১৬ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো

  • রানা আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, সিরাজগঞ্জ, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

শাহজাদপুর উপজেলার প্রায় ১৫ মানুষের পারাপারের একমাত্র ভরসা এই বাঁশের সাঁকোটি/ ছবি: বার্তা২৪.কম

শাহজাদপুর উপজেলার প্রায় ১৫ মানুষের পারাপারের একমাত্র ভরসা এই বাঁশের সাঁকোটি/ ছবি: বার্তা২৪.কম

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার নরিনা ইউনিয়নের চর নরিনা বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে হুড়াসাগর নদী। যদিও শুষ্ক মৌসুমে নদীতে কোনো পানি থাকে না। তারপরও সেখানের ১৬টি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষের নদী পারাপারের একমাত্র ভরসা একটি বাঁশের সাঁকো।

জানা গেছে, চর নরিনা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও এলাকাবাসী চাঁদা তুলে ও স্বেচ্ছা শ্রম দিয়ে ২৫০ ফুটের বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করেছেন। সাঁকো নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩ লাখ টাকা। মাঝে মাঝে চাঁদা তুলে সাঁকোটি সংস্কার করা হয়। এই সাঁকোটিই ১৬টি গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ ও ১০টি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার তিন হাজার শিক্ষার্থীর নদী পারাপারের একমাত্র মাধ্যম।

বিজ্ঞাপন

চর নরিনা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নূর মোহাম্মদ ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. আব্দুস সেলিম বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘চর নরিনাবাজার ও চর নরিনা পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এ বাঁশের সাঁকোটি তিন বছর আগে নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে সাঁকোটি অবস্থা অনেকটানরবড়ে ও ঝুঁকিপূর্ণ। বর্ষার সময় ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে নদী পার হতে শিক্ষার্থীদের পানিতে পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে।’

টেপরী ও চরটেপরী গ্রামের সুজাবত আলী মহুরী, সেলিম হোসেন, স্বপন মেম্বর, রফিকুল ইসলাম, ঠান্ডু মিয়া বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘চর নরিনা গ্রামটিঅত্যন্ত দূর্গম এলাকা। এখানে একটি কংক্রিটের ব্রিজ খুবই প্রয়োজন।’

বিজ্ঞাপন

এ ব্যাপারে নরিনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুল হক মন্ত্রী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে একাধিকবার নদীর ওপর একটি কংক্রিটের ব্রিজ নির্মাণের অনুরোধ করা হলেও কোনো কাজ হয়নি। শিগগিরই লিখিতভাবে আবেদন করা হবে।’

এ ব্যাপারে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাজমুল হুসেইন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘লিখিতভাবে আবেদন করলে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’