অবৈধ বালুমহাল, ঝুঁকিতে ডাকাতিয়া নদী ও ব্রিজ

  • মনিরুজ্জামান বাবলু, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, চাঁদপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, ছবি: বার্তা২৪

অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, ছবি: বার্তা২৪

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ সড়কে ডাকাতিয়া ব্রিজ। খরস্রোতা ডাকাতিয়া নদী এখন মৃতপ্রায়। কিন্তু বালু ব্যবসায়ীর দখল প্রতিযোগিতায় ভরাট হয়ে যাচ্ছে ডাকাতিয়া নদী।

সরকারের কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ডাকাতিয়া ব্রিজের কয়েকটি পিলারের ভীমের আংশিক অংশ ভেঙে গেছে। বেকু ও ড্রেজার দিয়ে বালু সরবরাহ করায় ব্রিজটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ।

বিজ্ঞাপন

ডাকাতিয়া ব্রিজ ঘেঁষে গড়ে উঠা অবৈধ বালুমহাল। নয়টি বালুমহালের মাঝে মাত্র দুইজনের লিজ নেয়া থাকলেও বাকি সাতজন অবৈধভাবে বালু ব্যবসা চালিয়ে আসছেন।

প্রতিবছর জেলা পরিষদ নদীর ঘাট ইজারা ও হাজীগঞ্জ পৌরসভা বালুমহালের ইজারা নিচ্ছে। কিন্তু এইসব ইজারা নিয়েও রয়েছে দ্বিমত।

বিজ্ঞাপন

এখানে বালুমহালগুলো হচ্ছে হামিদ, মদিনা, কোম্পানি, আকতার, হারুন, সুইটি, সফিক ট্রের্ডাস, মুন্সী বিল্ডার্স ও নির্র্মাণ এন্টার প্রাইজ।

গড়ে এই বালু মহালে দৈনিক ৬০ থেকে ৭০ ট্রাক বালু বিক্রি হচ্ছে। প্রায় ২৫টির মতো ট্রাক নিয়মিত ডাকাতিয়ার ব্রিজ ঘেঁষে বালু পরিবহণ করছে। ওইসব ড্রাম ট্রাকগুলোর ওজন প্রায় ৫৫ টন। এই আঞ্চলিক সড়কে ড্রাম ট্রাক চলাচলের অনুমতি নেই। এতে করে প্রায় আধা কিলো সড়কের বেহাল অবস্থা। বৃষ্টি এলেই ওই আধাকিলো সড়কে যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। সে কারণে হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ ও রান্ধুনীমুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এছাড়া দিনভর এই সড়কে বাতাসে বালু উড়ে শিক্ষার্থী ও পথচারীদের অসহনীয় ভোগান্তির শিকার হতে হয়।

সফিক ট্রের্ডাসের মালিক সফিকুল ইসলাম বলেন, পৌরসভা প্রতিবছর টেন্ডার দেয়। কিন্তু এই আধা কিলো সড়ক মেরামত করে না।

আরেক ব্যবসায়ী সুইটি ট্রের্ডাসের মালিক ফজুলল হক বলেন, ‘দুইজন ছাড়া কারো লিজ নাই। এখানে সরকার যখন চাইবে বাকিদের তাৎক্ষণিক জায়গা ছেড়ে দিতে হবে।’