্ভিসটি নিতে পারবেন আপনিও।
প্রকৃতিতে এসে গেছে ফ্যাশন প্রেমীদের পছন্দের ঋতু শীত। শীতের আগমনকে কেন্দ্র করে ফ্যাশন সচেতন মানুষের মধ্যেও শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। আর তাই সবার জন্য শীতের হিম বাতাসে ফ্যাশন এবং উষ্ণতার মিশ্রণে বাহারি শীতের পোশাক নিয়ে এসেছে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘সারা’।
বরাবরের মতো এবারও দেশের অন্যতম জনপ্রিয় লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘সারা’ লাইফস্টাইলে নিয়ে এসেছে সাশ্রয়ী মূল্যে শতাধিক ডিজাইনের নতুন শীতকালীন পোশাকসামগ্রী। ‘সারা’র শীতকালীন কালেকশনে এবারের থিম-অভিযান। বৈচিত্র্যময় এসব পোশাক হালের ট্রেন্ডি ফ্যাশন ও স্বাচ্ছন্দ্যের সংমিশ্রণে প্রস্তুত করা হয়েছে। উষ্ণ ও আরামদায়কে কাপড়ের সঙ্গে কালো, নেভি ব্লু, লাল, মেরুন, ধূসর ও বাদামি রঙের সমন্বয়ে ডিজাইন করা হয়েছে এবারের সারা’র শীতকালীন আয়োজন। সিনথেটিক, ব্লেন্ডেড, টেনসিল, সুতি ও ডেনিম কাপড়ের তৈরি শীতের পোশাকগুলো দেখতে যেমন আকর্ষণীয় তেমনি পরতেও বেশ আরামদায়ক।
‘সারা’ লাইফস্টাইলের শীতকালীন পোশাকের এই সংগ্রহে থাকছে সব বয়সী ক্রেতাদের জন্য পোশাক। প্রাপ্ত বয়স্কদের পাশাপাশি সারা’তে আছে শিশুদের জন্যও বিশেষ কালেকশন। প্রায় শতাধিক কালার এবং ডিজাইনের ভিন্নতা থাকছে এই শীতকালীন পোশাকের আয়োজনে। শীতকালীন পোশাকের এই আয়োজনে হালকা এবং ভারী শীতে পরার জন্য বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক সারা’র সব আউটলেটসহ ই-কমার্সেও পাওয়া যাবে।
উষ্ণতা, ফ্যাশন, গুণগত মান এবং সাশ্রয়ী মূল্যের চমৎকার সমন্বয়ে ‘সারা’র শীত আয়োজনে পুরুষদের জন্য রয়েছে বাহারি ডিজাইনের জ্যাকেট, স্যুট সেট, ফুল স্লিভস টি-শার্ট, ডেনিম জ্যাকেট, ডেনিম শার্ট, ক্যাজুয়াল শার্ট, ডেনিম প্যান্ট, চিনো প্যান্ট, জগার্স ও শাল। একইসঙ্গে নারীদের জন্য ‘সারা’ এবার নিয়ে এসেছে বাহারি ডিজাইনের জ্যাকেট, ডেনিম জ্যাকেট, ডেনিম কুর্তি, ডেনিম টপস, শাল ও হুডি টি শার্ট। এছাড়াও ‘সারা’র রেগুলার ডিজাইনের পোশাক তো থাকছেই।
শীত এলেই শিশুদের প্রতি বাড়তি যত্ন, অধিক সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। আর তাই ‘সারা’ লাইফস্টাইল শিশুদের জন্য নিয়ে এসেছে আরামদায়ক সব শীতকালীন পোশাকের সংগ্রহ। ছেলে শিশুদের জন্য ‘সারা’ এবার নিয়ে এসেছে বাহারি ডিজাইনের জ্যাকেট, ডেনিম জ্যাকেট, ডেনিম শার্ট, ডেনিম প্যান্ট, চিনো প্যান্ট, শার্ট-প্যান্ট সেট ও ফুল স্লিভস টি-শার্ট। একইসঙ্গে মেয়ে শিশুদের জন্য রয়েছে বাহারি ডিজাইনের জ্যাকেট, ফুল স্লিভস টি শার্ট, ডেনিম টপস ও ডেনিম কুর্তি।
‘সারা’ বরাবরই শীত আয়োজনে ক্রেতাদের পছন্দের কথা বিবেচনা করে অনাড়ম্বর ডিজাইনের জ্যাকেট বানিয়ে থাকে। ‘সারা’র চমৎকার সব স্টাইলিশ পোশাক হতে পারে আপনার এ সময়ের সঙ্গী। ‘সারা’ লাইফস্টাইলের বাহারি সব শীতের পোশাক মাত্র ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০০ টাকার মধ্যে কিনতে পারবেন ক্রেতারা।
আরামদায়ক ফেব্রিক, মানসম্পন্ন এক্সেসরিজ এবং ট্রেন্ডি ডিজাইনের জ্যাকেটগুলো আপনাকে যেমন উষ্ণতা দেবে, তেমনি আপনার ফ্যাশনে যোগ করবে নতুন এক মাত্রা। আর সবসময় গ্রাহকদের স্বার্থে পোশাকের দামও সাধ্যের মধ্যে রাখার জন্য ‘সারা’র প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
আউটলেটের পাশাপাশি সারা’র নিজস্ব ওয়েবসাইট (www.saralifestyle.com), ফেসবুক পেজ (https://www.facebook.com/saralifestyle.bd) এবং ইন্সটাগ্রাম (https://www.instagram.com/saralifestyle.bd/) থেকে ক্রেতারা ঢাকার ভেতরে অর্ডার করে হোম ডেলিভারি পেতে পারেন। এছাড়া ঢাকার বাইরে সারা দেশে কুরিয়ারের মাধ্যমেও আপনার অর্ডার করা পণ্য ডেলিভারি পাবেন।
বর্তমান বিশ্বের সাধারণ কিছু কঠিন অসুস্থতাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ডায়াবেটিস। বহুমূত্র বা ডায়াবেটিস মেলাইটাস একটি দীর্ঘকালীন রোগ। রক্তে স্বাভাবিকের চেয়ে চিনি বা গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে গেলে ইনসুলিনের উৎপাদন বা কার্যকারিতা কমে গেলে এই রোগ হয়।
ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশনের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি দশজন মানুষের মধ্যে একজন ডায়াবেটিসে ভুগছেন। বর্তমানে পুরো বিশ্বে ৫৩ কোটির বেশি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। অর্থাৎ বছরে ১৫ লক্ষের বেশি মানুষ ডায়াবেটিস আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়া হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, অন্ধত্ব, কিডনি ফেইলিউর, পা কেটে ফেলার মতো ইত্যাদি আরও অনেক সমস্যার কারণ হতে পারে ডায়াবেটিস।
আজ ১৪ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) সারাবিশ্বে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস দিবস। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনের মাধ্যমে সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে হয়। সবচেয়ে বেশি স্বস্তিতে থাকা যায়, যদি আক্রান্ত হওয়ার আগেই ডায়াবেটিস হওয়া প্রতিরোধ করা যায়। গুন্ডারসেন হেলথ সিস্টেমের একটি প্রতিবেদনে এই নিয়ে কিছু টিপস শেয়ার করা হয়েছে।
১. সাদা রুটি, আলুর মতো পরিশোধিত শর্করা এবং চিনিযুক্ত খাবার, রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় এবং রক্তে ইনসুলিনের তারতম্য ঘটায়। এর ফলে সময়ের সাথে সাথে ডায়াবেটিস সৃষ্টি করতে পারে। তাই খাদ্যতালিকায় আগে থেকেই চিনিজাতীয় খাবার সীমিত করুন এবং জটিল কার্বোহাইড্রেট যেমন শাকসবজি, ওটমিল এবং পুরো শস্য বেশি পরিমাণে রাখুন।
২. ধূমপান ইনসুলিনের কার্যকারিতা প্রতিহত করতে পারে। এর ফলে টাইপ-টু ডায়াবেটিস হতে পারে। তাই ধূমপানের অভ্যাস থাকলে দ্রুত ত্যাগ করুন।
৩. একবারে অনেক বেশি পরিমাণে খাবার খেলে স্বাভাবিকের তুলনায় রক্তে ইনসুলিন এবং শর্করার মাত্রার তারতম্য হতে দেখা যায়।
৪. হাঁটা, নাচ, শরীরচর্চা, সাঁতারের মতো শারীরিক পরিশ্রম হয় এমন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ৩০ মিনিট করে শরীরের ঘাম ঝরাতে হবে। সীমিত পরিমাণে শারীরিক পরিশ্রম করা বা একেবারেই না করা ডায়াবেটিস তৈরি হওয়ার কারণ হতে পারে।
৫. যদি আপনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে না চান তাহলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। শুধু তাই নয়, অন্যান্য মিষ্টি পানীয় পান করাও কমিয়ে ফেলতে হবে। মিষ্টি পানীয় ডায়বেটিস হওয়ার কারণ হতে পারে।
৬. তন্তুজাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস অনেক রোগের মতো ডায়াবেটিস প্রতিরোধেও কার্যকর। তন্তু বা ফাইবারজাতীয় খাবার খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং পেট সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে, যার ফলে ডায়াবিটিসের সম্ভাবনাও কমে যায়।
প্রতিবছর ১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালন করা হয়। এই দিবসের উদ্দেশ্য সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ডায়াবেটিস হওয়া প্রতিরোধ করা এবং ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সুস্থতা নিশ্চিত করা।
নবজাতক শিশুর যত্ন অনেক বেশি জরুরি। শিশুর প্রতিপালন যেভাবে হয়, তার উপর তার সমগ্র জীবন নির্ভর করে। ছোট থেকে বড়, সব জিনিস এর সঙ্গে সম্পর্কিত। শিশুর জন্ম থেকে ৫ বছর বয়স অবধি নানারকম বৃদ্ধি ঘটতে থাকে। এই বাড়ন্ত বয়সে শিশুর শরীরে নানাবিধ পুষ্টি দরকার, যা আসবে বিভিন্ন ধরনের গৃহীত খাদ্য থেকে।
গর্ভাবস্থাতেই শিশুদের মধ্যে স্বাদজ্ঞান চলে আসে। গর্ভধারণের ৯ সপ্তাহ পর থেকেই অ্যামনিওটিক ফ্লুইডের কারণে মায়ের খাওয়া খাবারের স্বাদ শিশুরা পায়। মুখ এবং জিহ্বা তৈরি হতে সেই ক্ষমতা আরও তীব্র হতে থাকে। তাই জন্মের সময় প্রখর স্বাদ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে নবজাতক। সেজন্য প্রথমেই জন্মের পর মিষ্টি স্বাদের অনুভূতি এবং পুষ্টির জন্য শালদুধ খাওয়াকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।
১ বছর বয়স অবধি শিশুর টেস্টবাড গঠিত হতে থাকে। যেমন:
নবজাতক থেকে ৩ মাস: এই পর্যায়ে, আপনার শিশুর স্বাদ অনুভূতি খুবই সংবেদনশীল। প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুর স্বাদ অনুভব করার অভিজ্ঞতা এই বয়সে একেবারেই ভিন্ন। শুধু জিহ্বায় নয়, নবজাতক টনসিল সহ মুখের অন্যান্য জায়গায়ও স্বাদগ্রহণ করতে পারে। মিষ্টি এবং তেতো স্বাদের পার্থক্যজ্ঞান এই বয়সেই প্রখর থাকে।
৩ মাস থেকে ৬ মাস: এই বয়সে শিশুর জিহ্বা শরীরের সঙ্গে আকারে কিছুটা বাড়ে। এই বয়সে শিশুদের দেখা যায়, বিভিন্ন জিনিস মুখে দিচ্ছে। কাপড়, খেলনা বা হাতের কাছে যা পায় তাই মুখে দিতে শুরু করে। এটা আসলে একটি ভালো অভ্যাস, এভাবে তারা বুনট ও স্বাদ বোঝার চেষ্টা করে। তবে অবশ্যই শিশুর যেন কোনো ক্ষতি বা অসুবিধা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৬ মাস থেকে ১ বছর: ৭-৮ মাস বয়সেই শিশুরা নিজের হাতে খাবার খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়। শিশুকে বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে পরিচয় করানোর জন্য এইসময়টাই মোক্ষম। ৬ মাস বয়সের পর শিশুকে শক্ত খাবার খাওয়ানো শুরু করা হয়। এইসময় শিশুকে সব ধরনের খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস করাতে হয়। প্রথমেই চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ানো যাবে না। কারণ এমনিতেই মায়ের বুকের দুধ কিছুটা মিষ্টি স্বাদের হওয়ায় নবজাতকের মিষ্টির প্রতি ঝোঁক তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
শিশুকে টক, তেঁতো, হালকা আঁশজাতীয় সবরকম খাবারই খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। যত বেশি ধরনের খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলবেন শিশুর পুষ্টির ভারসাম্য তত বেশি হবে। চেষ্টা করুন ফল-সবজি থেকে শুরু করে মাছ-মাংস সবই যতটা সম্ভব তাজা খাওয়ানোর। তবে বেশি তেল মশলা বা ভারি খাবার খাওয়াবেন না। শিশুর হজম ক্ষমতা বেশি পরপক্ক না হওয়ায় অবশ্যই কোনো খাবারে শিশুর সমস্যা হচ্ছে কিনা খেয়াল রাখবেন। চেষ্টা করবেন প্রতিটা খাবার আলাদা আলাদাভাবে খাওয়াতে, এতে শিশুর কোনো খাবারে এলার্জি আছে কিনা তা যাচাই করা সহজ হয়।
মানুষের মস্তিষ্ক অত্যন্ত সূক্ষ্ম এবং জটিলভাবে সজ্জিত। তবে মস্তিষ্কের থেকেও জটিল মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য। মানুষের মন এত বেশি জটিল হয় যে, অনেক সময় বাহ্যিক ভাবে বোঝা তো দূরে থাক, অভিজ্ঞ ব্যক্তির সাহায্য ছাড়া রোগ থাকার লক্ষণও ধরা যায় না।
মানুষের ব্যক্তিত্বের উপর তার স্বাস্থ্যের অনেক কিছুই নির্ভর করে, বিশেষ করে মানসিক স্বাস্থ্যের। ব্যক্তিবিশেষ নানা ধরনের ব্যক্তিত্ব দেখা যায়। আমাদের ব্যক্তিত্বের পার্থক্যের কারণেই একজন মানুষের থেকে অন্যজন এত বেশি আলাদা। অনেকে তো নিজের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে নিজেই অবগত থাকেনা। তবে খুব সহজে নিজেই পরীক্ষা করে দেখতে পারেন আসলে আপনার ব্যক্তিত্ব কেমন?
‘অপটিক্যাল ইলিউশন পার্সোনালিটি টেস্ট’ নামক পদ্ধতি খুব প্রাথমিক ভাবে আপনার ব্যক্তিত্বের একটি ধারণা দিতে পারে। এই পরীক্ষায় ব্যবহৃত হয় স্থির ছবি, যার মধ্যে এক বা একাধিক উপাদান প্রতীকীরূপে থাকে। মনোবিজ্ঞান-ভিত্তিক এই পরীক্ষা মানুষের চোখে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ধরা পড়ে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই ব্যক্তিত্ব ধারণা করা হয়।
‘দ্য মাইন্ডস জার্নাল’ দ্বারা প্রকাশিত এই ছবিটি তেমন পরীক্ষার জন্য নির্মিত। ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যায় ছবির একটি অংশে একটি কালো কাক দাঁড়িয়ে আছে, অন্যদিকে পাথরের সুসজ্জিত বিন্যাস একজন মানুষের মুখের অবয়ব তৈরি করেছে। প্রথমে ছবির কোন অংশটি নজরে পড়ছে তার উপর ভিত্তি করে ব্যকি্তত্ব ধারণা করা হয়।
১. যদি আগে কাক দেখতে পান:
এই ব্যক্তিত্ব পরীক্ষায় যদি প্রথম কাক দেখতে পান তাহলে তা বোঝায় যে আপনি অন্যদের ক্ষেত্রে খুব বেশি বিচারপ্রবণ বা স্ব-সমালোচকও বটে!তাহলে এর মানে হল যে আপনি জীবনে বেশ স্বজ্ঞাত এবং পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে পছন্দ করেন। অন্যদের আপনি খুব বিচার-বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেন। আপনি মানুষের আচরণ গভীরভাবে বুঝতে পারে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আপনার ধারণা সঠিক হয়। আপনি বেশ সন্দেহবাতিক, যা আপনার জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।
২. যদি আগে পাথরের তৈরি মুখ দেখতে পান:
প্রথমে পাথরের সম্মেলনে মুখের অবয়ব দেখে থাকলে এর মানে হলো, আপনি নিজের সমালোচনা বেশি করেন। যদিও এই স্বভাব আপনাকে জীবনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। তবে হিতে বিপরীত হওয়ারও সম্ভাবনা রয়ে যায়। নিজেকে বার বার বিচার করার অভ্যাসের কারণে আপনার নিরাপত্তাহীনতার জায়গাগুলো সহজে ধরা পড়ে এবং শুধরে নেওয়া সহজ হয়। যদিও আপনার সাফলে্য বাঁধাও আসতে পারে এই স্বভাবের কারণে।
উপদেশ: যারা প্রথম ধরনের মানুষ, তারা মানুষ চিনতে তীক্ষ্ণ দৃষি্টসম্পন্ন হলেও অনেক সময় অন্যের কষে্টর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই অন্যের প্রতি কিছুটা সহানুভূতি প্রকাশ করার চেষ্টা করুন। সবসময় অতিরিক্ত জাজমেন্টাল এবং সন্দেহপ্রবণ আচরণ প্রকাশ না করাই শ্রেয়। অন্যদিকে, দ্বিতীয় ধরনের মানুষ প্রায়ই নিজেকে অনেক বেশি চাপ দিয়ে ফেলেন। নিজের প্রতি আরও বেশি কোমল হতে হবে, নয়তো জীবনে উন্নতির পথে বাঁধা আসবে।