স্বামী মৃত্যুদণ্ডের আসামি, স্ত্রী ইয়াবা কারবারি
স্বামী শিপন হালদার হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। আর স্ত্রী রাবেয়া সুলতানা সুমি ইয়াবা কারবারি। কক্সবাজার থেকে ইয়াবা এনে বগুড়া শহরে খুচরা ব্যবসায়ীদের সরবরাহ করে থাকে। বাড়ি বগুড়া সদরের নামুজায় হলেও বসবাস করেন একই শহরের নারুলী এলাকায় ভাড়া বাসায়।
পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে মাঝে মধ্যেই বাসা পরিবর্তন করেন। গত বছরের মার্চ মাসে এক হাজার পিস ইয়াবাসহ সুমি কক্সবাজার পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিল। সম্প্রতি জামিনে বের হয়ে এসে আবারো শুরু করে ইয়াবা ব্যবসা।
এদিকে সুমির জামিনে বের হওয়ার খবর পেয়ে তাকে ধরার জন্য ফাঁদ পাতে বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ক্রেতা সেজে ডিবি পুলিশ তার সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে ইয়াবার অর্ডার দেয়। সুমি আবারো কক্সবাজার থেকে ইয়াবা নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বগুড়া শহরে আসে। শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বগুড়া শহরের গালাপট্টি এলাকায় ক্রেতা বেশি ডিবি পুলিশকে ইয়াবা সরবরাহ করার সময় গ্রেফতার হয় সুমি। এ সময় তার ভ্যানিটি ব্যাগে পাওয়া যায় চার হাজার ৫০০ পিস ইয়াবা।
ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মজিবর রহমান বার্তা২৪.কমকে জানান, গত ছয় মাস আগে জামিনে বের হয়ে সুমি নারুলী এলাকায় বাসা ভাড়া নেয়। তার একমাত্র মেয়েকেও কিছুদিন আগে পাঠিয়ে দেয় বাবার বাড়ি। একাকী বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে চালিয়ে যাচ্ছিলেন ইয়াবা ব্যবসা। দীর্ঘদিন তার পেছনে লেগে থাকার পর ইয়াবাসহ হাতে নাতে তাকে ধরা যায়।
ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম সিদ্দিকী বার্তা২৪.কমকে জানান, সুমির স্বামী হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি। বর্তমানে কারাগারে আছে। ইয়াবা ব্যবসার জন্য সুমি স্বামীর বাড়িতে বসবাস না করে বগুড়া শহরে থাকে। তার কাছে শহরের বেশ কয়েকজন ইয়াবা ব্যবসায়ীর নাম পাওয়া গেছে। পর্যায়ক্রমে তাদেরকে ধরা হবে।