লক্ষ্মীপুর প্রাণিসম্পদ দফতরের ৬৪ পদের ২৫টি শূন্য
লক্ষ্মীপুরে প্রাণিসম্পদ দফতরের ৬৪টি পদের মধ্যে ২৫টি পদই শূন্য রয়েছে৷ এর মধ্যে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পদটিও শূন্য। বর্তমানে জেলার ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করছেন সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা। জেলার ৫ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার ৩টি পদও খালি রয়েছে।
এদিকে জনবল সংকটে জেলার পশু-পাখির খামারগুলো পরিদর্শন করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাণিসম্পদ দফতর। চিকিৎসক সংকটের কারণে হাসপাতালে নিয়ে আসা অসুস্থ পশু-পাখিকেও চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হয়। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাই কোনরকম চিকিৎসার কাজটি চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ দফতর সূত্র জানায়, জেলা-উপজেলার প্রাণিসম্পদ দফতরের ৬৪ টি পদের ২৫ টি শূন্য রয়েছে। গত দুইমাস আগে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা অবসরে যাওয়ার পর থেকে পদটি শূন্য। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করছেন সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. যোবায়ের হোসেন। জেলা সদর, রায়পুর, রামগঞ্জ, রামগতি ও কমলনগর এই ৫ উপজেলার ৩টিতেই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নেই।
এ দফতরের জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ের ইউএলএ পদে ৫, ভিএফএ ১৩, কম্পাউন্ডার ৬, এফএ (এ/আই) ৫, অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর ৭ ও ড্রেসার ৭ টি পদ রয়েছে৷ এর মধ্যে ইউএলএ ৫, ভিএফএ ৬, কম্পাউন্ডার ৩, এফএ (এ/আই) ১, অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর ৫, ড্রেসার ১ টি পদ শূন্য।
অন্যদিকে এ জেলায় মাংস, দুধ ও ডিম উৎপাদনের জন্য প্রায় ৩ হাজার খামার রয়েছে। এর মধ্যে ১৪৫৫ টি খামার রেজিস্ট্রেশনকৃত। জনবল সংকটে রেজিস্ট্রেশনকৃত খামারগুলোও পরিদর্শন করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. যোবায়ের হোসেন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'মাংস, ডিম ও দুধ উৎপাদনে লক্ষ্মীপুর দেশের অন্যতম একটি জেলা। কিন্তু এখানে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও চিকিৎসকসহ ২৫ টি পদ শূন্য রয়েছে। এই কারণে স্থানীয় খামারিদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। চিকিৎসক সংকটে চিকিৎসা কার্যক্রম চালাতে হিমশিম খেতে হয়। সংকট নিরসনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। শূন্য পদগুলোতে জনবল নিয়োগ দেওয়া হলে এখানকার খামারিরা মাংস, ডিম ও দুধ উৎপাদনে আরও বেশি আগ্রহী হবে।'