ঘুড়ির সঙ্গে উড়তে চায় যিয়ান
ঘুড়ি উৎসব শেষে প্রথম শ্রেণির ছাত্র শিশু আহমেদ শেহজাদ যিয়ান তার ইচ্ছের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে। তবে মুখে নয়, খাতায় লিখে। যার শিরোনাম ছিল ‘ইচ্ছে করেছিল ঘুড়ির সঙ্গে উড়ে যেতে’। বাবার সঙ্গে ঘুড়ি উৎসব থেকে বাসায় ফিরে আপন মনে খাতা-কলম নিয়ে যিয়ান তার মনের ইচ্ছাটি লিপিবদ্ধ করে।
যিয়ানের ইচ্ছেটি ছিল এমন- ‘ইচ্ছে করেছিল ঘুড়ির সঙ্গে উড়ে যেতে’। আজ আমার বাবা আমাকে একটি গিফট (সারপ্রাইজ) দিয়েছিল। সেটি হলো একটি ঘুড়ি উৎসব। তাতে নানা রঙের ঘুড়ি উড়ানো হয়েছিল। সেখানে অনেক ছেলে-মেয়ে, ভাই-ভাবী উপস্থিত ছিল। আমরাও ঘুড়ি উড়িয়েছিলাম। আমার খুব আনন্দ লাগলো। খুশিতে আমার প্রাণ ভরে উঠলো। যখন ঘুড়ি উড়েছিল তখন আমার মন ঝিকিমিকি করছিলো। আমার ইচ্ছে করেছিল ঘুড়ির দেশে চলে যেতে’।
আরও লিখেছিল, ‘খুব মজা হয়েছিল উৎসবে। আমি চাই আমার বাবা আমাকে যেন আরও ঘুরতে নেয়। আমার বাবা আমাকে খুব আদর করে। আমার বাবা আমার জন্য সব করে।- আহমেদ শেহজাদ যিয়ান, প্রথম শ্রেণি, রোল-২, কাকলী শিশু অঙ্গন, লক্ষ্মীপুর’।
জানা গেছে, নিক্বন সাংস্কৃতিক সংসদের আয়োজনে সোমবার (১৪ জানুয়ারি) লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ঘুড়ি উৎসবে মেতে উঠেছিল শিশু-কিশোররা। পাখির মত নানা রঙের ঘুড়ি আকাশে উড়ছিল। সেখানে সাড়ে ৬ বছর বয়সী শিশু যিয়ানও সবার সঙ্গে ঘুড়ি উৎসবে মেতে উঠে। সেখান থেকে ফিরে এসে রাতে খাতা-কলম নিয়ে বসে লিখতে বসে যায় যিয়ান। লেখা শেষে বাবা-মাকে খাতাটি দেখিয়ে তার ইচ্ছের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। যিয়ানের বাবার নাম সাজ্জাদুর রহমান। তিনি একজন সংবাদকর্মী।
ওই ঘুড়ি উৎসবের উদ্বোধন করেন লক্ষ্মীপুর সরকারি আদর্শ সামাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল মতিন। উপস্থিত ছিলেন কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক কার্তিক সেনগুপ্ত, লক্ষ্মীপুর শিশু একাডেমীর প্রশিক্ষক মাহাতাব উদ্দিন আরজু, নিক্বণ সাংস্কৃতিক সংসদের সাধারণ সম্পাদক অপু চন্দ্র দাস, কুশন কুরী, আশিক হাওলাদার ও ইসমাইল হোসেন খান সুজনসহ অনেকেই।