সড়ক নির্মাণে অনিয়ম, কাজ বন্ধ করলো এলাকাবাসী

  • গিয়াস উদ্দিন রনি, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, নোয়াখালী, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পিচঢালাইয়ের একদিন পরেই বেহাল অবস্থা নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জের এই সড়কের/ ছবি: বার্তা২৪.কম

পিচঢালাইয়ের একদিন পরেই বেহাল অবস্থা নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জের এই সড়কের/ ছবি: বার্তা২৪.কম

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরহাজারী ইউনিয়নে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প ও স্থানীয় সরকার বিভাগের তত্ত্বাবধানে একটি সড়ক নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

নির্মাণাধীন এই সড়কের পিচঢালাই করার প্রথম দিনেই তা উঠে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে নির্মাণ কাজে অনিয়মের প্রতিবাদে এলাকাবাসী সড়ক নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

উপজেলা প্রকৌশলী দাবি করেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এই সড়কের কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি।

এদিকে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, উন্নয়নমূলক কাজের সঠিক মান সঠিকভাবে নিশ্চত করণে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ।

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/13/1547376210016.gif

উপজেলা প্রকৌশলী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জলবায়ু প্রকল্পের আওতায় ৪৫ লক্ষ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে, চরহাজারী ৭নং ওয়ার্ডের হাফেজিয়া পাড়া থেকে মাচুয়াদোনা পর্যন্ত এক কিলোমিটার পাকা সড়ক নির্মাণে ৪৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সড়কটির কাজ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। মেসার্স মোতালেব ট্রেডার্স নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি পান।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, সড়কটি নির্মাণের শুরু থেকেই নিম্নমানের বালু, ইট, ইটের খোয়া, ক্রংকিট, নিম্নমানের বিটুমিন, পাথর ব্যবহার করা হয়। পিচঢালাইয়ের প্রথম দিন থেকেই তা উঠতে শুরু করেছে। শিডিউল অনুযায়ী পিচঢালাই পুরু করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। এ কারণে পায়ের জুতার ঘষায়ও পিচঢালাই উঠে যাচ্ছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল খায়ের সবুজ অভিযোগ করেন, নির্মাণের প্রথম দিন থেকেই কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। শক্ত কিছু অথবা পায়ের সু দিয়ে গুঁতা দিলেই কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে।

তিনি জানান, এ অনিয়মের কারণে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে গত শনিবার (১২ জানুয়ারি) থেকে কাজ বন্ধ করে দেন। তারা এ অনিয়মের কথা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলীকে জানিয়েছেন। কিন্তু তিনি ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করেননি। এ দুর্নীতির সঙ্গে অফিসের কিছু অসৎ কর্মকর্তা জড়িত বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

এ বিষয়ে ঠিকাদার আবদুল মোতালেবের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘কিছু সিল কোট ও ফিনিসিংয়ের মাল গাড়ির চাকায় উঠেছে, আমি কাজ নিয়ে ১০০ শত ভাগ চ্যালেঞ্জ করছি না। তবে আমি মোটামুটি মানসম্পন্ন কাজ করছি।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/13/1547376259210.gif

‘স্থানীয় কিছু লোককে আমার আর্থিক সম্মান করার ওয়াদা ছিল। আর্থিক সম্মান না করায় তারা আমার কাজ বন্ধ করেছেন।’ ঠিকাদার আরও দাবি করেন, কিছু স্থানীয়রা কোদাল-ছাবল দিয়ে রাস্তার কার্পেটিং তুলে ফেলে।

উপজেলা প্রকৌশলী ইব্রাহীম খলিল বলেন, ‘নিম্নমানের কাজ করায় বর্তমানে কাজ বন্ধ আছে। এখন যে পিচঢালাই করা হয়েছে তার ওপর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে মানসম্পন্ন নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে পুনরায় কার্পেটিং করে দিতে হবে।’

এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুস সাত্তার বলেন, ‘ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’