মিষ্টি কুমড়ার হেয়ারপ্যাকে চুল থাকবে যত্নে!
চুলের প্রতি যতটা যত্নবান হবেন, চুল ততটাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবে।
হিসেবটা কিন্তু খুব সহজ। চুলকে ভালো রাখতে নিয়ম মেনে নিয়মিত পরিচর্যা করা বাধ্যতামূলক। বিশেষ করে আমাদের দেশের আবহাওয়া, পরিবেশ দূষণ ও তাপমাত্রার পরিপ্রেক্ষিতে চুলের যত্নটা যেন একটু বেশীই নেওয়া প্রয়োজন। যত্ন নেওয়ায় হেরফের হলেই দেখা দেয় চুলের হাজারো সমস্যা।
চুলের যত্নে সবচেয়ে বেশি উপকারী ভূমিকা পালন করে প্রাকৃতিক উপাদান। মেহেদি, টকদই কিংবা আমলকীর রস তো পুরনো হয়ে গেছে, চুলের যত্নে এবার ব্যবহার করুন মিষ্টি কুমড়ার হেয়ারপ্যাক।
কীভাবে তৈরি করতে হবে এই হেয়ারপ্যাকটি?
মোট তিনটি উপাদান প্রয়োজন হবে এই হেয়ারপ্যাকটি তৈরি করতে। দেড় কাপ গ্রেট করা মিষ্টি কুমড়ার রস, ১/৪ কাপ নারিকেল তেল ও ২ টেবিল চামচ মধু। এই সকল উপাদান একসাথে মিশিয়ে ভালোভাবে হুইস্ক করতে হবে। সকল উপাদান একসাথে মিশ্রিত হয়ে ঘন পেস্ট তৈরি হবে। এই হেয়ারপ্যাকটি রেফ্রিজারেটরে রেখে ২-৪ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে।
মিষ্টি কুমড়ার হেয়ারপ্যাকের ব্যবহারবিধি
এই হেয়ারপ্যাকটি চুলে এপ্লাই করার পূর্বে হাতের আঙ্গুল পানিতে ভিজিয়ে নিতে হবে। এতে প্যাকটি ব্যবহার করা সহজ হবে। চুলে হেয়ারপ্যাকটি ম্যাসাজ করার জন্য সিঁথি করে চুলের গোড়ায় ভালোভাবে ম্যাসাজ করে নিতে হবে। এরপর পুরো চুলে মাখিয়ে নিতে হবে। এইভাবে পুরো চুলে হেয়ারপ্যাকটি ব্যবহার করার পর হেয়ার ক্যাপ অথবা পুরনো ও পরিষ্কার কোন কাপড় দিয়ে মাথা ঢেকে রাখতে হবে। আধা ঘন্টা পর হার্বাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে।
আরো পড়ুন: চুল পড়া কমাবে রসুন!
কেন মিষ্টি কুমড়ার হেয়ারপ্যাক?
এতো সকল উপাদানের ভিড়ে কেন মিষ্টি কুমড়া- এমন প্রশ্ন তো মাথায় আসতেই পারে। তবে জেনে রাখুন দারুন এই সবজীতে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, পটাসিয়াম, ভিটামিন-সি ও অন্যান্য উপকারী ভিটামিন সমূহ।
রোদের আলোর প্রভাবে চুলের ক্ষতিকর প্রভাব দূর করতে, ড্যামেজ চুলে প্রাণ ফিরিয়ে আনতে, খুশকির সমস্যা দূর করতে উক্ত উপকারী উপাদান খুব দ্রুত কাজ করে। বিশেষ করে চুলকে নরম করতে এই হেয়ারপ্যাকটি অনন্য।
চুলকে রক্ষা করতে ও চুলের সমস্যা দূর করতে নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারবেন মিষ্টি কুমড়ার হেয়ারপ্যাক।