বেতনের বদলে চিনি
পাবনা সুগার মিলের চিনি বিক্রি করা যাচ্ছে না। আর চিনি বিক্রি করতে না পেরে প্রায় ৭শ কর্মকর্তা, শ্রমিক ও কর্মচারীকে বেতন দিতে পারছে না মিলটি। কিন্তু বিকল্প হিসেবে বেতনের পরিবর্তে তাদের চিনি দেয়া হচ্ছে।
তবে চিনি নিয়ে বিপাকে পড়েছে শ্রমিক-কর্মচারীরা। কারণ তারা যে রেটে বেতনের পরিবর্তে চিনি নিয়েছে বাইরে তা বিক্রি করছে ১২ শতাংশ কম দামে।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মিল কর্তৃপক্ষ ও সিবিএ নেতারা জানান, চিনি বিক্রি না হওয়ার কারণে বেতন দেয়া যাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে এটি স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা নয়।
এদিকে প্রতি মাসে বেতন থেকে ১২ শতাংশ টাকা কম পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মিলের শ্রমিক-কর্মচারীরা। তবে বেতন একেবারে না পাওয়ার চেয়ে কম পাওয়া ভালো বলেও মন্তব্য করেছে অনেকে।
পাবনা সুগার মিলের মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) জামাল হোসেন জানান, প্রতি মাসে মিলের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন বাবদ মৌসুমে প্রায় দেড় কোটি টাকা এবং অন্য সময়ে এক কোটি টাকার কিছু বেশি অর্থের প্রয়োজন পড়ে। মিলে চিনি বিক্রি না হওয়ায় সময় মতো বেতন দেয়া সম্ভব হয় না। এ কারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের জন্য চিনি বিক্রি করে বেতন নেয়ার বিধান করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মিল রেট (৫০ টাকা কেজি) থেকেও কম দামে চিনি বিক্রি করতে হচ্ছে। এ কারণে প্রত্যেকে বেতনের টাকা থেকে ১২ শতাংশ পরিমাণ টাকা কম পাচ্ছে।
বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আশরাফউজ্জামান উজ্জ্বল জানান, ফেডারেশনের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের সম্মতিতেই ‘বেতনের বদলে চিনি’ এ ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
পাবনা সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জাহিদ আলী আনসারী জানান, বেসরকারি মিল ও আমদানি করা চিনির দামের সঙ্গে পার্থক্য রয়েছে। তাই তাদের সুগার মিলের চিনি বিক্রি হচ্ছে না। ফলে সময় মতো বেতন দেয়াও সম্ভব হয় না। তাই বাধ্য হয়ে মিলের শ্রমিক-কর্মচারীদের বলা হয়েছে নিজ উদ্যোগে চিনি বিক্রি করে বেতন গ্রহণ করতে।