নালা ও কুপ খনন করে সম্পত্তি দখলের চেষ্টা

  • মনিরুজ্জামান বাবলু, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, চাঁদপুর, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নালা ও কুপ খনন

নালা ও কুপ খনন

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ১০ নম্বর গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের দেশগাঁও গ্রামে নালা ও কূপ খনন করে পাশের সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে। ওই গ্রামের ভুঁইয়া বাড়িতে এক অসহায় পরিবারের বসতভিটার এবপাশে জোরপূর্বক নালা ও কূপ খনন করা হয়েছে।

অভিযোগ আছে, মাত্র দেড় শতাংশ জমির মালিক ওই বাড়ির ধর্ণাঢ্য মোস্তফা ও তার পরিবার এখন ৩৫ শতাংশের প্লট বানাতে এমন ফাঁদ তৈরি করেছে।

বিজ্ঞাপন

সরজমিনে দেখা গেছে, ওই বাড়ির মিজানুর রহমানসহ তার ভাইদের ১৩ শতাংশ পৈত্রিক সম্পত্তি আছে। ওই জমি থেকে তাদের উচ্ছেদ করতে জমির এক পাশে নালা ও কূপ কাটা হয়েছে। অন্যদিকে বেড়া দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আছে প্রভাবশালী জাহাঙ্গীর আলম আটিয়ার নেতৃত্বে ভুঁইয়া বাড়ির ২৩ পরিবার নিয়ে সম্পত্তি বণ্টন হয়। বাড়ির প্রবেশ মুখের এই ৩৫ শতাংশের প্লটের ওপর নজর পড়ে মোস্তফার পরিবারের। তখন শালিশদারদের যোগসাজশে জোরপূর্বক দারিদ্র পরিবারের ওপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

ওই বাড়ির দারিদ্র পরিবারের মৃত মোখলেছুর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘প্রায় ৫-৬ বার শালিসি বৈঠকের পরও বিষয়টি সমাধান হয়নি। আমরা ৫ ভাই বাধ্য হয়ে ইতোমধ্যে চাঁদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অভিযোগ করেছি। ইতোমধ্যে আমার তিন ভাইয়ের সম্পত্তির পাশ দিয়ে নালা ও কূপ খনন করেছে মোস্তাফা ও তার পরিবার সদস্যরা। এছাড়াও আমার জেঠাতো ভাই মৃত আব্দুল বারেক ভূঁইয়ার ছেলে মো. আব্দুল খালেক ভুঁইয়া এই ষড়যন্ত্রে জড়িত।

একই বাড়ির ৬৫ শতাংশ জমির মালিক মো. শাহআলম ভুঁইয়া ও শাহজাহান ভুঁইয়া বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘শালীসদারদের পাতানো ফাঁদে পুরো বাড়িতে প্রতিনিয়ত বিবাদ লেগে আছে। বৃষ্টি আসলে যেন বসতভিটা ভেঙে পড়ে, সে জন্য নালা ও কূপ খনন করে রাখা হয়েছে।’

মিজানুর রহমানের স্ত্রী রুজিনা বেগম বলেন, ‘প্রতিনিয়ত নূরজাহান বেগম ও তার ছেলে মোস্তফা এখান থেকে আমাদের সরে যাওয়ার হুমিক দিচ্ছে। ফলে আমরা বেশ আতঙ্কে বসবাস করছি।’

শালিসদার মনির হোসেন বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘জাহাঙ্গীর আলম আটিয়ার নেতৃত্বেই এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এখন শুনছি কয়েকটি পরিবার সিদ্ধান্ত মানছে না।’