খোঁজ মেলেনি চাঁদপুরের ইসমাইলের, ২ জনের দাফন সম্পন্ন

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, চাঁদপুর, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

শামছুল হকের জানাজা নামাজের একাংশ / ছবি: বার্তা২৪

শামছুল হকের জানাজা নামাজের একাংশ / ছবি: বার্তা২৪

রাজধানীর চকবাজার এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিখোঁজ চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার আহম্মদপুর গ্রামের হাজী ইসমাইলকে (৬৫) এখনো খুঁজে পায়নি তার পরিবার। তিনি আহম্মদপুর গ্রামের মৃত হাজী ইসহাকের ছেলে।

হাজী ইসমাইলের চাচা হাসান জানান, ইসমাইল গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বাড়িতে এসে বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসায় নগদ টাকা দান করেছেন। ওই এলাকায় তিনি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে দানশীল হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বর্তমানে স্ত্রীসহ এক ছেলে দুই মেয়ে রয়েছে। তিন ভাই চার বোনের মধ্যে তিনি বড়।

বিজ্ঞাপন

এদিকে ফরিদগঞ্জ উপজেলা পৌর এলাকার রুদ্রগাঁও গ্রামের ব্যবসায়ী শামছুল হককে (৭০) শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে তার গ্রামের ঈদগাঁও মাঠে জানাজা শেষ হয়। এরপর আলীম উদ্দিন বেপারী বাড়ীতে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) পরিবারের লোকজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার লাশ শনাক্ত করেন।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহত শামছুল হক চক বাজারে ওয়াহিদ ম্যানশন মার্কেটের নিচ তলায় দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত মদিনা ডেকোরেটর ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০ টায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তিনি দোকানে পুড়ে অঙ্গার হয়ে যায়। তিনি স্ত্রী ১ ছেলে ও ২ মেয়ের জনক। তার দীর্ঘদিনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সম্পূর্ণ মালামাল পুড়ে যাওয়ায় প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।

বিজ্ঞাপন

অপরদিকে হাজীগঞ্জ উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের নিহত আবু বকর সিদ্দিকের লাশও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় তার লাশ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে। ২৭ বছরের টগবগে যুবকের লাশ বাড়ির উঠানে নামাতেই স্বজনদের আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। সহপাঠীদের বিলাপে যেন কাঁদছিল পুরো গ্রাম। মায়ের বিলাপ, বাবার আত্মচিৎকার আর বোনদের আহাজারিতে থমকে যায় পুরো গ্রাম।