বাবা-মায়ের পাশে শায়িত হলেন কবি আল মাহমুদ
নিজ জন্মভূমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের দক্ষিণ মোড়াইলে বাবা মায়ের কবরের ডান পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদ।
রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ৩টার দিকে জেলা শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে কবির মরদেহ দাফন করা হয়।
কবির নিকটাত্মীয় হাফিজুর রহমান বার্তা২৪.কমকে জানান, রোববার বাদ জোহর জানাজা শেষে কবিকে নিয়ে যাওয়া হয় দক্ষিণ মোড়াইল কবরস্থানে। সেখানেই তার বাবা ও মায়ের ডান পাশে তাকে দাফন করা হয়েছে। কবরের পশ্চিম পাশ থেকে পর্যায়ক্রমে কবির বাবা, পরে কবির মা ও শেষে কবি আল মাহমুদের কবর রয়েছে।
১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই মৌড়াইল মহল্লার মোল্লাবাড়িতে জন্ম নেয়া আল মাহমুদ দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন। পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকার কারণে মাঝে-মধ্যে অল্প সময়ের জন্য কবি ছুটে আসতেন মোল্লাবাড়িতে। তবে অভিমান করে বছর খানেক আগে থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাতায়াত বন্ধ করে দেন তিনি।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন কবি আল মাহমুদ। ১৯৭৪ সালে দৈনিক গণকণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক থাকাকালে কারাবরণ করেন। ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক পদ থেকে অবসর নেন তিনি। সাহিত্যকর্মের জন্য তিনি একুশে পদক ও বাংলা একাডেমিসহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন।