স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ, আদালতে স্বামী
স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের ঘটনা জানতে পেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন এক ভুক্তভোগী স্বামী।
রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সদর আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন স্বামী সাদ্দাম হোসেন দীপু। সোমবার রাতে দীপু বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে নিশ্চিত করেছেন।
আদালতের বিচারক ফারজানা আহমেদ মামলাটি আমলে নিয়ে এজাহারের দুই আসামি দীপুর স্ত্রী শ্রাবণী বুশরা এশা ও তার পরকীয়া প্রেমিক মুনতাছির ইভানের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।
এশা ঢাকার উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজের সাবেক ছাত্রী ও বর্তমানে ধানমন্ডি এলাকার আনোয়ার খান মডার্ণ আধুনিক মেডিকেল কলেজের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন। মুনতাছির উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজের ছাত্র।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বাদী সাদ্দাম হোসেন দীপুর সাথে তার স্ত্রী আসামি শ্রাবণীর সাথে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে এই বিষয়টি কারো পরিবারই জানতেন না। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট রেজিস্ট্রি কাবিন ও কাজীর মাধ্যমে গোপনে বিয়ে হয় উত্তর মৌড়াইল মহল্লার বাসিন্দা জেড এম ইমরান আলীর মেয়ে শ্রাবণী বুশরা এশার সাথে। বিয়ে হলেও উভয় পরিবারের কেউই জানতেন না এই বিষয়টি।
উভয় পরিবার বিষয়টি পরে জানতে পারলেও তারা মেনে নেয়নি। এর মধ্যে দীপু শ্রাবণীকে নিয়ে ঢাকায় একটি ভাড়া বাসায় উঠেন। দীপু তার অফিসের কাজে ঢাকার বাইরে গেলে তার স্ত্রী এশার সাথে যোগাযোগ করতেন পরকীয়া প্রেমিক আসামি মুনতাছির। পাশাপাশি তার বাড়িতেও নিয়মিত আসা-যাওয়া করতেন সে।
গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর দুপুরে দীপু তার অফিসের কাজে কর্মস্থলে ছিলেন। এদিন এশা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তার বাবার বাড়িতে মুনতাছিরের সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত ছিলেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার বাদি সাদ্দাম হোসেন দীপু জানান, আমি শ্রাবণীকে অনেক ভালবাসি। মানুষ জানাজানির ভয়ে আমি কারো কাছে কিছু বলতাম না। তবে শ্রাবণীকে আমি অনেকভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। তবুও সে খারাপ পথ থেকে ফিরে আসেনি। তাই বাধ্য হয়েই আমি তার বিরুদ্ধে আদালতে ন্যায় বিচারের প্রার্থী হয়েছি।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী আরিফুল হক মাসুদ বলেন, এ ধরণের মামলা আদালত আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়ে থাকেন। কিন্তু পরকীয়ার ঘটনায় চট্টগ্রামে চিকিৎসক আত্মহত্যার কারণে আদালত এ ঘটনাটিকে গুরুত্ব দিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।