`সুপরিকল্পনার ভিত্তিতে গ্রামকে শহরে রুপান্তরিত'

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

গ্রামকে অবশ্যই শহরের সুযোগ সুবিধার আওতায় আনা উচিত কিন্তু তা সুপরিকল্পনার ভিত্তিতে করতে হবে। তা না হলে গ্রামীন জনপদেও পরিবেশ প্রকৃতির বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে নগর, দূষণ ও পর্যটন নিয়ে আয়োজিত এক বিশেষজ্ঞ অধিবেশনে বক্তারা এসব কথা বলেন। দুই দিনব্যাপী ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ বাস্তবায়ন এবং বাংলাদেশের স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন’ নিয়ে এ অধিবেশনের আয়োজন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বিশেষজ্ঞ অধিবেশনে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেনের ড. দ্বীপেন ভট্টাচার্য। সহযোগী সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুনে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারের পলিসি মেকার গৌরি নুলকার ওক, অধিবেশন সংগঠক সৈয়দ সাইফুল ইসলাম শোভন, বাংলাদেশ পরিবেশসহ (বাপা) বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীবৃন্দ।

সভায় বক্তারা ঢাকা শহরের নানা দূষণ নিয়ে কথা বলেন। অধিবেশনের এক বিশেষজ্ঞ মীর মো. মোজাম্মেল হক জানান, ঢাক শহরের পরিবেশ অধিদপ্তরের ক্যাম্প স্টেশন থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে যানা যায় যে শুষ্ক মৌসুমে ঢাকার বাতাসে নানা ধরনের রাসায়নিকের মাত্রা অনেক বেশি থাকে, তার জন্য তিনি দায়ী করেন যানবাহনের কালো ধোঁয়া ও ঢাকা নগরীর উওর পশ্চিম দিকের ইটভাটা গুলোকে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘সরকারি নীতি নির্ধারকদের এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।’

ভারতের পুনে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারের পলিসি মেকার গৌরি নুলকার ওক বলেন, ‘যে কোনো সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে দীর্ঘ মেয়াদী পরিল্পনা হাতে নিতে হয়। এতে কাঙ্খিত ফল পাওয়া যায়। ভালোভাবে পলিসি মেকিং না হলে সেই সব পরিকল্পনা থেকে কেউ লাভবান হয় না।’

সভাপতি দ্বীপেন ভট্টাচার্য বলেন, ‘আজকে যা আলোচনা হয়েছে তা নীতিনির্ধারকদের কাছে পৌঁছে যাবে। যে কোনো কাজের ক্ষেত্রেই নীতিনির্ধারণ একটি বড় বিষয়। তাই সবাই যদি তাদের নিজ নিজ মতামত দেন তাহলে তাদের নিতীনির্ধারকদের কাজ সহজ হয়। কারণ আপনার বিষয়ে কেবল আপনিই ভাল বলতে পারবেন।’

অধিবেশন শেষে উপস্থিত ছাত্র, শিক্ষর, বিশেষজ্ঞরা নগর, দূষণ ও বাংলাদেশের পর্যটন নিয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।