শিখতে হবে ‘না’ বলা!
নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে ও প্রবল অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও,
কতবার অন্যের কাজ করে দিতে হয়েছে, অন্যের মতামতকে মেনে নিতে হয়েছে- সেটার সঠিক হিসেব দেওয়া হয়তো কারোর পক্ষেই সম্ভবপর নয়।
পরিবার, বন্ধুমহল, কর্মক্ষেত্রে কিংবা অর্ধপরিচিত-অপরিচিত কারোর কোন সিদ্ধান্ত বা অনুরোধ নিজের বিরুদ্ধে গেলেও মেনে নিতে হয়েছে। হ্যাঁ তে হ্যাঁ মেলাতে হয়েছে। বাড়তি শারীরিক ও মানসিক চাপ বহন করতে হয়েছে। নিজের পরিস্থিতির বিরুদ্ধে গেলেও মুখে মেকি হাসি ধরে রেখে সায় জানাতে হয়েছে, কারণ মুখের উপর ‘না’ বলে দেওয়ার অভ্যাস নেই!
‘না’ বলতে না পারা স্বভাগগত ত্রুটির মাঝে না পড়লেও, না বলতে না পারার স্বভাবের দরুন নিজেকেই ভুগতে হয় সবচেয়ে বেশি। অন্যের প্রত্যাশা পূরণ, নিজের কম্ফোর্ট জোন থেকে বের হওয়া ও নিজের আত্মবিশ্বাসসহ বেশ কিছু বিষয় থাকে, যার জন্যেই মূলত ‘না’ বলতে পারার অভ্যাসটি গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে বাধাপ্রাপ্ত হয়।
তবে নিজের জন্যেই ‘না’ বলা শেখা প্রয়োজন। কীভাবে না বলার অভ্যাসটি গড়ে তুলবেন? এখানে জানানো হলো উপকারী কিছু পদক্ষেপ।
বিনয়ের সাথে ‘না’ বলা
কারোর কোন কাজে বা কথায় সম্মতি জ্ঞাপন না করে, তাকে না বলা মানেই কিন্তু রূঢ় আচরণ করা নয়। বিনয়ের সাথে খুব সুন্দরভাবেই কাউকে কোন বিষয়ে নিজের অপারগতার বিষয়টি জানানো যায়।
নিজেকে সময় দিতে হবে
সবসময় ‘হ্যাঁ’ বলার অভ্যাস থেকে হুট করে ‘না’ বলার অভ্যাসটি আয়ত্তে আনা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে নিজেকে সময় দিতে হবে। নিজেকে এই পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নিতে হবে। মূলত কাউকে কোন বিষয়ে নিজের অপারগতা জানানোর জন্য আত্মবিশ্বাসের প্রয়োজন হয়। এই সময়ের মাঝে নিজের আত্মবিশ্বাস মজবুত করার ক্ষেত্রে কাজ করা যাবে।
অপরাধবোধ কাজ করতে দেওয়া যাবে না
এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কাউকে ‘না’ বলার পরিপ্রেক্ষিতে কখনোই নিজের মাঝে অপরাধবোধ কাজ করতে দেওয়া যাবে না। মনে রাখতে হবে, নিজের ভালোর জন্যে ও নিজের মতামত, পছন্দকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্যেই অন্যের সাথে দ্বিমত পোষণ করা হয়। প্রয়োজনে অপরপক্ষকে বুঝিয়ে বলতে হবে নিজের অবস্থা সম্পর্কে। কিন্তু এর জন্য মানসিকভাবে দগ্ধ হওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন: কীভাবে হবেন আত্মবিশ্বাসী?
আরও পড়ুন: মন ভালো হবে মুহূর্তেই!