ভোরে ৬ দোকানে চুরি, পরিদর্শনে আসেনি পুলিশ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, হবিগঞ্জ, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

চুরি হওয়া দোকান, ছবি: বার্তা২৪

চুরি হওয়া দোকান, ছবি: বার্তা২৪

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইলে আবারও ৬টি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) ভোর রাতে সদর উপজেলার পইল রোডে এ চুরির ঘটনা ঘটে। ব্যবসায়ীরা জানান, বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে ওই এলাকার ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যান। সকালে ঘুম থেকে উঠে দোকানে এসে বেশ কয়েকটি দোকানের তালা ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় ভেতরে প্রবেশ করে মালামাল লুটের আলামত পান। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মঈনুল হক আরিফ ঘটনাস্থলে পৌঁছেন।

বিজ্ঞাপন

চুরি হওয়া দোকানগুলো হলো- মাছুলিয়া এলাকার মো. জিতু মিয়ার মুদি দোকান, আব্দুর রশিদের জুতার দোকান, এড়ালিয়া এলাকার নূরুল আমিনের মিলি ফার্মেসি, ফজর আলীর খাবারের দোকান, দেবপাড়া এলাকার কদ্দুস মিয়ার সার ও কীটনাশকের দোকান।

দোকানগুলোর দরজা ভেঙে নগদ টাকা ও বিভিন্ন মালামাল লুট করে চোর নিয়ে যায় বলে দোকানিরা জানান। এতে আনুমানিক মূল্য দুই/তিন লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীদের দাবি।

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/25/1548410851035.gif

এদিকে, ভোররাতে চুরির ঘটনা ঘটার পর পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে যাবে বলে ব্যবসায়ীদের জানিয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তাদের দাবি পুলিশের কঠোর নজরদারি না থাকার কারণে ১৩ দিনের ব্যবধানে আবারও একই এলাকায় ৮টি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। অথচ পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ বলছে সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবে।

এ ব্যাপারে পইল ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মঈনুল হক আরিফ বলেন, 'আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ সময় পুলিশকে খবর দিলে সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) নাঈম বলেছেন বিকেলে আসবে।'

এদিকে বিকেল সাড়ে ৩টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়নি।

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহিদুর রহমান বলেন, 'আমি এমন কোন সংবাদ পাইনি।'

সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আবু নাঈম বলেন, 'ব্যবসায়ীরা আমাকে ফোন করেছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত লিখিত কোন অভিযোগ দেয়নি। তাই সন্ধ্যায় পরিদর্শনে যাব।'

উল্লেখ্য, এর আগে গত ৭ জানুয়ারি ওই রোডের এতিমখানার দান বাক্সসহ ১০টি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।