দীর্ঘদিনের ভালোবাসা হেরে গেল এপাচি হোন্ডায়!

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, লক্ষ্মীপুর, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

এপাচি ব্র্যান্ডের পুরনো মোটরসাইকেল / ছবি: বার্তা২৪,

এপাচি ব্র্যান্ডের পুরনো মোটরসাইকেল / ছবি: বার্তা২৪,

প্রেম-ভালোবাসা একটি মধুর সম্পর্ক৷ এটি মানে না কোনো বাধা। খোঁজে না ধর্ম-বর্ণ, ধনী-গরীব। বাবা-মা, ভাই-বোন সবার মঝেই থাকে চিরদিনের ভালোবাসা। তবে প্রেমিক-প্রেমিকার ভালোবাসায় থাকে কিছু ভিন্নতা। কারও ভালোবাসা স্বার্থহীন আবার কারও ভালোবাসা হচ্ছে লোভনীয়।

প্রেমিক-প্রেমিকার ভালোবাসা সফলও হয় আবার মাঝপথে এসে হারিয়ে যায়। তবে সফলতার চেয়ে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার ঘটনা ঘটে বেশি। তেমনি লক্ষ্মীপুরের এক যুবকের চার বছরের প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে দিয়েছে এক তরুণী। এপাচি ব্র্যন্ডের একটি নতুন মোটরসাইকেলে (হোন্ডা) ঘোরার সখ পূরণ করতে না পারায় ঘটনাটি ঘটেছে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ভালোবাসা দিবসে ওই যুবক তার প্রেমিকার সঙ্গে মোটরসাইকেলযোগে ঘুরতে বের হয়। কিন্তু লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের সামনে আসলে ওই যুবকের মোটরসাইকেলটি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। এতেই ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন তরুণী। নতুন এপাচি হোন্ডা না কেনায় যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিন্ন করে চলে যান তিনি। আর যাবার সময় বলে গেছে, আর কখনো যেন তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা না করা হয়।

এ ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দি এলাকার আবিরনগরের এক যুবকের সঙ্গে। তিনি গত বছর লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ থেকে স্নাতক (ডিগ্রি) কোর্স শেষ করেছেন। এখনো বেকার তিনি। ওই তরুণী একই কলেজের অনার্সের (সম্মান) ছাত্রী ও লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাঞ্চানগর এলাকার বাসিন্দা।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, ওই যুবকের বাবা প্রায় ৩ বছর আগে ফ্যাশন ব্রান্ডের একটি পুরাতন মোটরসাইকেল কিনে দেয় তাকে। ওই মোটরসাইকেলটি এখন আরও পুরাতন হয়ে যায়। যে কারণে মাঝে মাঝে চালু অবস্থায় বন্ধ হয়ে যায়। আবার চালু করতে অনেক্ষণ সময় লাগে।

জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই যুবক বলেন, ‘আমি ঘরের বড় ছেলে। এখনো কোনো চাকরি পাইনি। এরমধ্যে আমার প্রেমিকা একটি নতুন এপাচি ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল কিনতে বলে। কিন্তু টাকা না থাকায় তা আমার পক্ষে সম্ভব নয় বলে জানিয়েছি। কিন্তু আজ তাকে নিয়ে ঘুরতে বের হলে পুরাতন মোটরসাইকেলটি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘কিছু বুঝে ওঠার আগেই নতুন মোটরসাইকেল না কেনার অভিযোগ দিয়ে সে চলে যায়। এ সময় আর কখনো তার সঙ্গে যোগাযোগ না করতে বলে গেছে। এরপর থেকে তার ব্যাবহৃত মোবাইলফোনটি বন্ধ পাচ্ছি। বাসার সামনে গিয়েও তার কোনো সাড়া পায়নি। ’