বিয়ের মাইক্রোবাস খাদে, ওভারটেকই দুর্ঘটনার মূল কারণ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এক দম্পতিসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এতে বরসহ আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুরের বীরপাশা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে মাধবপুর ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করেন। এ সময় বর আশরাফুল ইসলাম শিবলীরও বাম পা ভেঙে যায়।
নিহতরা হলেন- ঢাকার খিলগাঁও থানার দক্ষিণ গোড়ান এলাকার নুরুজ্জামানের ছেলে হাসান জামান (৩২), একই এলাকার এহসানুল হক অপু মিয়া (২৫) ও তার স্ত্রী মিসেস অপু (২২), রিজন সালেহিন (২৮) ও পরশ (২৫)।
আহতরা হলেন- বর আশরাফুল (২৯), প্রসূন (৩২) ও মুনতাসির (৩০)। আহতদের মধ্যে প্রসূন ও মুনতাসিরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
আহত বর আশরাফুল ইসলাম শিবলী জানান, বিয়ের উদ্দেশে ঢাকার দক্ষিণ গোড়ান থেকে তিনিসহ আরও কয়েকজন একটি মাইক্রোবাসে করে সিলেট উপশহরে যাচ্ছিলেন। পথে দুপুর আড়াইটার দিকে ইসলামপুরের বীরপাশা এলাকায় পৌঁছালে চালক একটি বাসকে ওভারটেক করতে যায়। এ সময় বিপরীত দিক দিয়ে তাদের সামনে আরেকটি বাস চলে আসে। তখন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সঙ্গে মাইক্রোবাসের ধাক্কা লাগে এবং খাদে পড়ে যায়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
ঘটনাস্থলেই হাসান জামান, পরশ, অপু ও তার স্ত্রীসহ চারজনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মাইক্রোবাসের হতাহতদের মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিজন সালেহিনের মৃত্যু হয়।
মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার নাদিরুজ্জামান জানান, হাসপাতালে আসার আগেই রাস্তায় চারজন এবং হাসপাতালে আসার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিজন সালেহিন নামে একজন মারা যান।
সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হোসেন সরকার জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় চালককেও আটক করা হয়েছে। নিহতদের লাশ মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা আছে।