ব্যয় বেশি হওয়ায় কমেছে বোরো আবাদ
বৃষ্টির পানিতে আউশ ধানের চাষাবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যয়বহুল সেচ নির্ভর বোরো আবাদ কমিয়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ। ২০১৮ সালে হবিগঞ্জ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় ১ লাখ ২১ হাজার ৪৩০ হেক্টরের বেশি জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছিল কৃষক। কিন্তু ২০১৯ সালে বোরো আবাদের জন্য জেলায় ১ লাখ ১৮ হাজার হেক্টর জমি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, অধিক উৎপাদন খরচ করে সেচের মাধ্যমে উঁচু জমিতেও বোরো ধান আবাদ করে কৃষক। অথচ স্বল্প খরচে বৃষ্টির পানিতে অধিক পরিমাণে আউশ ধান উৎপাদন করা সম্ভব। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আউশ ধানের আবাদ বাড়াতে এবার বোরোতে লক্ষ্যমাত্রা কমানোর এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানায়, চলতি বোরো মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ১৮ হাজার ১৯৭ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার ৪০ ভাগ জমিতে বোরো ধানের আবাদ কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে শতকরা ২০ ভাগ জমিতে হাইব্রিড জাতের ধান আবাদ করছে কৃষক। তবে ভাটি অঞ্চলের উর্বরশীল জমিতে প্রায় শতকরা ৪০ ভাগের বেশি জমিতে হাইব্রিড আবাদ হচ্ছে।
এদিকে, জেলার বিভিন্ন এলাকায় উঁচু স্থানে বিলম্বে সেচপাম্প স্থাপন করায় আবাদ কাজ পিছিয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয় কৃষকরা।
এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ আলী জানান, ‘বোরো আবাদে একদিকে যেমন খরচ বেশি, তেমনি বর্তমান সময়ে পানির অভাবে অনেক জায়গা পতিত থেকে যাচ্ছে। আবার অনেক স্থানে পিছিয়ে পড়ছে চাষাবাদ। তাই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বোরো আবাদ কমিয়ে এ বছর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।